৭ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৩শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ২:১২ অপরাহ্ণ, জুলাই ৬, ২০২৫
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে উদ্দীপন নামের একটি এনজিও কর্মকর্তা জায়েদ আহমদের বিরুদ্ধে গ্রাহকদের কাছ থেকে প্রায় ১২ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ ওঠেছে। তিনি এনজিও উদ্দীপনের ব্যবস্থাপক ছিলেন।
এদিকে গ্রাহকের অর্থ আত্মসাৎ করে পালানোর চেষ্টাকালে তাকে আটক করে জগন্নাথপুর থানা পুলিশে সোপর্দ করেছেন তার সহকর্মীরা।
ভুক্তভোগী ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এনজিও উদ্দীপন-এর ম্যানেজার থাকাকালীন সময়ে জায়েদ আহমদ বিভিন্ন গ্রাহকের কাছ থেকে বিকাশ ও নগদের মাধ্যমে অর্থ লেনদেন করেছেন। কখনো ব্যক্তিগত প্রয়োজনে, আবার কখনো ধার করার কথা বলে গ্রাহকদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা নেন। এসব লেনদেন ছিল অনিয়মিত ও ব্যক্তিগত। যার কোনো অফিসিয়াল রেকর্ড ছিল না।
গত ২৯ মে থেকে তার বিরুদ্ধে অর্থ জমা না দেওয়ার অভিযোগ ওঠতে থাকে। বিষয়টি জানাজানি হলে ৩০ মে তিনি পালানোর চেষ্টা করেন। তবে অফিসের অন্যান্য কর্মীরা তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যান। বর্তমানে তিনি থানা হেফাজতে রয়েছেন।
এ ঘটনায় জগন্নাথপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) জয়নাল হোসাইনের কক্ষে ভুক্তভোগী ১৭ জন গ্রাহককে নিয়ে দীর্ঘ ছয় ঘণ্টা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। তদন্তে বিকাশ ও নগদসহ বিভিন্ন মাধ্যমে প্রায় ৪ লাখ ২০ হাজার টাকা গ্রহণের প্রমাণ পাওয়া যায়। সেই টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য ম্যানেজার জায়েদ আহমদকে নির্দেশ দেওয়া হয়।
প্রতারিত গ্রাহকদের একজন হলেন উপজেলার রানীগঞ্জ বাজারের ব্যবসায়ী হেলন মিয়া। তিনি জানান, জায়েদের সঙ্গে তাঁর তিন বছরের পরিচয়। মায়ের অসুস্থতার কথা বলে জায়েদ তাঁর কাছ থেকে ২ লাখ টাকা হাওলাত নেন। পরে জায়েদ বলেন তাঁর আরও টাকা দরকার। এরপর তিনি নতুন করে লোন নিয়ে ১ লাখ নিজের কাছে রেখে ২ লাখ টাকা জায়েদকে দেন।
তাছাড়া জায়েদ তাঁর মতো আরও অনেকের কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন বলেও লোকমুখে শুনতে পান তিনি।
ভুক্তভোগী হেলন মিয়া বলেন, ‘জায়েদ নিজে আমার কাছ থেকে টাকা নেওয়ার বিষয়টি থানায় স্বীকার করলেও লিখিত প্রমাণ না থাকায় সেই টাকা ফেরত পাওয়া যাচ্ছে না।’
উদ্দীপন এনজিওর রিজিওনাল ম্যানেজার নুরুল হক বলেন, ‘জায়েদ আহমদ গ্রাহকদের কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে টাকা নিয়েছেন। আমরা তাঁকে থানায় সোপর্দ করেছি। যাদের কাছে অর্থ দেওয়ার লিখিত প্রমাণ আছে, তাদের টাকা ফেরত দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।’
জগন্নাথপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজ ইমতিয়াজ ভূঞা বলেন, ‘এ ব্যাপারে অভিযোগ পেয়েছি। আমরা আমাদের অবস্থান থেকে কাজ করছি। বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করছি। সমাধান হয়ে গেলে ভালো। যেহেতু এটি প্রতারণা তাই আদালতে মামলা করতে হবে।’
EDITOR & PUBLISHER :
DR. ARIF AHMED MOMTAZ RIFA
MOBILE : 01715110022
PHONE : 0821 716229
OFFICE : SHUVECHCHA-191
MIAH FAZIL CHIST R/A
AMBAKHANA WEST
SYLHET-3100
(Beside Miah Fazil Chist Jame Masjid & opposite to Rainbow Guest House).
E-mail : sylhetsangbad24@gmail.com
Hello : 01710-809595
Design and developed by M-W-D