‘সরকারের নীলনকশার অংশ হিসেবেই খালেদা জিয়াকে কারাগারে পাঠিয়েছে’

প্রকাশিত: ৪:৪০ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০১৮

‘সরকারের নীলনকশার অংশ হিসেবেই খালেদা জিয়াকে কারাগারে পাঠিয়েছে’

‘আমরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করছি। কিন্তু তাতেও সরকার বাধা দিচ্ছে। বর্তমান সরকার বিএনপি ও বিরোধী দলকে কথা বলা ও আন্দোলনের কোনো সুযোগই দিচ্ছে না। উল্টো আমাদের বিরুদ্ধে নাশকতার মামলা দিচ্ছে। নাশকতা কোথায় হচ্ছে? যেখানে আমাদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের সুযোগ দিচ্ছে না। এর মাধ্যমেই পরিষ্কার হয়, সরকারের নীলনকশার অংশ হিসেবেই খালেদা জিয়াকে কারাগারে পাঠিয়েছে’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে কারাগারে পাঠানো সরকারের নীলনকশার অংশ। সেই নীলনকশা হচ্ছে, খালেদা জিয়া যেন আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে না পারেন। বর্তমান সরকার চায়, আবারও ৫ জানুয়ারির মতো ভোট করে ক্ষমতায় থাকতে।’

বৃহস্পতিবার রাজধানীর নয়াপল্টনের দলীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন বিএনপির মহাসচিব। এসময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু, বরকত উল্লাহ বুলু, নিতাই রায় চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য জয়নুল আবদিন ফারুক, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সহদপ্তর সম্পাদক বেলাল আহমদ প্রমুখ।

মির্জা ফখরুল আরো বলেন, বিএনপিকে ধ্বংস করার জন্য নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলায় গণগ্রেপ্তার করছে। তারা চায়, বিএনপি যেন আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে না পারে। যাতে তারা আবারও একতরফাভাবে ভোট করে ক্ষমতায় থাকতে পারে। আমরা চাই, আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে। কিন্তু সরকার শান্তিপূর্ণভাবে সবার অংশগ্রহণে সুষ্ঠু নির্বাচন চায় না। কারণ, মানুষ ভোট দিতে পারলে আওয়ামী লীগ আর ক্ষমতায় আসতে পারবে না।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘বিএনপির চেয়ারপারসন দেশের রাজনীতিতে উড়ে এসে জুড়ে বসেননি’ উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল আরো বলেন, তিনি দেশের পাঁচটি আসনে বারবার নির্বাচন করে বিজয়ী হয়েছেন। কখনো পরাজিত হননি। বর্তমান সরকার খালেদা জিয়াকে কারাগারে পাঠিয়ে ‘নেত্রী থেকে মা’ বানিয়েছেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে আইনি লড়াইয়ের পাশাপাশি রাজপথেও সক্রিয় বিএনপি। আজকের সংবাদ সম্মেলনে তিন দিনের কর্মসূচিও ঘোষণা করা হয়। খালেদা জিয়ার সাজার আগে ও পরে দলের জ্যেষ্ঠ ৭৩৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ছাড়া সারাদেশে চার হাজার ৩০০ জনের বেশি নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে বলেও জানান বিএনপির মহাসচিব।

প্রসঙ্গত, গত ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায় ঘোষণা করেন বিশেষ আদালতের বিচারক ডা. মো. আখতারুজ্জামান। রায়ে তিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন। এ ছাড়া বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ পাঁচ আসামিকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড এবং দুই কোটি ১০ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়।

সর্বমোট পাঠক


বাংলাভাষায় পুর্নাঙ্গ ভ্রমণের ওয়েবসাইট