প্রধান বিচারপতিকে অপসারণ করে উচ্চ আদালতকেও নিয়ন্ত্রণে নিলো সরকার : জয়নুল

প্রকাশিত: ৬:৩১ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১১, ২০১৭

প্রধান বিচারপতিকে অপসারণ করে উচ্চ আদালতকেও নিয়ন্ত্রণে নিলো সরকার : জয়নুল

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন বলেছেন, প্রধান বিচারপতিকে অপসারণের মধ্য দিয়ে উচ্চ আদালতকেও নিয়ন্ত্রণে নিলো সরকার- এ ঘটনা বিচারবিভাগের জন্য কাল অধ্যায়।

প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহার পদত্যাগের পর শনিবার সন্ধ্যায় সংবাদ সম্মেলন করে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহা কীভাবে পদত্যাগ করলেন কানাডায় থেকে তা সরকারের কাছে জানতে চেয়ে অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদিন বলেন, আমরা সকালে সংবাদমাধ্যমে জেনেছি প্রধান বিচারপতি অস্ট্রেলিয়া থেকে কানাডা গেছেন। দুপুরে জানতে পারলাম তিনি নাকি রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন।

তিনি বলেন, এর আগে আইনমন্ত্রী বলেছিলেন ই-মেইলের মাধ্যমে পদত্যাগপত্র পাঠালে তা গ্রহণযোগ্য হবে না। তাহলে কানাডা থেকে প্রধান বিচারপতি কীভাবে পদত্যাগ করলেন? তিনি কি ই-মেইলে পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন, নাকি সরকারের কোনও এজেন্সির লোক গিয়ে তার কাছ থেকে পদত্যাগপত্র নিয়ে এসেছেন?

রাষ্ট্রপতি নিজেও সংবিধান লঙ্ঘন করেছেন : জয়নুল আবেদীন
এর আগে ১৫ অক্টোবর প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহাকে বাদ দিয়ে আপিল বিভাগের অন্য বিচারপতিদের নিয়ে আলোচনা করার মাধ্যমে রাষ্ট্রপতি সংবিধান লঙ্ঘন করেছেন বলে মন্তব্য করেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবেদীন।

ওইদিন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতির কক্ষে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে তিনি এ কথা বলেন।

জয়নুল আবেদীন বলেন, ‘রাষ্ট্রপতি প্রধান বিচারপতিকে বাদ দিয়ে অন্য বিচারপতিদের ডেকে আলোচনা করেছেন এবং তারপর তাদের বুঝিয়েছেন যে এটা সংবিধানে নেই। এর মাধ্যমে রাষ্ট্রপতিও সংবিধান ভায়োলেট (লঙ্ঘন) করেছেন।’

৯৭ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞাকে প্রধান বিচারপতি ঘোষণা সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘৯৭ অনুচ্ছেদ সম্পর্কে আইনমন্ত্রী যে ব্যাখ্যা দিয়েছেন তার কোনো বিধান নেই। এখানে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে যে, তারা উদ্দেশ্যমূলকভাবে নাটক সৃষ্টি করেছেন।’

সংবিধানের ৯৭ অনুচ্ছেদ অনুসারে গেজেট প্রকাশের কোনো বিধান নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘যদি পদটি (প্রধান বিচারপতির) শূন্য হতো তাহলে শপথ পড়ানোর প্রয়োজন আছে। ভারপ্রাপ্তকে তো শপথ পড়ানো হয়নি। তাই তিনি প্রধান বিচারপতি নন। সংবিধানের এই ভায়োলেশন (লঙ্ঘন) জাতির জন্য খুবই দুঃখজনক।’

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক ও বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন।

সর্বমোট পাঠক


বাংলাভাষায় পুর্নাঙ্গ ভ্রমণের ওয়েবসাইট