‘মুক্তিযুদ্ধে পাক হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রথম প্রতিরোধ গড়ে তোলেন পুলিশ সদস্যগণ’

প্রকাশিত: ১২:১৩ পূর্বাহ্ণ, ডিসেম্বর ১৯, ২০১৬

Manual4 Ad Code

সিলেটে অব্যাহত আছে বিজয় দিবসের কর্মসূচি। বিজয়ের মাস উপলক্ষে রবিবার (১৮ ডিসেম্বর) সিলেট জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে মুক্তিযোদ্ধা পুলিশ এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের।

Manual8 Ad Code

দুপুরে সিলেট জেলা পুলিশ লাইন্সের শহীদ এসপি এম. শামসুল হক মিলনায়তনে “বীর পুলিশ মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে সংবর্ধনা” প্রদান করা হয়।

Manual1 Ad Code

এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি মো. কামরুল আহসান। এ সময় পুলিশের পক্ষ থেকে মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারের সদস্যদের হাতে উপহার তুলে দেওয়া হয়।

সিলেট জেলা পুলিশ সুপার মো. মনিরুজ্জামানের সভাপতিত্বে এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিলেট রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি মো. নজরুল ইসলাম।

Manual6 Ad Code

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন- আরআরএফ কমান্ড্যান্ট মাহমুদুর রহমান, সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার মো. হারুন-অর-রশীদ, মৌলভীবাজার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাহজালাল, সিলেটের পুলিশ সুপার নূরুল ইসলাম, সিলেট রেঞ্জের বিভিন্ন জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপারবৃন্দ, সহকারী পুলিশ সুপারবৃন্দ, সিলেট এর স্থানীয় ও জাতীয় দৈনিক এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দসহ সিলেট জেলা পুলিশের বিভিন্নস্তরের পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্যগন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডিআইজি মো. কামরুল আহসান, উপস্থিত মহান বিজয় দিবস-২০১৬ উপলক্ষে “বীর পুলিশ মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবার, বাংলাদেশের স্বাধীনতার রূপকার হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জাতীয় চার নেতা ও ত্রিশ লক্ষ শহীদ, ২ লক্ষ সম্ভ্রম হারানো মা-বোনদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন এবং ১৯৭১ সালে পাক হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের প্রথম প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তোলেন তৎকালীন রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সের পুলিশ সদস্যগণ এবং মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর ভূমিকা প্রশংসা করে বলেন তাদের আত্মত্যাগের জন্য বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী গত ২০১১ সালে স্বাধীনতা পদকে ভূষিত হয়েছে।

তাছাড়া ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে পুলিশ সদস্যগণ দেশ স্বাধীন করার জন্য চাকুরী ছেড়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহণ করে বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিয়েছেন এবং গত কয়েক মাস আগে দেশে জঙ্গীবাদ নিয়ে পুলিশ বাহিনীর কার্যক্রম প্রশংসিত হওয়ায় উপস্থিত সকল পুলিশ সদস্যদের প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

তিনি আরো বলেন- বাংলাদেশকে নিয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর যে স্বপ্ন ছিলো তা যেন আমরা কাজের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করতে পারি। এছাড়াও প্রধান অতিথি দু’জন চাকরিরত, ত্রিশ জন অবসরপ্রাপ্ত ও চার জন শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা পুলিশ পরিবারকে উপহার সামগ্রী ও ফুলেল শুভেচ্ছা প্রদান করেন।

Manual7 Ad Code

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের সভাপতি পুলিশ সুপার মো. মনিরুজ্জামান সমাপনী বক্তব্যে উপস্থিত বীর পুলিশ মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পুলিশ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্য ও আগত বিভিন্ন জেলার পুলিশ সুপারগণকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে উক্ত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

সর্বমোট পাঠক


বাংলাভাষায় পুর্নাঙ্গ ভ্রমণের ওয়েবসাইট

Manual1 Ad Code
Manual6 Ad Code