দক্ষিণ সুরমার সিলাম ইউনিয়নের নিজ সিলাম গ্রামের পরিবহন শ্রমিক (বাস চালক) আলকাছ মিয়ার প্রথম পুত্র মোঃ আব্দুল আলীকে ২০১৫ সালের ১২ আগষ্ট বাড়ি থেকে টেলিফোন করে মদন মোহন কলেজে ডেকে নেয় আসামীরা। সকাল পৌনে ১০টায় সে বাড়ি থেকে বের হয় এবং সোয়া ১২টায় তার সহপাঠিরা তার গুরুতর অসুস্থতার কথা তার পিতাকে জানায়। বেলা আড়াইটায় তার লাশ তার পিতা সিলেট ওসমানী হাসপাতালে দেখতে পান। কলেজের ২য় তলায় শহীদ সুলেমান হলে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে কথা কাটাকাটির জের ধরে আসামী প্রণজিৎ দাশ সহ অন্যান্যরা ধারালো ছুরি দিয়ে আব্দুল আলীর তল পেটে, বাম ও ডান স্তনের নীচে এবং বাম হাতের বগলের নীচে ঘাই মেরে মারাত্মক জখম করে। পরে ওসমানী হাসপাতালে নেওয়ার পর তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় মদন মোহন কলেজ ছাত্রলীগ নেতা নিহত আব্দুল আলীর পিতা আলকাছ মিয়া বাদী হয়ে প্রায় ২৪ জনকে আসামী করে ২০১৫ সালের ১৩ আগষ্ট সিলেট কোতোয়ালী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-১১। পুলিশ এই ঘটনায় জড়িত আসামী প্রণজিৎ দাশ, আব্দুর মিয়া ও মাসুদকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করে। রাজীব ও তানভীর এখনো পলাতক। শুধু আব্দুর মিয়া বর্তমানে জামিনে আছে। বিজ্ঞপ্তি