দায়িত্ব নিয়ে লালাবাজার ইউপি চেয়ারম্যানের লুকোচুরি, সেবা গ্রহিতাদের ভোগান্তি

প্রকাশিত: ৬:২৬ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ৩, ২০২৪

দায়িত্ব নিয়ে লালাবাজার ইউপি চেয়ারম্যানের লুকোচুরি, সেবা গ্রহিতাদের ভোগান্তি

নিজের দায়িত্ব নিয়ে লুকোচুরি খেলছেন সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলার লালাবাজার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ত্বোয়াজিদুল হক তুহিন। দীর্ঘ দিন যাবত সঠিক দায়িত্ব পালন না করায় ভোগান্তিতে পড়েছেন সেবা প্রত্যাশীরা।

বিশেষ করে জন্মনিবন্ধন ও ওয়ারিশ সনদ সময় মতো নিতে না পেরে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে তাদের। ফলে এ নিয়ে জনমনে মিশ্রপ্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।

স্হানীয় সুত্রে জানা যায়, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দক্ষিণ সুরমার লালাবাজার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ত্বোয়াজিদুল হক তুহিন জনরোষের কবল থেকে রক্ষায় বিভিন্ন সময় বিভিন্ন পন্হা অবলম্বন করে যাচ্ছেন। গত অক্টোবর মাসে অসুস্থতার অজুহাতে প্যানেল চেয়ারম্যান নিয়োগ দিলেও কিছু দিন পর আবার দায়িত্ব বুঝে নেন চেয়ারম্যান তুহিন। পুনরায় তার দায়িত্ব গ্রহনের ২ মাস অতিবাহিত হলেও একদিনও অফিসে আসেননি তিনি। বাধ্য হয়ে সচিব তার নিয়মানুসারে নিজ দায়িত্ব পালন করছেন কিন্তু জনদূর্ভোগ চরম আকার ধারন করেছে।

সরেজমিন পরিদর্শনে গিয়ে জানা গেছে, চেয়ারম্যান তুহিন মঙ্গলবারও (৩ ডিসেম্বর) অফিস করতে আসেননি। দীর্ঘক্ষন অপেক্ষা করেও সেবা গ্রহীতারা চেয়ারম্যানের দেখা পাননি। চেয়ারম্যান না থাকায় ইউনিয়নের বাসিন্দারা জন্মনিবন্ধন ও ওয়ারিশ কায়েম সনদ নিতে পারছেন না। এতে নিজেদের এবং সন্তানদের বিভিন্ন দাপ্তরিক কাজসহ স্কুল-কলেজে ভর্তি-সংক্রান্ত কার্যক্রমে ব্যাঘাত ঘটছে। এ ছাড়া আর্থিক লেনদেন এবং উন্নয়নমূলক কার্মকাণ্ড বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।

ইউনিয়নের মোল্লার বন্দ গ্রামের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তির তথ্য মতে, একটি জন্মনিবন্ধন করাতে কিছুদিন ধরে পরিষদে আসছেন। কিন্তু চেয়ারম্যানকে না পাওয়ায় আজও তাঁর সন্তানের জন্মনিবন্ধন করাতে পারেননি। শুধু তিনি নন, তাঁর মতো ইউনিয়নের অগনিত বাসিন্দা এ ধরনের ভোগান্তি পোহাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

জানা গেছে, দক্ষিণ সুরমা থানায় চেয়ারম্যান তুহিনের বিরুদ্ধে হত্যা, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অভিযোগে অন্তত ৯টি মামলা রয়েছে। গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর নিজেকে রক্ষায় তিনি আত্মগোপনে চলে গেছেন। মাঝে মধ্যে প্রকাশ্যে দেখা গেলেও বেশির ভাগ সময়ই অন্তরালে রয়েছেন।

এ বিষয়ে লালাবাজার ইউপির সচিব মোঃ মনির উদ্দিনের সাথে মোবাইলে কয়েক বার যোগাযোগ করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।

আলাপকালে বক্তব্য জানতে চেয়ারম্যান ত্বোয়াজিদুল হক তুহিনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি নিয়মিত অফিস করছেন বলে প্রতিবেদককে জানান। তবে দায়িত্ব পালনকালে তাকে সহযোগিতা করার জন্য প্রতিবেদকের প্রতি অনুরোধ করেন।

দক্ষিণ সুরমা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ঊর্মি রায় বলেন, ভোগান্তির শিকার ব্যক্তিরা লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


 

সর্বমোট পাঠক


বাংলাভাষায় পুর্নাঙ্গ ভ্রমণের ওয়েবসাইট