সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষ ও গোলাগুলি, আহত ১৫

প্রকাশিত: ১২:১৫ পূর্বাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ৬, ২০২০

সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষ ও গোলাগুলি, আহত ১৫

সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে ১২ জন গুলিবিদ্ধসহ ১৫জন আহত হয়েছেন। আর এ ঘটনায় দুইজনকে আটক করা করেছে পুলিশ।

বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে উপজেলার রায়বাঙ্গালী গ্রামের ইউপি সদস্য মনু মিয়া ও জাহির আলীর লোকজনের মধ্যে এ ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন, জমিল মিয়া (৩২), আয়াজ উল্লা (৫০), আলাল মিয়া (৫২), রিপন মিয়া (২৬), ললিছ মিয়া (৩২), মাসুক মিয়া (৬০), শামীম মিয়া (৩২), এলিনা বেগম (৩০), ইশবাল (২৫), আব্দুল বারিক (৩০), মকসুদ মিয়া (৫০), রুবেল মিয়া (২৮)কে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।

আর এ ঘটনায় দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ। তারা হলো, একই গ্রামের ছেরাগ আলীর ছেলে ছুরত মিয়া ও হারুন মিয়ার ছেলে সাইফুল মিয়া।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গ্রামের ইউপি সদস্য মনু মিয়া ও জাহির আলীর লোকজনের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। এনিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে একাধিক মামলা রয়েছে। এদিকে বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা নিয়ে উভয় পক্ষ পরস্পর বিরোধী বক্তব্য দিচ্ছেন।

ইউপি সদস্য মনু মিয়া বলেন, আমি বাড়ি থেকে বের হলে জাহির আলীর লোকজন অস্ত্র নিয়ে আমার উপর হামলা চালায়। খবর পেয়ে আমার লোকজন আমাকে উদ্ধার করতে এলে তারা আমার লোকজনের উপর এলোপাথাড়ি গুলি চালায়। প্রায় ১৫-২০ রাউন্ড গুলি করে। এতে আমার পক্ষের ৮ জন গুলিবিদ্ধ করে। তারা সবাই বর্তমানে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

অন্যদিকে জাহির আলীর পক্ষের বুরহান মিয়া জানান, মনু মিয়ার লোকজন অস্ত্র নিয়ে তাদের বাড়িতে হামলা চালিয়ে তার পক্ষের ৪ জনকে গুলিবিদ্ধ করে আহত করেছে। তাদেরকেও সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

দিরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্তব্যরত ডাক্তার নাজিয়া বেগম বলেন, সন্ধ্যার দিকে রায়বাঙ্গালী গ্রাম থেকে ৯ জন আহত রোগী এসেছিলেন। তাদের মধ্যে ৮জনই গুলিবিদ্ধ। সবাইকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট ওসমানী হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।

দিরাই থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কেএম নজরুল ইসলাম বলেন, গ্রামে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এ দুটি পক্ষের বিরোধ দীর্ঘদিনের। তাদের মধ্যে অনেক মামলা মোকদ্দমা রয়েছে। ঘটনার সময়ে আমরা সেখানে ছিলাম না, গুলাগুলি হয়েছে কিনা তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, গত ৫ জানুয়ারী তারিখেও দুপক্ষের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় ১০ জন গুলিবিদ্ধ হয়। এনিয়ে মনু মিয়ার পক্ষের শামীম মিয়া বাদী হয়ে দিরাই থানায় ও জাহির আলীর পক্ষে আদালতে মামলা দায়ের করে। মামলা দুটি তদন্তনাধীন রয়েছে।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

সর্বমোট পাঠক


বাংলাভাষায় পুর্নাঙ্গ ভ্রমণের ওয়েবসাইট