রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে প্রেসিডেন্ট জিয়ার খ্যাতি সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছিল

প্রকাশিত: ১:১০ পূর্বাহ্ণ, ডিসেম্বর ১২, ২০১৬

Manual6 Ad Code
প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ছিলেন একজন জনপ্রিয় ও যথার্থ রাষ্ট্রনায়ক। তাঁর ইন্তেকালের পর শেরেবাংলানগরে মানিক মিয়া এভিনিউয়ের সুপ্রশস্ত পরিসরে অনুষ্ঠিত লাখ লাখ মানুষের যোগদানে জানাজা নামাজ ও বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রতিক্রিয়ায় তারই প্রমাণ মেলে। বিশ্ব মিডিয়ায় তাঁকে একজন দক্ষ ও সৎ রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে বর্ণনা করেছিল। অনেক দেশে তাঁর সম্মানে শোক দিবস ঘোষণা করা হয়েছিল। দেশের স্বাধীনতার ঘোষক এই রাষ্ট্রনায়ককে সমাহিত করা হয়েছিল তিন বাহিনী প্রধানের সম্মিলিত গার্ড অব অনারে ও পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায়। আকাশ থেকে তাঁর সমাধিস্থলে পুষ্প ছড়ানো হয়েছিল। : গতকাল রবিবার ‘প্রেসিডেন্ট জিয়াÑরাজনৈতিক জীবনী’ শিরোনামে প্রকাশিত গ্রন্থের প্রকাশনা উৎসবে অংশগ্রহণকারী আলোচকরা একথা বলেন। ঢাকার মহাখালীস্থ ব্র্যাক সেন্টারের অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত এই আলোচনায় অংশ নেন মেজর জেনারেল (অব) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বীর প্রতীক, প্রাক্তন রাষ্ট্রদূত মাসুদ আজিজ, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ ও সাপ্তাহিক হলিডে সম্পাদক সৈয়দ কামাল উদ্দিন। গ্রন্থটির লেখক মাহফুজ উল্লাহ এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ এতে উপস্থিত ছিলেন। অ্যার্ডন পাবলিকেশন প্রকাশিত (মূল্য ১০০০ টাকা) এই গ্রন্থটি বিক্রির ব্যবস্থাও ছিল এই অনুষ্ঠান প্রাঙ্গণে। গ্রন্থটির প্রকাশক সৈয়দ জাকির হোসাইন ও ইংরেজি সংস্করণের পর বাংলা সংস্করণে বিভিন্নভাবে সহযোগিতাদানকারী সরদার শরফুদ্দিন আহমদ সান্টুও এতে বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে গ্রন্থটির লেখক মিডিয়া ব্যক্তিত্ব মাহফুজ উল্লাহ স্বাগত বক্তব্যে গ্রন্থটি সম্পর্কে বলেন, ইংরেজি সংস্করণ প্রকাশের পর তা বাংলায় একটি সংস্করণ বের করার জন্য অনুরোধ আসতে থাকে। সে কারণে স্বল্প সময়ের মধ্যে এটি প্রকাশ করা সম্ভব হলো। তবে এতে ইংরেজি সংস্করণের চেয়ে বেশি কিছু সংযুক্ত করা সম্ভব হয়েছে। : মেজর জেনারেল সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বীর প্রতীক (অব) তার সেনা জীবনে জিয়াউর রহমানের উজ্জ্বল ভাবমূর্তি সম্পর্কে বলেন, পাকিস্তান আমলেই দেখেছি তিনি একজন সেনা কর্মকর্তা হিসেবে সুদক্ষ ছিলেন। স্বাধীনতার ঘোষক শুধু নয়, একজন দূরদৃষ্টিসম্পন্ন জেনারেল ছিলেন। বামপন্থীদের ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করেছেন, আবার মধ্যপ্রাচ্যসহ ইসলামী রাষ্ট্রসমূহের দেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তুলেছিলেন। সার্ক গঠনে প্রাথমিক ভূমিকা রেখেছিলেন। সাবেক রাষ্ট্রদূত মাসুদ আজিজ বলেন, প্রেসিডেন্ট জিয়া চীনের সঙ্গে যে সম্পর্ক স্থাপন করেছেন তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এখন সোনাদিয়া দ্বীপে চীনের সহযোগিতা নিলে বাংলাদেশ উপকৃত হবে। আলোচনায় তিনি উল্লেখ করেন যে, ’৭২-৭৫ পর্বের কূটনৈতিক অবস্থানে বাংলাদেশের সেনাবাহিনী গঠনে অনেক বিপত্তি ছিল। প্রতিবেশী দেশের মুখাপেক্ষী থাকতে হয়েছে। গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত জীবনী’ ও মাহফুজ উল্লাহ লিখিত এই গ্রন্থটি (প্রেসিডেন্ট জিয়াÑরাজনৈতিক জীবনী) শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠ্য হওয়া উচিত। সাপ্তাহিক হলিডে সম্পাদক সৈয়দ কামাল উদ্দিন বলেন, অবস্থার প্রয়োজনে আমাকে বিদেশ থাকতে হয়েছিল। জিয়ার মৃত্যুতে দেখেছি সিঙ্গাপুরের প্রেসিডেন্ট লি কুটিনকে মর্মাহত হতে। তিনি জিয়াকে একজন যথার্থ রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে বর্ণনা করেন। : এই আলোচনা অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বদের সমাবেশ ঘটে। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এতে দর্শকদের সারিতে ছিলেন। তিনি উপস্থিতদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, বীর মুক্তিযোদ্ধা শমসের মবিন চৌধুরী, সাবেক সচিব আবদুল মুয়িদ চৌধুরী, সাবেক পিআইও আবদুর রহিম, বিএনপি চেয়ারপাসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট আহমদ আযম খান ও মিডিয়া উইং সদস্য শায়রুল কবির খান প্রমুখ।

সর্বমোট পাঠক


বাংলাভাষায় পুর্নাঙ্গ ভ্রমণের ওয়েবসাইট

Manual1 Ad Code
Manual2 Ad Code