জাদুকাটায় ম্যাজিষ্ট্রেটের ওপর হামলার ঘটনায় ৩২৪ জনের নামে মামলা

প্রকাশিত: ২:৫২ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১২, ২০২৫

জাদুকাটায় ম্যাজিষ্ট্রেটের ওপর হামলার ঘটনায় ৩২৪ জনের নামে মামলা

Manual4 Ad Code

খনিজ-বালি পাথর সমৃদ্ধ জাদুকাটা নদীর পাড় কাটা ঠেকাতে গিয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপর ‘মব’ করে হামলা ও বালি চুরিতে জড়িত ৩২৪ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

গত সোমবার (১০ নভেম্বর) সুনামগঞ্জের তাহিরপুর থানায় মামলাটি দায়ের করা হয়।

Manual2 Ad Code

মামলায় উপজেলার জাদুকাটা নদী তীরবর্তী ঘাগটিয়ার মৃত তাজুল ইসলামের ছেলে আবু লাহাব, আবু তালিব, আবু লাহাবের ছেলে ইকবাল, আবু তালিবের ছেলে আবুবক্কর, লাউরগড়ের মৃত আবুল কাসেমের ছেলে খাজা মাইনুদ্দীন, বালিয়াঘাটের মৃত রাশিদের ছেলে সাদ্দাম, তরং গ্রামের আব্দুস ছালামের ছেলে নজির, ঘাগটিয়ার মৃত নুর ছালামের ছেলে তাওহিদ, সয়দুল, আকাশের ছেলে রিমন, আতিবুরের ছেলে সুলেমান, আবুল ইসলামের ছেলে সাহেদ, সামসুদুহার ছেলে মনর, মাসুক, মানুকের ছেলে সুলতান, আব্দুল্লাহর ছেলে আল আমিন, সাজ মিয়ার ছেলে রাহিদুর, বকুলের ছেলে রুমান, মৃত জুলহাসের ছেলে মাহমুদ, বাকেরের ছেলে সাহজ উদ্দিন, চানঁ মিয়ার ছেলে সামসু আলম, ছোট মিয়ার ছেলে আকারদস, লাইট মিয়ার ছেলে রমিজ, মৃত মনার ছেলে খাইরুল সহ ২৪ জনের নামোল্ল্যেখ পুর্বক আসামি করা হয়েছে। একই মামলায় ২০০ থেকে ৩০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।

তাহিরপুর উপজেলা ভুমি অফিসের মিউটেশন কাম সার্টিফিকেট সহকারী আল আমিন বাদী হয়ে ওই মামলাটি দায়ের করেন।

মামলায় নামোল্ল্র্যেখ পূর্বক ২৪ জন ও অজ্ঞাতনামা আসামিরা পরস্পরের যোগসাজসে অবৈধভাবে জাদুকাটা নদীর পাড় (তীর) কেটে নদী ভাঙ্গন, নদী ভূ-প্রকৃতি পরিবেশ বিনষ্ট, নদীর পানি প্রবাহের স্বাভাবিক গতিপথ রোধ, পরিবর্তন করে, বেআইনি জনতাবদ্ধে অপরাধজনক বলপ্রয়োগ করে সরকারি কাজে বাঁধা প্রদান ও ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট, থানা, নৌ পুলিশ সদস্যদের উপর পাথর, বোল্ডার ছোড়ে হামলা, হুমকি প্রদান পুর্বক ৫ লাখ টাকার খনিজ বালি চুরির অভিযোগ করা হয়।

প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার (৮ নভেম্বর) দিবাগত রাতে সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের জাদুকাটা নদী তীরবর্তী পশ্চিম তীরের ঘাগটিয়া গ্রামের জালোর টেক এলাকায় জাদুকাটা নদীর পাড় কেটে খনিজ বালি চুরি ঠেকাতে গেলে ‘মব করে’ সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট হাসিবুল হাসান, তাহিরপুর থানা পুলিশ, নৌ পুলিশ সদস্যদের লক্ষ্য করে খনিজ বালি চুরিতে থাকা একদল লোক পাথর, বোল্ডার ছুঁড়তে থাকে এক জোট হয়ে।

Manual5 Ad Code

মামলার এজাহার সুত্রে ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, উপজেলার ঘাগটিয়া গ্রামের বালি খেকো চক্রের মূলহোতা আবু লাহাবের নেতৃত্বে শফিক, আবু তালিব, আল আমিনসহ বালি চুরিতে জড়িতরা একজোঠ হয়ে মব ‘করে’ পুর্ব পরিকল্পিত ভাবে ওই হামলাটি চালায়। এক জোট হয়ে তারা লাঠিসোটা, দেশীয় অস্ত্র, পাথর, বোল্ডার নিয়ে হামলা করে। পাশাপাশি অশ্লীল ও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। প্রাণনাশেরও হুমকি দেওয়া হয়। এক পর্যায়ে ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশ সদস্যরা নিরাপদ দূরত্বে আসতে বাধ্য হন।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হাসিবুল হাসান বলেন, হামলাকারীরা বেপরোয়া হয়ে আমাদের লক্ষ্য করে একের পর এক পাথর, বোল্ডার ছোড়ে।

উল্ল্র্যেখ, জাদুকাটা নদীর পুর্ব তীরে সুনামগঞ্জ ২৮-বর্ডারগার্ড ব্যাটালিয়ন লাউরগড় বিজিবি ক্যাম্পের উত্তরে সরকারের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন, ইজারাবিহীন সংরক্ষিত নদীর পাড় কেটে এবং বালি চর থেকে গেল ৭ থেকে ১১ অক্টোবর পাঁচ দিনে লাউড়েরগড় গ্রামের আব্দুল কাইয়ুম, হারুন, জাহাঙ্গীর, তমিজ, ফানা উদ্দিন, এজিবুল, ফুচকা জাহাঙ্গীর, গোলাপ মাহমুদ, খাঁজা মাঈনুদ্দিন ও আবুবক্করের নেতৃত্বে কয়েক গ্রামের লোক দেশীয় অস্ত্র, লাঠিসোটা হাতে ‘মব তৈরি করে’ প্রায়য় ৩শ কোটি টাকার খনিজ বালি লুট করে নিয়ে যায় নৌপথে।

ওই ঘটনায় পরবর্তীতে বিএনপি-আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী সহ ৮১ জনকে অভিযুক্ত করে তাহিরপুর থানায় মামলা দায়ের করা হয়।

Manual7 Ad Code

তাহিরপুর থানার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই নাজমুল ইসলাম বলেন, ১১ নভেম্বর মঙ্গলবার সকাল পর্য্যন্ত এ মামলার কোনো আসামিকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি।

Manual8 Ad Code

সুনামগঞ্জ জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাকির হোসাইন বলেন, মামলার পরই আসামিদের দ্রত গ্রেফতারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।


 

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

সর্বমোট পাঠক


বাংলাভাষায় পুর্নাঙ্গ ভ্রমণের ওয়েবসাইট

Manual1 Ad Code
Manual4 Ad Code