দেশবাসীকে পয়লা বৈশাখের শুভেচ্ছা জানালেন খালেদা জিয়া

প্রকাশিত: ১১:৫০ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ১৩, ২০১৭

দেশবাসীকে পয়লা বৈশাখের শুভেচ্ছা জানালেন খালেদা জিয়া

বাংলা নববর্ষকে সামনে রেখে দেশ ও দেশের বাইরে বসবাররত সকল বাংলাদেশিকে পয়লা বৈশাখের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।

বৃহস্পতিবার এক বাণীতে খালেদা জিয়া বলেন, ‘পয়লা বৈশাখ ১৪২৪ বঙ্গাব্দ, বাংলা নববর্ষের এই উৎসবমুখর দিনটিতে আমি দেশ-বিদেশের সকল বাংলাদেশিদের জানাই আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা।’

বাণীতে তিনি দেশের এই চরম সংকটকালে বাংলা ভাষা, সংস্কৃতির স্বাতন্ত্র্য বজায় রাখার জন্য সকল আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান।

বেগম জিয়া বলেন, ‘বর্তমানে দেশজুড়ে চলছে এক ভয়াবহ দুর্দিন। মানুষে মানুষে শুভেচ্ছাবোধ ও সহমর্মিতা গণতন্ত্রের সারবত্তা, নানা মত ও পথের বৈচিত্র্যে ভরা বহুমাত্রিকতা আমাদের সমাজ-সংস্কৃতির অন্তরাত্মা। সেই গণতন্ত্রকে রাষ্ট্র ও সমাজ থেকে বিদায় করে দেয়া হয়েছে একমাত্রিক রাষ্ট্রের ভিত্তি হিসেবে দাঁড় করানোর জন্য।’

বাণীতে তিনি আরো বলেন, ‘আবহমানকাল ধরে নুতন আঙ্গিক, রূপ, বর্ণ ও বৈচিত্র্য নিয়ে জাতির জীবনে বার বার ঘুরে আসে পয়লা বৈশাখ। অনন্তকাল ধরে গড়ে উঠা আমাদের ভাষা এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের অহংকার মিশে থাকে নতুন বছরের শুভাগমনে। আমাদের হৃদয়ে উদ্ভাসিত হয় দেশমাতৃকার অতীত গৌরব ও ঐশ্বর্য। আমাদের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের বিশালত্ত্ব, শাশ্বত প্রাচীনতা পবিত্র এক অবিচ্ছেদ্য বন্ধনে আবদ্ধ।’

তিনি বলেন, ‘নানা ঘটনা ও দুর্ঘটনার সাক্ষী ১৪২৩ সালের চৌকাঠ ডিঙিয়ে ১৪২৪ সালের প্রভাতে অজানা কাল-প্রাঙ্গণের সীমানায় আমরা উপস্থিত হয়েছি। গত বছরের দুঃখ, অবসাদ, ক্লান্তি, হতাশা ও গ্লানিকে অতিক্রম করে নতুন উদ্যমে এগিয়ে যাওয়ার নির্দেশনা নিয়ে এসেছে বাংলা নববর্ষ। বাংলা নববর্ষ আমাদের জাতীয় সংস্কৃতির অন্যতম অনুষঙ্গ। বাংলা সন-তারিখ আমাদের প্রাত্যহিক জীবন, দৈনন্দিন অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের অপরিহার্য অনুষঙ্গ, তাই এটি জাতীয় সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ।’

বেগম জিয়া বলেন, ‘সূদীর্ঘকাল ধরে গড়ে ওঠা ভাষা ও কৃষ্টির জমাট মোজাইককে ভেঙে ফেলার জন্য বিদেশি আধিপত্যবাদী প্রভুরা সাংস্কৃতিক আধিপত্য বিস্তারের জন্য মহাপরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে চলেছে। স্বজাতির ইতিহাস ঐতিহ্যকে ভুলিয়ে দেওয়ার জন্য চলছে নানা ফন্দি ফিকির।’

দেশবাসীর সুখ-শান্তি কামনা করে বাণীতে বেগম জিয়া বলেন, ‘এ বছরের প্রথম দিনে আমি সকলের কল্যাণ কামনা করি। নতুন বছর সবার জীবনে বয়ে আনুক অনাবিল সুখ। বাংলাদেশের প্রতিটি ঘরে প্রবাহিত হোক শান্তির অমিয় ধারা, সবার জীবন হয়ে উঠুক সমৃদ্ধময়। আমাদের উৎসবের প্রাঙ্গন ভরে উঠুক মানুষে মানুষে সম্প্রীতি ও ভালবাসায়, বৈশাখের বহ্নিতাপে সমাজ থেকে চিরতরে বিদায় হোক অসত্য, অন্যায়, অনাচার ও অশান্তি। নববর্ষের এই নতুন সকালে মহান আল্লাহর কাছে কায়মনোবাক্যে সকলের ব্যক্তিগত, পারিবারিক এবং জাতীয় সকল পর্যায়ে সুখ ও শান্তি কামনা করি।

সর্বমোট পাঠক


বাংলাভাষায় পুর্নাঙ্গ ভ্রমণের ওয়েবসাইট