‘বেগম জিয়া আদালতের বদৌলতে নয়, প্রতিহিংসার বদৌলতে কারাগারে বন্দী’

প্রকাশিত: ২:১৬ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ৩০, ২০১৮

‘বেগম জিয়া আদালতের বদৌলতে নয়, প্রতিহিংসার বদৌলতে কারাগারে বন্দী’

বেগম জিয়া আদালতের বদৌলতে নয়, শেখ হাসিনার প্রতিহিংসার বদৌলতে কারাগারে বন্দী। এটাই সর্বজনস্বীকৃত। আদালতের মাধ্যমে একটা আনুষ্ঠানিকতা করা হয়েছে মাত্র। এটি অবৈধ সরকারের প্রধানমন্ত্রীরই অন্ধ অসুয়ার উন্মাদ প্রতিফলন’বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

সোমবার রাজধানীর নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন। সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আতাউর রহমান ঢালী, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সহ-দপ্তর সম্পাদক মুনির হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

তিনি অভিযোগ করেন, ‘যথার্থ চিকিৎসা নিয়ে কারা কর্তৃপক্ষের টালবাহানায় বেগম জিয়াকে বিনা চিকিৎসায় কারাগারে বিপন্ন জীবন কাটাতে হচ্ছে। তার শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে এ বিষয়ে সরকার নিশ্চুপ-নির্বাক থেকে দলের সাধারণ সম্পাদককে দিয়ে ঠাট্টা তামাশা করাচ্ছে। এটা নিষ্ঠুর উপহাস। দেশের সর্বাধিক জনপ্রিয় নেত্রীকে বিনা চিকিৎসায় বন্দী রেখে এক দুরভিসন্ধিমূলক পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে কিনা সে প্রশ্নে দেশবাসী উত্তাল।’

‘বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার অসুস্থতা নিয়ে তার ব্যক্তিগত চিকিৎসকরা যে মিথ্যাচার করছেন তাতে জাতীয়তাবাদী চিকিৎসকরা চিকিৎসা করলে যে সার্টিফিকেট দিবেন সেখানেও সন্দেহ থাকবেই’ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্য উল্লেখ্য করে রিজভী বলেন, ‘আমি বলতে চাই- অপপ্রচার আর কুৎসা রটনার কোরাশ দলের কান্ডারী হচ্ছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। শেখ হাসিনার রক্ত শাসনের দিক থেকে জনগণের দৃষ্টিকে সরাতে প্রতিদিন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদকের উদ্ভট ও আবোল-তাবোল বকবকানী মানুষকে শুনতে হচ্ছে।’

আবারও বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি এবং তার পছন্দ অনুযায়ী ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যবস্থা করার জন্য জোর দাবি জানান রিজভী।

রিজভী অভিযোগ করেন, ‘আসন্ন গাজীপুর ও খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে স্থানীয় নেতাকর্মীরা নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছেন। এই অপরাধে রাতের বেলায় সরকারের নির্দেশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী স্থানীয় নেতাকর্মীদের বাসায় বাসায় হানা দিয়ে গ্রেফতার, ক্রসফায়ারের হুমকি এবং বিভিন্নভাবে ভয়-ভীতি প্রদর্শন করছে।’

পাঁচ বছর ধরে গাজীপুরে একজন এসপি কীভাবে টিকে আছে- এমন প্রশ্ন রেখে রিজভী বলেন, ‘তার নামে অাজ অভিযোগ থাকার পরেও সরকার তাকে সরাচ্ছে না কেন ? এই পুলিশ সুপারের দ্বারা অমানবিক নিষ্ঠুরতায় বিরোধী দলের নেতাকর্মীকে বিগত ৫ বছর ধরে গাজীপুরে ভয়াবহ নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে। ক্ষমতার অহংকারে গাজীপুরের এসপি হারুন বিএনপিসহ বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের বাড়িঘর, দোকানপাট, বাজার ভেঙে ফেলা, পুড়িয়ে দেয়া, তাদেরকে ঘরছাড়া করা এবং নির্বিচারে গ্রেপ্তার করে গাজীপুরে দুঃশাসনের এক প্রতীক হয়ে উঠেছে।

সর্বমোট পাঠক


বাংলাভাষায় পুর্নাঙ্গ ভ্রমণের ওয়েবসাইট