তারুণ্যনির্ভর কমিটি নিয়ে বিএনপির ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন

প্রকাশিত: ১২:০১ পূর্বাহ্ণ, আগস্ট ১৭, ২০১৬

জাতীয় কাউন্সিলের প্রায় সাড়ে চার মাসেরও বেশি সময় পর গত ৬ আগস্ট পূর্ণাঙ্গ কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণা করেছে বিএনপি। এতে আশি ও নব্বই দশকের অনেক সাবেক ছাত্রদল নেতাকে গুরুত্বপূর্ণ দেওয়া হয়েছে। এতে দলের ভেতরকার প্রবীনরা কিছুটা ক্ষুব্ধ হলেও মধ্যবয়সী এবং তরুণ নেতারা খুবই ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন। ফলে তারুণ্যনির্ভর এই নতুন কমিটিকে নিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখছে বিএনপি।

সদ্য ঘোষিত কমিটি নিয়ে বেশির ভাগ নেতাকর্মীর আঙুল খালেদা জিয়ার বিশেষ সহকারী শিমুল বিশ্বাস ও সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রিজভী আহমেদের দিকে। কারণ সাম্প্রতিককালে এ দুজনই খালেদা জিয়ার কাছাকাছি ছিলেন বলে এই কমিটি তৈরির ক্ষেত্রে তাদের একটা বড় ভূমিকা ছিল বলেই ধারণা অনেকের। এরফলে পদবঞ্চিত এবং কাঙ্খিত পদ না পাওয়াদের যতক্ষোভ এই দুজনের ওপর। এরপরও অনেকে মনে করছেন এই কমিটি মন্দের ভাল। কেননা, এর আগের কমিটিগুলো তৈরির ক্ষেত্রে এর চেয়েও বেশি হ-য-ব-র-ল হয়েছিল।

কমিটিতে স্থান পাওয়া আশি ও নব্বই দশকের সাবেক ছাত্রদল নেতাদের কয়েকজনের সঙ্গে কথা হয় এই সদ্য ঘোষিত কমিটি নিয়ে। তারা বেশ উচ্ছ্বসিত। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দু’একজন জানান, তাদের সময়কার সাবেক তুখোর ছাত্রদল নেতা রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বর্তমানে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটিতে গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকায় সদ্য ঘোষিত কমিটিতে তাদের মূল্যায়ন করা হয়েছে। এতে দলের জন্য ভালই হবে বলে মনে করছেন তারা।

আশি-নব্বই দশকের ছাত্রনেতা সৈয়দ শাহীন শওকত সদ্য ঘোষিত কেন্দ্রীয় কমিটিতে স্থান পেয়েছেন সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে। তিনি বলেন, দীর্ঘদিন পর এবার আশি ও নব্বই দশকের সাবেক ছাত্রদল নেতারা মূল্যায়িত হয়েছেন। এটা অবশ্য ম্যাডামের (খালেদা জিয়া) দীর্ঘদিনের পরিকল্পনা ছিল বলে উল্লেখ করেন তিনি।

আশি ও নব্বই দশকের সাবেক ছাত্রদল নেতাদের এই কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করার ক্ষেত্রে রুহুল কবির রিজভীর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল বলে জনশ্রুতি সম্পর্কে জানতে চাইলে শাহীন শওকত বলেন, রিজভী আহমেদ বিএনপির বিপদের কাণ্ডারি। ফলে দলের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে দলের ত্যাগী নেতাদের নিয়ে কমিটি গঠনে যদি কোনো ভূমিকা রেখে থাকেন তাতে দোষের কি? তিনি তো সেই ওয়ান ইলিভেন থেকেই দলকে ভয়াবহ বিপর্যয় থেকে রক্ষা করে আসছেন।

তিনি আরো বলেন, রিজভী আহমেদ এমন এক নেতা যিনি দলের জন্য জীবনবাজি রেখে কাজ করে যাচ্ছেন। ফলে তার ভূমিকাকে যারা বাঁকা চোখে দেখেন তারা মূলত দলের ভালো চান না।

সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ শাহীন শওকত আরো বলেন, নবীণ-প্রবীনের সমন্বয়ে একটি চমৎকার কমিটি হয়েছে। এই নবীণ-প্রবীনের সমন্বয়ে ত্যাগী নেতাদের কমিটি নিয়ে গঠিত কমিটির মাধ্যমে বিএনপি আবার ঘুরে দাঁড়াতে সক্ষম হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

