গুমের অন্ধকার রাজ্য থেকে যেভাবে বাসায় ফিরেন হুম্মাম কাদের

প্রকাশিত: ১০:৩৪ অপরাহ্ণ, মার্চ ২, ২০১৭

গুমের অন্ধকার রাজ্য থেকে যেভাবে বাসায় ফিরেন হুম্মাম কাদের

বিএনপি নেতা মরহুম সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর পুত্র হুম্মাম কাদেরকে ফেরত দিয়ে গেছে ‘অজ্ঞাত বাহিনী’।

বুধবার রাত ৩ টায় ‘অজ্ঞাত বাহিনী’ হুম্মাম কাদেরকে তাদের ধানমন্ডির বাসার কাছে রেখে গেছে বলে জানা গেছে।

পারিবারের দাবি, সাত মাস আগে আদালত প্রঙ্গন থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে তাকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।

বৃহস্পতিবার সামাজিক মাধ্যমে হুম্মাম কাদের চৌধুরীর বেশ কিছু ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। সর্বশেষ ছবিতে দেখা যায় হুম্মাম বেশ শুকিয়ে গেছেন।

জানা গেছে, সাত মাস আগে, বৃহস্পতিবার ৪ আগস্ট দুপুরে ঢাকা সিএমএম আদালতের সামনে থেকে ‘ডিবি’ পরিচয়ে তাকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়ে বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী।

বৃহস্পতিবার রাতে ধানমণ্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুল লতিফ বলেন, এ বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না। রাত ৯টার দিকে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ের সংবাদমাধ্যম শাখার কর্মকর্তা শায়রুল কবির খান জানান, তিনি এ বিষয়ে নিশ্চিত নন। তবে এ ব্যাপারে জানতে তিনি হুম্মাম কাদেরের বাসায় যাচ্ছেন।

এর আগে হুম্মামের আইনজীবী মিনহাজ উদ্দিন চৌধুরী শিবলী তখন জানিয়েছিলেন, নিম্ন আদালতে নিয়মিত হাজিরা দিতে আদালতে গেলে হুম্মাম কাদেরকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে ধরে নিয়ে যায়।

তিনি বলেন, ‘হাজিরার সময় হুম্মাম কাদের ও তার মা ফারহাত কাদের চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন। তারা নিয়মিত হাজিরা দিতেই সেখানে গিয়েছিলেন। এ সময় ডিবি পরিচয় দিয়ে আদালত প্রাঙ্গণ থেকেই হুম্মামকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়।’

পরে হুম্মামকে ছাড়াই ফারহাত কাদের ওই মামলায় হাজিরা দেন বলেও তিনি জানিয়েছিলেন।

তবে হুম্মামকে পুলিশ আটক করেছে কি না, আটক করা হলে তাকে কোথায় নেয়া হয়েছে, এসব বিষয়ে পুলিশের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

মানবতা বিরোধী অভিযোগে ২০১৩ সালের ১ অক্টোবর সাকা চৌধুরীর ফাঁসির রায় দেয় ট্রাইব্যুনাল। কিন্তু তার আগেই ইন্টারনেটে সেই রায় প্রকাশ হয়ে যায়। এই ঘটনায় সালাউদ্দিন কাদেরের স্ত্রী ফারহাত কাদের চৌধুরী, ছেলে হুম্মাম কাদের চৌধুরী, সাকা চৌধুরীর আইনজীবী ফখরুল ইসলামসহ সাত জনের বিরুদ্ধে তথ্য প্রযুক্তি আইনে মামলার করে ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন বিভাগ।

মিন্টো রোডে গোয়েন্দা পুলিশ কার্যালয়ে হুম্মামদের পারিবারিক বন্ধু পরিচয় দিয়ে সায়েম নামের একজন বলেন, তিনিও ওই গাড়িতে ছিলেন। ছয়জন গাড়ির গতিরোধ করে। হুম্মামকে গাড়ি থেকে নামিয়ে ডিবির পরিচয় দেয় তারা।

হুম্মামকে ডিবি কার্যালয়েই রাখা হয়েছে বলে দাবি করেন সায়েম।