সিলেটে ব্যাটারী রিক্সা চলাচলের দাবিতে ডিসি ও পুলিশ কমিশনারের কাছে স্মারকলিপি

প্রকাশিত: ১০:৫৪ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১৫, ২০২৫

সিলেটে ব্যাটারী রিক্সা চলাচলের দাবিতে ডিসি ও পুলিশ কমিশনারের কাছে স্মারকলিপি

Manual7 Ad Code

জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়ক ব্যতিত সিলেট সিটি কর্পোরেশন এলাকায় বৈধভাবে ব্যাটারী চালিত রিক্সা/ইজিবাইক চালানোর অস্থায়ী অনুমতি প্রদানের দাবিতে সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. সারওয়ার আলম ও পুলিশ কমিশনার এবং সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী বরাবরে পৃথক ভাবে স্মারক লিপি প্রদান করা হয়েছে।

বুধবার (১৫ অক্টোবর) দুপুরে সিলেট মহানগর ব্যাটারী চালিত রিক্সা/ইজি বাইক মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আবু বকর সিদ্দিক এর নেতৃত্বে জেলা প্রশাসক, পুলিশ কমিশনার ও সিসিকের প্রধান নির্বাহী বরাবরে এই স্মারক লিপি প্রদান করা হয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের সহ সভাপতি আব্দুর রহমান, দেলোয়ার হোসেন, সহ সাধারণ সম্পাদক হোসাইন আহমদ, সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল কাশেম, প্রচার সম্পাদক আব্দুস সোবহান, কোষাধ্যক্ষ মিজানুর রহমান মোল্লা, আইন সম্পাদক হাবিবুর রহমান, অফিস সম্পাদক আলমগীর হোসেন সালমান, ক্রীড়া সম্পাদক কয়েছ আহমেদ, নির্বাহী সদস্য রাজু মিয়া, সামছুল আলম, মোবারক আলী, শাহ আলম, খালেদ নুর, নোমান মিয়া, অলিউর রহমান, আব্দুল বাছিত, রাসেল আহমদ প্রমুখ।

স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়- শাহজালাল ও শাহপরান ৩৬০ আউলিয়ার পূর্নভূমিতে সিলেট মহানগর ব্যাটারী চালিত রিক্সা/ ইজিবাইক মালিক ও শ্রমিকরা অনেক দিন ধরে সরকারের কাছে বৈধভাবে নাম্বার প্লেট দিয়ে রিক্সা চলাচলের জন্য দাবি করে আসছেন। মালিক শ্রমিকরা বিভিন্ন সংস্থা থেকে ঋণ ও কিস্তি তুলে রিক্সা বানিয়ে সংসার চালিয়ে যাচ্ছে। ইতিপূর্বে বাংলাদেশের শ্রমিকরাও অনেক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন, এখন আবার সিলেট সিটি কর্পোরেশন ও পুলিশ হয়রানি করে যাচ্ছে ব্যাটারী চালিত রিক্সা/ইজিবাইক মালিক ও শ্রমিকদের সাথে। এটা অত্যন্ত দুঃখ জনক।

সিলেট মহানগরীতে প্রায় ১৫-২০ হাজার মানুষ জড়িত আছে এই পেশার সাথে। এমতাবস্থায় ব্যাটারী চালিত রিক্সা বন্ধ করায় মানুষ গুলো বেকার হয়েছেন। দরিদ্র মানুষগুলি বেকার হওয়ায় তারা অপরাধজনক কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

স্মারক লিপিতে বলা হয়, স্বাধীনতার ৫৪ বছর হলেও আজও রিক্সা চালকরা মানুষ হয়ে মানুষ টানে। বর্তমান সরকারের উন্নয়নের অংশ হিসেবে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে উঠলেও এতে রিক্সা চালকদের উন্নয়নের কোন ছোয়া লাগেনি। তাই ডিজিটালের অংশ হিসেবে সিলেট সিটি কর্পোরেশন-ব্যাটারী চালিত রিক্সা চলাচলের অনুমতি দিতে হবে। ব্যাটারী চালিত রিক্সা/ইজিবাইক বাংলাদেশের অন্যান্য জেলায় অবাধে চলাচল করলে, সিলেটে কেন চলতে দেওয়া হচ্ছে না, এতে শ্রমিকদের সাথে বৈষম্য করা হচ্ছে।

Manual3 Ad Code

বর্তমানে সিলেট সিটি কর্পোরেশন এলাকার আয়তন ৫৮ বর্গ কিলোমিটার, ওয়ার্ড সংখ্যা ৪২, স্কুল ও কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় সংখ্যা অনুমান ১৩০ এর অধিক, সরকারী ও বেসরকারী মিলিয়ে হাসপাতালে সংখ্যা প্রায় ৫০টি, জনসংখ্যা ৫.৪৮, ৫১৪ জন।

সিলেট শহর এলাকায় রিক্সা/ইজিবাইক চলাচল বন্ধ করায় মালিক-শ্রমিক পরিবার পরিজন নিয়ে কষ্টের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। ব্যাটারী চালিত রিক্সা বন্ধ করায় পরিবহনের অভাবে স্কুল-কলেজ, মাদরাসার শিক্ষার্থী, অভিভাবক, সহ নগরবাসী এবং অফিস আদালতের লোকজন ও নগরের বাহির থেকে আসা জনসাধারণ সময় মত গন্তব্যে পৌঁছাতে পারছেন না।

Manual6 Ad Code

উপরোক্ত সার্বিক দিকগুলো বিবেচনা করে সিলেট সিটি কর্পোরেশন এলাকায় অস্থায়ীভাবে ব্যাটারী চালিত বিন্যা/ইজিবাইক (লাইন্সে ও বেজি: ইসা পূর্ব পর্যন্ত) চালানোর জন্য অনুমতি দেওয়ার জোর দাবি জানান সিলেট মহানগর ব্যাটারী চালিত রিক্সা/ইজি বাইক মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের নেতৃবৃন্দ। বিজ্ঞপ্তি

Manual5 Ad Code


 

Manual5 Ad Code

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

সর্বমোট পাঠক


বাংলাভাষায় পুর্নাঙ্গ ভ্রমণের ওয়েবসাইট

Manual1 Ad Code
Manual2 Ad Code