এদিকে সদ্য ঘোষিত কমিটি সম্পর্কে জানতে চাইলে নতুন যুগ্ম-মহাসচিব হারুণ অর রশীদ সরাসরি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। ভবিষ্যতই সবকিছু বলে দিবে বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ‘দেশে যখন যেখানে গণতন্ত্র নেই, মানুষের বাকস্বাধীনতা সেখানে বিএনপির কমিটি নিয়ে লিখে কী হবে? পারলে এগুলো নিয়ে লিখুন।’

এছাড়া আরো কয়েক নেতার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা কমিটি সম্পর্কে এখনো কোনো প্রতিক্রিয়া জানাতে রাজি হননি।

সম্প্রতি বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়। এতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কয়েকজন অধ্যাপকও পেয়েছেন গুরুত্বপূর্ণ পদ। নির্বাহী কমিটির পদ দেয়া হয়েছে ছাত্রদলের সাবেক বেশ কয়েকজন নেতাকে।

দীর্ঘ অপেক্ষার পর ঘোষিত এই কমিটিতে নবীন-প্রবীনের যেমন সমন্বয় হয়েছে। পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদে  নারীদেরকেও রাখা হয়েছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নারীর ক্ষমতায়ন এবং নেতৃত্ব বিকাশের লক্ষ্য হিসেবেই পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে নারীদের জায়গা দিয়েছে বিএনপি।

গত ৬ আগস্ট নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে স্থায়ী কমিটিসহ পূর্ণাঙ্গ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যদের নাম পাঠ করা হয়। স্থায়ী কমিটির ১৯ সদস্যের মধ্যে ১৭ জনের নাম ঘোষণা করে নতুন মহাসচিব মির্জা ফখরুল বলেন, বাকি দু’জনের নাম পরে জানানো হবে বলে উল্লেখ করেন।

এ দিকে বিএনপির পূর্ণাঙ্গ জাতীয় নির্বাহী কমিটিতে ১৮০ জন পুরনো সদস্যের সাথে নতুন আরো ১১৩ জন সদস্য স্থান পেয়েছেন। এ ছাড়া দলের কিছু নেতার অতীত কর্মকাণ্ডে নাখোশ ছিল বিএনপির হাইকমান্ড এমন কিছু নেতাকে চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য করা হয়েছে।

এ ছাড়া বিএনপির সিনিয়র নেতাদের মধ্যে ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনের ছেলে খন্দকার মারুফ হোসেন, আব্দুল আউয়াল মিন্টুর ছেলে তাবিথ আওয়াল, মরহুম সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ছেলে হুম্মাম কাদের চৌধুরীকে নির্বাহী কমিটির সদস্য পদে রাখা হয়েছে। আর নতুন মুখ হিসেবে মির্জা আব্বাসের স্ত্রী আফরোজা আব্বাসকে সহমহিলাবিষয়ক সম্পাদক এবং সালাহউদ্দিন আহমেদের স্ত্রী হাসিনা আহমেদ ও মরহুম নাসির উদ্দিন আহম্মেদ পিন্টুর স্ত্রী নাছিমা আক্তার কল্পনাকে নির্বাহী সদস্য করা হয়েছে। অন্য দিকে নিখোঁজ এম ইলিয়াস আলীর স্ত্রী তাহসিনা রুশদির লুনাকে চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা করা হয়েছে।

তা ছাড়া বিএনপির আগের কমিটির সহছাত্রবিষয়ক সম্পাদক সুলতান সালাহউদ্দিন টুকুসহ আরো কয়েকজন নেতাকে নতুন কমিটিতে কোনো পদে রাখা হয়নি। এ দিকে ড. আসাদুজ্জামান রিপন ও আবু নাসের মো: ই্য়াহিয়াকে সম্পাদক হিসেবে বিশেষ দায়িত্বে রাখা হয়েছে। ড. আসাদুজ্জামান আগের কমিটিতে আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন।

