শ্রীমঙ্গলের বিভিন্ন স্থানে অস্থায়ী ময়লার ভাগার, দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ শহরবাসী

প্রকাশিত: ৮:১২ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১১, ২০২৫

শ্রীমঙ্গলের বিভিন্ন স্থানে অস্থায়ী ময়লার ভাগার, দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ শহরবাসী

Manual6 Ad Code

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল শহরের বিভিন্ন রাস্তা ও অলিগলি এখন অস্থায়ী ময়লার ভাগারে পরিণত হয়েছে। এসব স্থানে প্রতিদিন ফেলা ময়লার পচা দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ হয়ে উঠছেন পথচারী, শিক্ষার্থী, শিক্ষক, অভিভাবক, ব্যবসায়ীসহ সাধারণ মানুষ।

বিশেষ করে কলেজ রোড এলাকার ময়লা ফেলার স্থানটি দীর্ঘদিন ধরে শহরের অন্যতম সমস্যায় পরিণত হয়েছে। ওই স্থানের পাশে রয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, দোকানপাট ও বাসাবাড়ি।

Manual3 Ad Code

এলাকাবাসীর অভিযোগ, বছরের পর বছর ধরে এ স্থান পরিবর্তনের দাবি জানালেও পৌরসভা ও প্রশাসন কার্যকর কোনো উদ্যোগ নেয়নি।

এ পরিস্থিতিতে গত ৯ নভেম্বর রবিবার শ্রীমঙ্গল সরকারি কলেজ ও দি রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ ও গাউছিয়া শফিকিয়া সুন্নিয়া মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা কলেজ রোডের ময়লা ফেলার স্থানটি বাঁশের বেষ্টনী (বেরিকেট) দিয়ে বন্ধ করে দেয়। তাদের দাবি, দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করেও সমাধান না পেয়ে এ পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হয়েছেন তারা।

এদিকে ঘটনাটির পর সোমবার সকালে উপজেলা প্রশাসন ও পৌরসভা কর্তৃপক্ষ পরিস্থিতি সমাধানে জরুরি বৈঠকে বসে। গাউছিয়া শফিকিয়া সুন্নিয়া মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে শিক্ষার্থী, এলাকাবাসী ও প্রশাসনের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত সেই বৈঠকে কোনো সমাধান না হওয়ায়, সন্ধ্যায় পৌরসভা কার্যালয়ে দ্বিতীয় দফা জরুরি সভা আহ্বান করা হয়।

Manual1 Ad Code



সে সভায় পৌর প্রশাসক, সেনাবাহিনীর প্রতিনিধি, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী, আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী এবং বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। সভায় জানানো হয়, ময়লার ভাগাড় স্থানান্তরের জন্য স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে এবং প্রক্রিয়াটি বর্তমানে চলমান। খুব শিগগিরই স্থায়ী সমাধান আসবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন কর্মকর্তারা। এর আগে পর্যন্ত বর্তমান স্থানে সাময়িকভাবে ময়লা ফেলার অনুরোধ জানানো হয় শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীর প্রতি।

মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) দুপুর পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের দেওয়া বাঁশের বেরিকেট এখনো কলেজ রোডের ময়লা ফেলার স্থানে রয়েছে।

এ বিষয়ে শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পৌর প্রশাসক মো. ইসলাম উদ্দিন বলেন, “এটি দীর্ঘদিনের সমস্যা, অল্প সময়ে সমাধান সম্ভব নয়। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে, আশা করছি দ্রুত অনুমোদন আসবে। তারপরই স্থায়ী সমাধান করা সম্ভব হবে। এর আগ পর্যন্ত সবাইকে ধৈর্য ধরতে অনুরোধ করছি।”

Manual8 Ad Code


 

Manual6 Ad Code

Manual1 Ad Code
Manual6 Ad Code