ফের জেন-জি বিক্ষোভে উত্তাল পেরু, জরুরি অবস্থা ঘোষণা

প্রকাশিত: ১১:০০ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২২, ২০২৫

ফের জেন-জি বিক্ষোভে উত্তাল পেরু, জরুরি অবস্থা ঘোষণা

Manual1 Ad Code

আবারও জেন-জি বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছে দক্ষিণ আমেরিকার দেশ পেরু। বিক্ষোভ দমনে রাজধানী লিমায় ৩০ দিনের জন্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন দেশটির অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট হোসে জেরি।

Manual8 Ad Code

বুধবার (২২ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে আল জাজিরা।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, জরুরি অবস্থার অধীনে পেরুর সরকার সেনাবাহিনীকে রাস্তায় টহল দেওয়ার অনুমতি দেবে এবং নাগরিকদের সমাবেশসহ বিভিন্ন সাংবিধানিক অধিকার সীমিত করবে।

মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) টেলিভিশনে দেওয়া এক ভাষণে দেশটির অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট হোসে জেরি বলেন, যুদ্ধ কথায় নয়, কাজে জেতা যায়। দেশজুড়ে অপরাধ মোকাবিলায় এবার নতুন কৌশল নেওয়া হবে, যা হবে ‘প্রতিরক্ষা থেকে আক্রমণে যাওয়ার’ উদ্যোগ।

ছয়দিন ধরে অনিশ্চয়তার পর অবশেষে পেরুর অন্তর্বর্তী সরকার এই পদক্ষেপ নিলো। তবে, সরকারি ঘোষণায় কোথাও উল্লেখ করা হয়নি কীভাবে দেশজুড়ে বেড়ে যাওয়া চাঁদাবাজি ও চোরাচালান দমনে প্রয়োজনীয় গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ করা হবে।

সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এ বছর পেরুতে প্রায় ১৮ হাজার চাঁদাবাজির ঘটনা ঘটেছে, যা গত বছরের তুলনায় প্রায় ৩০ শতাংশ বেশি। এর সঙ্গে বেড়েছে হত্যাকাণ্ডও। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ১ হাজার ৬৯০টি হত্যার ঘটনা রেকর্ড করেছে পুলিশ, যেখানে ২০২৪ সালের একই সময়ে এ সংখ্যা ছিল ১ হাজার ৫০২।

Manual3 Ad Code

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জরুরি অবস্থা কার্যকর থাকলে মানুষ আর বিক্ষোভ করার সাংবিধানিক অধিকার পাবে না।

গত ১০ অক্টোবর দুর্নীতি ও অপরাধ দমনে ব্যর্থতার অভিযোগে দিনা বোলুয়ার্তেকে অভিশংসনের মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট পদ থেকে অপসারণ করে পেরুর কংগ্রেস। এরপরই অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেন সংসদের স্পিকার হোসে জেরি। আগামী জুলাই পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করবেন তিনি।

দুর্নীতি ও সংগঠিত অপরাধের প্রতিবাদে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে বিক্ষোভ চলছে পেরুতে। এতে নেতৃত্ব দিচ্ছে দেশটির তরুণ প্রজন্ম। গত বৃহস্পতিবার জেরির পদত্যাগ দাবিতে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়লে একজন নিহত হন এবং প্রায় ১০০ জন আহত হন। তবে, প্রেসিডেন্ট জেরি জানিয়েছেন, তিনি পদত্যাগ করবেন না।

Manual3 Ad Code

এর আগে, মার্চ মাসে প্রেসিডেন্ট বোলুয়ার্তেও খ্যাতনামা সংগীতশিল্পী পল ফ্লোরেস খুনের পর ৩০ দিনের জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছিলেন। তবে, সে সময়ও অপরাধ কমেনি। ফ্লোরেসকে হত্যার ঘটনাটি ঘটেছিল একটি বাসে, যাতে চাঁদাবাজির উদ্দেশ্যে হামলা চালানো হয় বলে জানা যায়।

Manual4 Ad Code


 

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

সর্বমোট পাঠক


বাংলাভাষায় পুর্নাঙ্গ ভ্রমণের ওয়েবসাইট

Manual1 Ad Code
Manual5 Ad Code