পূজা মণ্ডপে ইসলামিক গান গাওয়ার সঙ্গে জড়িতদের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতার: ডিসি

প্রকাশিত: ১:৪৩ পূর্বাহ্ণ, অক্টোবর ১১, ২০২৪

পূজা মণ্ডপে ইসলামিক গান গাওয়ার সঙ্গে জড়িতদের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতার: ডিসি

চট্টগ্রামের পূজা মণ্ডপের মঞ্চে ‘ইসলামিক গান’ গাওয়ার সঙ্গে জড়িতদের ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতার করা হবে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম।
বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) রাতে ঘটনাস্থল নগরীর জেএমসেন হলের পূজা মণ্ডপের মঞ্চে এই ঘোষণা দেন তিনি।
জেলা প্রশাসক বৃহস্পতিবার রাতের মধ্যেই জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে জানিয়ে আরও বলেন, ‘আজ রাতের মধ্যেই তাদের বিরুদ্ধে মামলা হবে। প্রয়োজনে আমি সিএমপি কমিশনার স্যারের সঙ্গে দেখা করব। আজ রাতের মধ্যে যাতে মামলা হয় সেই বিষয়ে তার সঙ্গে কথা বলব।’
মঞ্চের দায়িত্বে যিনি ছিলেন তিনি দায়িত্ব পালন করেননি জানিয়ে ফরিদা খানম বলেন, ‘কে মঞ্চে ওঠবে, কে উঠবে না সেটি নির্ধারণ করার দায়িত্ব যার ছিল, তিনি দায়িত্বে অবহেলা করেছেন। তার বিরুদ্ধে আপনারা ব্যবস্থা নেবেন। আমি পূজা উদযাপন কমিটির কাছে এটি অনুরোধ করব। এই পূজা শুধু আপনাদের না। এই পূজা আমার, আমাদের। এই পূজা সবার। বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ।

এর আগে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে জেএমসেন হল পূজা মণ্ডপের মঞ্চে চট্টগ্রাম কালচারাল একাডেমি নামের একটি গানের দল দুটি গান পরিবেশনা করে। সেই গানের ভিডিও পরে ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে সমালোচনা তৈরি হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ওই গানের দলের ছয় সদস্য গান পরিবেশন করতে মঞ্চে ওঠে। সংগঠনটি শাহ্ আবদুল করিমের লেখা বিখ্যাত গান ‘আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম’ এবং চৌধুরী আবদুল হালিমের লেখা ‘শুধু মুসলমানের লাগি আসেনিকো ইসলাম, বিশ্ব মানুষের কল্যাণে স্রষ্টার এই বিধান’-শীর্ষক গান দুটি পরিবেশন করে। এর মধ্যে শুধু মুসলমানের লাগি আসেনিকো ইসলাম, বিশ্ব মানুষের কল্যাণে স্রষ্টার এই বিধান-গানটির ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে।
জানতে চাইলে চট্টগ্রাম নগর পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক হিল্লোল সেন উজ্জ্বল বলেন, ‘আমাদের যুগ্ম সম্পাদক সজল দত্তের অনুমতি নিয়ে ওই গানের দলটি পূজা মণ্ডপে এসে গান পরিবেশ করেছে বলে জেনেছি। তবে ওই সময় আমি ঘটনাস্থলে ছিলাম না।’
চট্টগ্রাম কালচারাল একাডেমি-র সভাপতি সেলিম জামানও দাবি করেছেন পূজা উদযাপন কমিটির যুগ্ম সম্পাদক সজল দত্তের আমন্ত্রণেই তাদের একটি দল পূজা মণ্ডপে গান করতে গিয়েছিল। তিনি বলেন, ‘পূজা উদযাপন পরিষদের সজল বাবু আমাদের দাওয়াত দিয়েছিলেন। তিনি ফোন করে বলেন ‘‘আপনারা একটু আসেন। আপনাদের একটু ফ্লোর (সুযোগ) দেব। কিছু দেশাত্মবোধাক গান গাইবেন।’’ সে আমন্ত্রণে গিয়ে আমাদের দলটি দুটি সম্প্রীতির গান করে। কিন্তু এটি নিয়ে একটা পক্ষ প্রচারণা চালাচ্ছে ষড়যন্ত্র করতেই আমরা গান করতে গিয়েছি। আমরা তো জোরপূর্বক কিছুই করিনি। দাওয়াত পেয়েই গিয়েছিলাম।


সর্বমোট পাঠক


বাংলাভাষায় পুর্নাঙ্গ ভ্রমণের ওয়েবসাইট