সহকর্মীর হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার দাবিতে সিলেটের রাজপথে ব্যাংকাররা

প্রকাশিত: ৭:৩০ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২১

সহকর্মীর হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার দাবিতে সিলেটের রাজপথে ব্যাংকাররা

অগ্রণী ব্যাংক কর্মকর্তা মওদুদ আহমদের হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার করে শাস্তির আওতায় নিয়ে আসার দাবিতে সিলেটের রাজপথে বিক্ষোভ করেছেন ব্যাংকাররা।

মঙ্গলবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গনে এই দাবিতে মানববন্ধন করেন ব্যাংকাররা। এতে বিভিন্ন ব্যংকের দুইশতাধিক কর্মকর্তা অংশ নেন।

অগ্রণী ব্যাংক অফিসার সমিতি, অগ্রণী ব্যাংক বঙ্গবন্ধু পরিষদ এবং সিবিএ সিলেট এর যৌথ আহŸানে আয়োজিত এ মানববন্ধনে সিলেটস্থ সকল ব্যাংকের দুই শতাধিক কর্মী অংশ নেন। আর এতে একাত্মতা পোষণ করে অংশ নেন সিলেটের বিভিন্ন পেশাজীবী, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

মানববন্ধন চলাকালে বক্তারা বলেন, মওদুদ হত্যার দুই দিন পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। নগরের সবচেয়ে ব্যস্ততম এলাকায় প্রকাশ্যে একজন কর্মকর্তা পিটিয়ে হত্যা এবং হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার করতে না পারা পুলিশের উদাসীনতাই প্রকাশ পায়।

বক্তারা বলেন, মওদুদ হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার না করা পর্যন্ত ও এই ঘটনার সুষ্ঠ বিচার না হওয়া পর্যন্ত আমরা রাজপথ ছাড়বো না। একইসঙ্গে ব্যাংকারদের নিরাপত্তারও দাবি করেন তারা।

মানববন্ধন শেষে স্বাধীনতা ব্যাংকার্স পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট নিশি মোহন নাথ সাংবাদিকদের জানান, প্রতিবাদ কর্মসূচির অংশ হিসেবে আগামীকাল বুধবার সিলেটের সকল ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কালো ব্যাজ ধারণ করে প্রতীকি প্রতিবাদ জানাবেন। তারপরও দোষীরা গ্রেফতার না হলে আলোচনার মাধ্যমে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।’

এর আগে সোমবার একই দাবিতে পুলিশ কমিশনার, বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেন ব্যাংকাররা।

উল্লেখ্য, গত শনিবার ভাড়া নিয়ে বাকবিতন্ডার জেরে নগরীর বন্দরবাজারে সিএনজি চালিত অটোরিকশা চালকদের মারধরে নিহত ব্যাংক কর্মকর্তা মওদুদ আহমেদ। তিনি সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার অগ্রণী ব্যাংক হরিপুর গ্যাস ফিল্ড শাখার ক্যাশ অফিসার পদে কর্মরত ছিলেন। তিনি ময়মনসিংহ জেলার গৌরীপুর উপজেলার টেংগুরিপাড়া গ্রামের মো. আব্দুল ওয়াহেদের ছেলে।

রোববার নিহত মওদুদের বড়ভাই আব্দুল ওয়াদুদ বাদি হয়ে সিলেট সদর উপজেলার জালালাবাদ ইউনিয়নের টুকেরগাঁও পশ্চিমপাড়া গ্রামের আব্দুল হান্নানের ছেলে সিএনজি অটোরিকশা চালক নোমান হাছনুরের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করে কোতোয়ালি থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।

তবে ঘটনার তিনদিনেও কোন আসামিকে ধরতে পারেনি পুলিশ। েএ বিষয়ে কোতোয়ালি থানার ওসি এসএম আবু ফরহাদ জানান, ‘পুলিশ টুকেরবাজার এলাকা থেকে অটোরিকশাটি উদ্ধার করেছে। এই গাড়ির নাম্বার মামলা এজাহারে উল্লেখ আছে। আর গাড়ির চালককে চিহ্নিত করা হয়েছে। তাকেসহ সকল আসামিকে গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।


 

সর্বমোট পাঠক


বাংলাভাষায় পুর্নাঙ্গ ভ্রমণের ওয়েবসাইট