১২ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৮শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৮:৫৪ অপরাহ্ণ, মে ৫, ২০১৭
রমজানের আরো তিন সপ্তাহ বাকি। এরইমধ্যে বাড়তে শুরু করেছে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম। বিশেষ করে পেঁয়াজ, রসুন, ডাল, ছোলা, চিনি ও চলের দামসহ কাঁচা পণ্যের দাম বেড়েছে। পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকলেও টানা বৃষ্টির অজুহাতে রাজধানীর বাজারগুলোতে বেশ চড়া দামে মাছ ও সবজি বিক্রি হচ্ছে।
তবে ব্যবসায়ীরা নানা অজুহাত দেখালেও ক্রেতারা মানতে নারাজ। ক্রেতারা বলছেন, বছরের বিভিন্ন সময়ে নানা অযুহাতে দাম বাড়ায় ব্যবসায়ীরা। বিশেষ করে প্রতি বছর রমজান মাস এলেই দাম বাড়াতে নানা কৌশলের আশ্রয় নেয় তারা।
শুক্রবার রাজধানীর কারওয়ান বাজার, হাতিরপুল বাজারসহ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সপ্তাহের ব্যবধানে চাল, চিনি, ডাল ও সবজির দাম কেজিতে ৫ টাকা থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। তবে আগের বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ ও রসুন।
ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যতালিকা পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, চালের দাম কেজি প্রতি ৪-৬ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। নতুন চাল এবং সারাদেশে বৃষ্টিপাতের অজুহাতে চালের দাম গত দুই সপ্তাহ আগে এক দফা বাড়িয়েছিলেন ব্যবসায়ীরা। চলতি সপ্তাহে আরেক দফা বাড়ানো হলো।বাজারে মোটা স্বর্ণা চাল কেজি প্রতি ৩ টাকা বেড়ে ৪৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে, পারিজা চাল ৪৪-৪৫ টাকা, মিনিকেট (ভালো মানের) ৫৬-৫৭ টাকা, মিনিকেট (সাধারণ) ৫৩-৫৪ টাকা, বিআর২৮ চালের দাম ৪৮-৫০ টাকা, সাধারণ মানের নাজিরশাইল ৬ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৫৪ টাকা ও উন্নতমানের নাজিরশাইল ৫৬ টাকা। পাইজাম চাল কেজিতে ২ টাকা বেড়ে ৪৮-৫০ টাকা, বাসমতি ৫৬ টাকা, কাটারিভোগ ৭৬-৭৮ টাকা, হাস্কি নাজির চাল ৪১ টাকা এবং পোলাও চাল ১০০ (পুরাতন), নতুন ৭৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
রমজানকে কেন্দ্র করে বাজারে ছোলা ও ডালের দাম আরো এক ধাপ বেড়েছে। গত সপ্তাহে ৯০ টাকা দরে বিক্রি হওয়া ছোলা ৯৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। মুগ ডালের দাম গত সপ্তাহে কেজিতে ১০ টাকা বাড়ার পর আরও ৫ টাকা বেড়ে ১৩৫ টাকা ও ভারতীয় মুগ ডাল ১২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মাসকলাই ১৩৫ টাকা, দেশি মসুর ডাল ৫ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে ১২৫ টাকা, ভারতীয় মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা দরে।
চিনির দাম কেজিতে প্রায় ৫-৮ টাকা বেড়েছে। গত সপ্তাহে ৬৫ টাকা দরে বিক্রি হওয়া চিনি ৭২-৭৩ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। গত কয়েক সপ্তাহের বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ ও রসুন। দেশি রসুন বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকায়। ভারতীয় রসুন কেজিপ্রতি ২৩০ টাকা দরে বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা।