স্থায়ী কমিটি: দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটিতে পুরনো ১৪ জনের সাথে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সালাহউদ্দিন আহমেদকে নিয়েছেন খালেদা জিয়া। সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী আমীর খসরু এত দিন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদে ছিলেন। আর কক্সবাজারের সালাহউদ্দিন আগের কমিটিতে ছিলেন যুগ্ম মহাসচিব। গত বছর তাকে অপহরণের পর ওই বছরেরই মে মাসে ভারতের মেঘালয় রাজ্যের শিলংয়ে তার সন্ধান মেলে। এখনো সেখানেই অবস্থান করছেন তিনি। এ ছাড়া মহাসচিব হওয়ার পর মির্জা ফখরুল ইসলামও স্থায়ী কমিটিতে নতুন সদস্য। স্থায়ী কমিটিতে আগের ১৪ জন রয়েছেন। অসুস্থতার কারণে নিষ্ক্রিয় এম শামসুল ইসলাম ও সারোয়ারি রহমানকে স্থায়ী কমিটি থেকে বাদ দেয়া হয়েছে। আগের স্থায়ী কমিটির সদস্যদের মধ্যে আর এ গণি এবং খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন মারা গেছেন। মানবতাবিরোধী অপরাধে ফাঁসি হয় সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর।

চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া নতুন স্থায়ী কমিটির প্রথম সদস্য। দ্বিতীয় সদস্য হিসেবে রয়েছেন তার ছেলে লন্ডনে থাকা তারেক রহমান। তিনি দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যানও। ক্রমানুসারে সালাহউদ্দিন আহমেদ স্থায়ী কমিটির সর্বকনিষ্ঠ সদস্য, তার আগের ১৭ ও ১৮ নম্বর সদস্যের নাম ঘোষণা করা হয়নি।

উপদেষ্টা: এ দিকে ৭৩ সদস্যের বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদেও অনেক নতুন মুখ যোগ হয়েছে। নতুন মুখের মধ্যে আমান উল্লাহ আমান ও মিজানুর রহমান মিনু(আগের কমিটির যুগ্ম মহাসচিব), আবুল খায়ের ভুঁইয়া, গাজী মাজহারুল আনোয়ার, প্রকৌশলী আ ন হ আক্তার, সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমি, ইসমাইল জবিউল্লাহ, গোলাম আকবর খোন্দকার, কাজী আসাদ, কবির মুরাদ, ফজলুর রহমান, আতাউর রহমান ঢালী (ছাত্রমৈত্রীর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি), ড. এনামুল হক চৌধুরী (যিনি আগের কমিটিতে চেয়ারপারসনের মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক বিশেষ দূতের দায়িত্বে ছিলেন), অধ্যাপক ড. সুকোমল বড়ুয়া, (ঢাবি) বিজন কান্তি সরকার, সঞ্জিব চৌধুরী, সৈয়দ আলমগীর হোসেন অন্যতম।

ভাইস চেয়ারম্যান: নতুন কমিটিতে ৩৫ সদস্যবিশিষ্ট ভাইস চেয়ারম্যানের মধ্যে নতুন মুখ ২১ জন। তবে নতুন কমিটিতে বিদায়ী কমিটির কাউকে বাদ দেয়া হয়নি। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যানের কমিটি ১৭ সদস্যবিশিষ্ট (চেয়ারম্যান ও সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যানসহ) ছিল। তবে ষষ্ঠ জাতীয় কাউন্সিলের মাধ্যমে এ সংখ্যা বাড়িয়ে ৩৫ করা হয়। ভাইস চেয়ারম্যান পদে নতুন এসেছেন- মিসেস রাবেয়া চৌধুরী, অধ্যাপক আব্দুল মান্নান, আব্দুল মান্নান, বরকত উল্লাহ বুলু, মোহাম্মদ শাহজাহান, মীর নাছির, অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, ড. ওসমান ফারুক, মেজর জেনারেল (অব:) রুহুল আলম চৌধুরী, মেজর জেনারেল (অব:) মাহমুদুল হাসান, এনাম আহমেদ চৌধুরী, ব্যারিস্টার আমিনুল হক, আব্দুল আউয়াল মিন্টু, অধ্যাপক ডা: এ জেড এম জাহিদ হোসেন, শামসুজ্জামান দুদু, অ্যাডভোকেট আহমেদ আযম খান, অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদিন, অ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী, গিয়াস কাদের চৌধুরী ও শওকত মাহমুদ। তারা বিদায়ী কমিটিতে চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও যুগ্ম মহাসচিব ছিলেন। বিদায়ী ভাইস চেয়ারম্যানদের মধ্যে শমসের মোবিন চৌধুরী বিএনপি থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে পদত্যাগ করেন এবং সৈয়দা রাজিয়া ফয়েজ মারা গেছেন।

এ দিকে নতুন ভাইস চেয়ারম্যান মোসাদ্দেক আলী কমিটি ঘোষণার পর ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে তিনি বিএনপির কমিটি থেকে পদত্যাগ করেছেন।

