এক বছরে ৩১০ শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা : আঁচল ফাউন্ডেশন

প্রকাশিত: ২:১৫ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১৮, ২০২৫

এক বছরে ৩১০ শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা : আঁচল ফাউন্ডেশন

মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা বেশি। ২০২৪ সালে আত্মহত্যাকারীদের মধ্যে ৪৬ দশমিক ১ শতাংশ মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থী। এরপরই উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের অবস্থান। এ হার ১৯ দশমিক ৪ শতাংশ। স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের আত্মহত্যা প্রবণতা ক্রমেই বাড়ছে। তথ্যমতে, ২০২৪ সালে এ পর্যায়ে আত্মহত্যার হার ১৪ দশমিক ৬ শতাংশ।

প্রাথমিক স্তরে পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যেও আত্মহননের বিষয়টি লক্ষ্য করা গেছে। ২০২৪ সালে আত্মহত্যাকারীদের মধ্যে এ স্তরের ৭ দশমিক ৪ শতাংশ। এছাড়া আত্মহত্যাকারীদের মধ্যে স্নাতকোত্তর এক দশমিক ৯ শতাংশ, ডিপ্লোমা শূন্য দশমিক ৬ শতাংশ, সদ্য পড়াশোনা শেষ করা শিক্ষিত তবে বেকার শূন্য দশমিক ৬ শতাংশ।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহননের ঘটনা সবচেয়ে বেশি, যা ৮৩ দশমিক ৫ শতাংশ আত্মহত্যার ক্ষেত্রে ঘটে। বিষপানে আত্মহত্যার হার প্রায় ৮ দশমিক ৭ শতাংশ। এছাড়া আত্মহত্যাকারীদের ৪ দশমিক ৬ শতাংশ মানুষ অন্যান্য পদ্ধতিতে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন। যেমন- ছাদ থেকে ঝাঁপিয়ে পড়ে, পানিতে ডুব দিয়ে, ট্রেনে কাটা পড়ে, ছুরি দিয়ে আঘাত, ঘুমের ওষুধ খেয়ে ইত্যাদি।

অনেক সময় অভিমান শিক্ষার্থীদের মানসিকভাবে এতটা বিপর্যস্ত করে তোলে যে, তারা আত্মহত্যার মতো চরম সিদ্ধান্ত নেয়। ২০২৪ সালে আত্মহত্যাকারী মোট শিক্ষার্থীর মধ্যে ২৮ দশমিক ৪ শতাংশ শিক্ষার্থী অভিমানের কারণে এ পথ বেছে নিয়েছেন। এরমধ্যে প্রাথমিক স্কুল শিক্ষার্থী ৫৬ দশমিক ৫ শতাংশ, মাধ্যমিক ও কলেজ শিক্ষার্থী ৩১ দশমিক ৯ শতাংশ এবং উচ্চতর শিক্ষা স্তরের ১৫ দশমিক ৩ শতাংশ শিক্ষার্থী।

ভার্চুয়ালি আয়োজিত এ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) মনোরোগ বিশেষজ্ঞ সায়্যেদুল ইসলাম সায়েদ, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) অধ্যাপক ও গবেষক ড. মো. জামাল উদ্দীন, আইনজীবী ও লেখক ব্যারিস্টার নওফল জামির, আঁচল ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি তানসেন রোজ প্রমুখ।


 

সর্বমোট পাঠক


বাংলাভাষায় পুর্নাঙ্গ ভ্রমণের ওয়েবসাইট