সব ধরনের ভোজ্য তেল গত সপ্তাহের বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে। ৫ লিটারের বোতল ব্র্যান্ড ভেদে ৫০০ থেকে ৫১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি লিটার ভোজ্য তেল বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১০৬ টাকা দরে। লবণ কেজিতে ২ টাকা বেড়ে ৩৮ টাকায়; দারুচিনি ১০ বেড়ে ৩৬০ টাকা; জিরা ৪৫০ টাকা; শুকনা মরিচ ২০০ টাকা; লবঙ্গ ১৫০০ টাকা; এলাচ ১৬০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
কাপ্তান বাজারের মুদি ব্যবসায়ী আকাশ বলেন, পাইকারি বাজার থেকে সব ধরনের পণ্য বাড়তি দামে কিনতে হচ্ছে। ফলে খুচরা পর্যারে দাম বাড়াতে বাধ্য হচ্ছি।
পাইকারি থেকে শুরু করে যেকোনো স্তরে দাম বাড়লে তার ভার পরে সাধারণ ক্রেতাদের ওপর। তারা বলছেন, ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন কৌশলে দাম বাড়ায়। সাপ্তাহিক ছুটির দিনে বাজার করতে আসা বেসরকারি ব্যাংক কর্মকর্তা ফজলে রাব্বি ফেমাস নিউজ২৪ডটকমকে বলেন, সুষ্ঠু মনিটরিং না থাকলে বাজারের দৈন্যদশা চলবে। যে যার মতো লুট করে নিচ্ছে। আমাদের তাই-ই মেনে নিতে হচ্ছে।
কাঁচা পণ্যের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সব ধরনের সবজির দাম ৫-১০ টাকা হারে বেড়েছে। টমেটো কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে ৬০ টাকা, সাদা বেগুন ৬০-৭০ টাকা, কালো বেগুন ৬০-৮০ টাকা, শিম ৫০ থেকে ৫৫ টাকা, শশা ৪৫ থেকে ৫০ টাকা, চাল কুমড়া ৩০ টাকা, কচুর লতি ৬০ টাকা, পটল ৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, ঝিঙ্গা ৭০ টাকা, চিচিঙ্গা ৭০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, কাকরোল ৬০ টাকা, কচুরমুখী ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
২০ টাকা বেড়ে প্রতিটি ফুলকপি ৬০ টাকা, বাঁধাকপি ৫০ টাকা এবং লেবু হালি প্রতি ২০ থেকে ৪০ টাকা, পালং শাক আঁটি প্রতি ১৫ টাকা, লালশাক ১৫ টাকা, পুঁইশাক ২০ টাকা এবং লাউশাক ২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কেজি প্রতি আলু ২০ টাকা, পেঁপে ২৫ থেকে ৩০ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে।
মাছের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, আকার ভেদে প্রতি কেজি রুই মাছ ২৫০-৩৫০ টাকা, সরপুঁটি ৩৫০-৪৫০ টাকা, কাতলা ৩৫০-৪০০ টাকা, তেলাপিয়া ১৪০-১৮০ টাকা, সিলভার কার্প ১৫০-২০০ টাকা, চাষের কৈ ২০০-২৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। পাঙ্গাস প্রতি কেজি ১৩০-১৮০ টাকা, টেংরা ৬০০ টাকা, মাগুর ৬০০-৮০০ টাকা, প্রকার ভেদে চিংড়ি ৪০০-৮০০ টাকা, প্রতিটি ইলিশ ১৫০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে; প্রতি কেজি ইলিশের দাম রাখা হচ্ছে ১৬০০ টাকা।
তবে মাংসের বাজারে তেমন পরিবর্তন আসেনি। গরুর মাংস প্রতি কেজি ৫০০ টাকা, খাসির মাংস প্রতি কেজি ৭৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকায়। এছাড়া লেয়ার মুরগি ১৮০, দেশি মুরগি ৪০০, পাকিস্তানি লাল মুরগি ২৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
EDITOR & PUBLISHER :
DR. ARIF AHMED MOMTAZ RIFA
MOBILE : 01715110022
PHONE : 0821 716229
OFFICE : SHUVECHCHA-191
MIAH FAZIL CHIST R/A
AMBAKHANA WEST
SYLHET-3100
(Beside Miah Fazil Chist Jame Masjid & opposite to Rainbow Guest House).
E-mail : sylhetsangbad24@gmail.com
Hello : 01710-809595
Design and developed by M-W-D