শাবিপ্রবির ভর্তি পরীক্ষার ফলাফলে অসংগতি, উদ্বিগ্ন শিক্ষার্থীরা

প্রকাশিত: ১০:০৯ অপরাহ্ণ, মার্চ ৯, ২০২৫

শাবিপ্রবির ভর্তি পরীক্ষার ফলাফলে অসংগতি, উদ্বিগ্ন শিক্ষার্থীরা

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষার রেজাল্ট প্রকাশিত হয়েছে।

রবিবার (৯ মার্চ) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে রেজাল্ট প্রকাশ করা হয়। প্রকাশিত রেজাল্টে দেখা যায় একেকজনের রেজাল্ট কয়েকবার করে প্রকাশিত হয়েছে।

এমনকি প্রকাশিত রেজাল্টের এক পেইজের পিডিএফে ১১ জনের ফলাফলে সমস্যা রয়েছে। কারো ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল তিনবারেরও বেশি এসেছে। এসব ফলাফলে চরম অসংগতি রয়েছে বলেও অভিযোগ শিক্ষার্থীদের। শিক্ষার্থীদের ধারণা এরকম অসংগতি হাজারের ওপরে থাকতে পারে।

এর আগে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের রেজাল্টেও অসংগতি রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন মাহবুবা নামের এক শিক্ষার্থী। এমনকি ফলপ্রকাশের দিন সকাল বেলাও ওয়েবসাইটে তথ্য ভুল প্রদর্শন করছে বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের। এতে ভর্তি পরীক্ষায় প্রকৃত মার্ক পাওয়া থেকে বঞ্চিত হওয়ার আশঙ্কা থেকে দুশ্চিন্তায় পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা।

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি কমিটির কর্তৃপক্ষ বলছে, রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিকম কোম্পানি টেলিটক তথ্য আপডেট করেনি বলে সংশোধন হয়নি।

ময়মনসিংহ বোর্ডের মাহবুবা নামের এই ভর্তি পরীক্ষার্থীর তথ্যে এমন অসামঞ্জস্যতা দেখা গেছে বলে জানান পরীক্ষার্থী নিজেই।

মাহবুবা বলেন, “আমি গত ২৮ ফেব্রুয়ারি শাবিপ্রবির ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা দেই। কিন্তু আবেদনের পর আমার অ্যাকাডেমিক বিভিন্ন তথ্য ভুলভাবে প্রদর্শিত হয়েছে শাবিপ্রবির ভর্তি পরীক্ষার ওয়েবসাইটে। আমার মাধ্যমিকের প্রকৃত জিপিএ ৪ দশমিক ৮৯। অথচ ভর্তি পরীক্ষার ওয়েবসাইটে জিপিএ দেখাচ্ছে ৩ দশমিক ৭৫। একইসাথে আমার মাধ্যমিকের বোর্ড ময়মনসিংহ। কিন্তু ভর্তি পরীক্ষার ওয়েবসাইটে দেখাচ্ছে মাদ্রাসা বোর্ড।”



তিনি আরও বলেন, “আবেদনের পর থেকে আজ সকাল বেলা পর্যন্ত ওয়েবসাইট চেক করলে এমন ভুল তথ্য প্রদর্শন করছিল। এমনকি দুপুরের দিকে ওয়েবসাইট ডাউন দেখাচ্ছে। বারবার চেক করার চেষ্টা করলে ওয়েবসাইটে তথ্য প্রদর্শিত না হয়ে প্রোগ্রামিং কোড প্রদর্শন করছিল।”

হেল্পলাইনে কল দেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, “আমি রেজাল্ট ও বোর্ডের সমস্যা নিয়ে ভর্তি পরীক্ষার আগে ও পরে ওয়েবসাইটের হটলাইনে বেশ কয়েকবার কল দিলেও কর্তৃপক্ষের সাড়া পাইনি। যদি হটলাইনে সহযোগিতাই না পাই তাহলে হটলাইন কেন দেওয়া হলো বুঝি না।”

এদিকে ভর্তি পরীক্ষার প্রাপ্ত নাম্বার ৮০ এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক জিপিএর উপর ২০ নাম্বার গণনা করা হবে বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়। যদি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে পরীক্ষার্থীর জিপিএ ভুল দেখায়, তাহলে নিয়মানুযায়ী জিপিএর উপরও বরাদ্দকৃত ২০ নম্বরের মধ্যে পরীক্ষার্থীরা যথাযথ নাম্বার পাওয়া থেকে বঞ্চিত হবে বলে অভিযোগ করেন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা।

এ বিষয়ে জানতে ভর্তি পরীক্ষার সদস্য সচিব অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলামকে ফোন দিলে তিনি ফোন কেটে দেন।


 

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

সর্বমোট পাঠক


বাংলাভাষায় পুর্নাঙ্গ ভ্রমণের ওয়েবসাইট