ছাতকে মিলন ও মিজান গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া : গ্রেফতার ১

প্রকাশিত: ৮:৩০ অপরাহ্ণ, আগস্ট ৭, ২০১৬

 ছাতক সংবাদ দাতা : গোবিন্দগঞ্জ কলেজ ছাত্রদলের আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিবদমান দুই গ্রুপের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ঘটেছে। বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা সাবেক এমপি কলিম উদ্দিন আহমদ মিলন সমর্থিত ছাত্রদলের নেতাকর্মী ও বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ও ছাতক উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান চৌধুরী মিজানের কর্মীদের মধ্যে দুপুর ১ টায় কলেজ কেম্পাসে মিলন সমর্থিত একাংশের সভাপতি মতিউর রহমান রুমান এর নেতৃত্বে অপর গ্রুপের মিজান সমর্থিত উপজেলা ছাত্রদলের সিনিয়র কোন নেতাকর্মী না থাকায় এক পর্যায়ে উপজেলা ছাত্রদলের খলিলুর রহমান ফয়স ও শাব্বির আহমদ সারওয়ারের নেতৃত্বে উভয় গ্রুপের নেতাকর্মীরা আলাদা আলাদা অবস্থান নিয়ে এক প্রর্যায়ে মুখোমুখী সংর্ঘষে লিপ্ত হয়। ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার মধ্যে আমিন ফিলিং ষ্টেশন ভাংচুর করে মিলন গ্রুপের কর্মীরা। পাল্টা ধাওয়া করে মিজান গ্রুপের কর্মীরা স্থানীয় ফরিজা ম্যানশনে মিলন গ্রুপের অফিস ভাংচুর করে। সংঘর্ষের সময় সিলেট, সুনামগঞ্জ ও ছাতক রোডের রাস্তা যানজট সৃষ্টি হয়। সংঘর্ষে আহত হন মিলন গ্রুপের মোল­া সুমন, আলমগীর, মাহবুব’সহ ৮-১০ জন। মিজান গ্রুপে সাদিক, আমির আলীসহ ৪-৫জন। আহতরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন গোবিন্দঞ্জ কৈতক হাসপাতাল থেকে । বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষের খবর পেয়ে তাৎক্ষনিক ছাতক থানা পুলিশ ঘটনাস্থল এসে উভয় গ্রুপের নেতাকর্মীকে শান্ত থাকার পরামর্শ দেন। পরে মিলন গ্রুপের ছাত্রদল নেতা আব্দুল মুমিন কে পুলিশ গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায়।
বর্তমানে গোবিন্দগঞ্জে অবস্থান নিয়ে মিজান গ্রুপের নেতাকর্মীরা মিছিল ও সমাবেশ করে। বর্তমানে গোবিন্দগঞ্জসহ আশপাশের এলাকায় যে কোন সময় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটতে পারে।  দুই গ্রুপের নেতাকর্মীদের মধ্যে তমতমে অবস্থা বিরাজ করছে।
ছাতক থানার এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, দুই গ্রুপের লোকদের আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বর্তমানে দুই গ্রুপের নেতামর্কী শান্ত রয়েছে । এবং  অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ায়েন করা হয়েছে।

সর্বমোট পাঠক


বাংলাভাষায় পুর্নাঙ্গ ভ্রমণের ওয়েবসাইট