নির্বাহী কমিটির অন্যান্য পদে নতুন যারা: কমিটিতে নতুন মুখের মধ্যে প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, আন্তর্জাতিক সম্পাদক ব্যারিস্টার নওশাদ জমির ও অ্যাডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদার, শিক্ষাসম্পাদক হিসেবে নতুন মুখ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম, সহপ্রশিক্ষণ সম্পাদক পদে ঢাবির অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খান, সমাজকল্যাণ সম্পাদক কামরুজ্জামান রতন, তথ্যবিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক আমিনুল হক, প্রশিক্ষণ সম্পাদক এ বি এম মোশাররফ হোসেন, সহসাংগঠনিক পদে খুলনা বিভাগে অনিন্দ ইসলাম অমিত, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, বন ও পরিবেশ সম্পাদক মোসাদ্দেক আলী বুলবুল (রাজশাহী সিটি মেয়র), বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক প্রকৌশলী রিয়াজুল ইসলাম, সহদফতর পদে মুনির হোসেন (স্বেচ্ছাসেবক দল) ও বেলাল হোসেন, সহতথ্য ও গবেষণা পদে কাদের গনি চৌধুরী ও আমিরুজ্জামান খান শিমুল, শাম্মী আক্তারকে সহস্থানীয় সরকারবিষয়ক সম্পাদক, সহজলবায়ু পরিবর্তন সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, স্বনির্ভরবিষয়ক সহসম্পাদক নিলোফার চৌধুরী মনি।

এ ছাড়া নির্বাহী কমিটিতে একেবারেই নতুন মুখ হিসেবে পদ পেয়েছেন যুবদলের মোজাম্মেল হোসেন, আব্দুল হামিদ, শামসুজ্জামান সুরুজ, কাজী রফিক, ছাত্রদলের আব্দুল কাদের ভুঁইয়া জুয়েল, হাবিবুর রশিদ হাবিব, রাজিব আহসান, আকরামুল হাসান, মামুনুর রশিদ, হাসান মামুন, নুরুল ইসলাম নয়ন, হায়দার আলী লেলিন, বজলুল করিম চৌধুরী আবেদ, আব্দুল মতিন, ওমর ফারুক সাফিন, আবু বকর সিদ্দিক, ওবায়দুল হক নাছির, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাইফুল ইসলাম পটু ও অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম অন্যতম।

কমিটিতে নারীদের মধ্যে যারা জায়গা পেয়েছেন: বিএনপির এবারের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে নারীদেরকেও প্রাধান্য দেয়া হয়েছে। দেয়া হয়েছে গুরুত্বপূর্ণ পদ। নারীদের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক তাজমেরি এস এ ইসলাম, অধ্যাপক ড. শাহিদা রফিক, রোজি কবির, তাহসিনা রুশদি লুনা, আফরোজা খান রিতাকে চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য করা হয়েছে। অন্য দিকে ভাইস চেয়ারম্যান পদে রাখা হয়েছে সেলিমা রহমানকে। ফরিদপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক পদ দেয়া হয়েছে শামা ওবায়েদকে। প্রশিক্ষণবিষয়ক সম্পাদক রাশেদা বেগম হীরা, স্বনির্ভরবিষয়ক সম্পাদক শিরিন সুলতানা, সহআন্তর্জাতিক সম্পাদক পদে অ্যাডভোকেট ফাহিমা মুন্নি, ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা ও বেবী নাজনীন, সহশিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক হেলেন জেরিন খান ও ফরিদা মনি শহিদুল্লাহ, প্রান্তিক জনশক্তি উন্নয়নবিষয়ক সহসম্পাদক অপর্ণা রায়, ত্রাণ ও পুনর্বাসনবিষয়ক সহসম্পাদক নেওয়াজ হালিমা আরলি, সহপ্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক রেহেনা আক্তার রানু, সহস্বনির্ভর সম্পাদক নিলোফার মনি, সহতাঁতী বিষয়ক সম্পাদক রাবেয়া সিরাজ, মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আসিফা আশরাফি পাপিয়া। সব মিলিয়ে মোট ৬০ জনের বেশি নারী কেন্দ্রীয় কমিটিতে স্থান পেয়েছেন।

সর্বমোট পাঠক


বাংলাভাষায় পুর্নাঙ্গ ভ্রমণের ওয়েবসাইট