১২ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৮শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১:২৯ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২৮, ২০১৭
নতুন নির্বাচন কমিশনার গঠন নিয়ে এতোদিন রাষ্ট্রপতির সংলাপকে ঘিরে দেশবাসীর মধ্যে এক ধরনের আশার সঞ্চার হয়েছিল- রাজনীতিতে সঙ্কটের বরফ গলবে। কিন্তু রাষ্ট্রপতির উদ্যোগে যে আশার আলো দেখা দিয়েছিল তা ক্রমেই নিভে যাচ্ছে। রাজনীতির আকাশে ফের কালো মেঘ উঁকি দিচ্ছে।
সার্চ কমিটি ঘোষণার পর প্রধান বিরোধী পক্ষ যে প্রতিক্রিয়া ও শঙ্কা ব্যক্ত করেছে তাতে নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। তাদের ভাষ্যমতে, এই সার্চ কমিটি দিয়ে নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন কোনোভাবেই সম্ভব নয়। কেননা, নিজেরাই দলীয় ব্যক্তি। শুক্রবার বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সার্চ কমিটির সদস্যদের দলীয় পরিচয় প্রকাশ করেছেন। অন্যদিকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ অন্যান্য মন্ত্রীরা দাবি করেছেন, সার্চ কমিটি নিরপেক্ষ হয়েছে। ফলে পরস্পরবিরোধী বিতর্কের বৃত্তে সার্চ কমিটি।
এই বির্তক শুধু দলগুলোর মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই। বিদেশিদের মধ্যেও রয়েছে। ফলে নির্বাচন কমিশন এবং একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে সরকারের সঙ্গে আলোচনা করতে আগ্রহী জাতিসংঘ। এরই অংশ হিসেবে ঢাকায় জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী রবার্ট ওয়াটকিনসের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় চেয়ে চিঠি দিয়েছে বলে জানা গেছে। ফলে তাদের মধ্যেও এ নিয়ে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা রয়েছে।
সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বরে জানা গেছে, প্রথম দিনে সার্চ কমিটির কর্মপন্থা নির্ধারণসহ প্রধান নির্বাচন কমিশন ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারদের নাম সংগ্রহের পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা হতে পারে।
এ ক্ষেত্রে বিগত সার্চ কমিটির প্রস্তাবিত নাম তালিকা থেকে বাদ পড়াদের নাম নিয়েও নতুন সার্চ কমিটি কাজ করবে বলে জানা গেছে। সার্চ কমিটির একজন সদস্য ড. শিরীণ বলেছেন, বৈঠকের প্রথম দিনে কর্মপন্থা নির্ধারণ হবে। এ ক্ষেত্রে বিগত সার্চ কমিটির কর্মপদ্ধতি কী ছিল তাও আলোচনা হবে।
এরই মধ্যে সার্চ কমিটির একাধিক সদস্যের দলীয় পরিচয় সমালোচনা তুঙ্গে উঠলেও তারা নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালনের কথা বলছেন।
এদিকে নতুন নির্বাচন কমিশনে কারা আসছেন তা নিয়েও চলছে নানা গুঞ্জন। এ নিয়ে সরগরম হয়ে উঠছে রাজনীতির মাঠ। নতুন কমিশন নিয়ে সাধারণ মানুষের আগ্রহের শেষ নেই। তবে সার্চ কমিটি ঘোষণার পর সে আগ্রহে কিছুটা ভাটা পড়েছে। কেননা, প্রধান বিরোধী পক্ষের দ্বারা এরই মধ্যে বিতর্কিত হয়েছে সার্চ কমিটি।
এরপরও নতুন নির্বাচন কমিশন নিয়ে বড় ধরনের বিতর্কে জড়াতে চাইছে না সরকার। স্বচ্ছ ভাবমূর্তির লোকদের নিয়ে নতুন কমিশন চায় সরকার। সরকারের উচ্চপর্যায়ে বেশকিছু নাম নিয়ে আলাপ-আলোচনা হচ্ছে। প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) তালিকায় বেশ কিছু নাম আলোচনায় এসেছে।
তবে যাদের নাম এর মধ্যে বেশি গুরত্ব পাচ্ছে তাদের মধ্যে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক ও দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সাবেক কমিশনার সাহাবুদ্দিন চুপ্পুর উল্লেখযোগ্য। তবে এরা ক্ষমতাসীন শিবিরে স্বচ্ছ হিসেবে বিবেচিত হলেও বিরোধীপক্ষে তাদের নিয়ে রয়েছে ব্যাপক বিতর্ক। কেননা, অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিককে বিচার বিভাগে অনেক বিতর্ক রয়েছে।
এ ছাড়া আলোচনায় রয়েছে সাবেক সচিব ও এই পদমর্যাদার ৮ ব্যক্তির নাম। বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক কয়েকজন উপাচার্য ও শিক্ষাবিদও রয়েছেন আলোচনায়।
নির্বাচন কমিশনার হিসেবে অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা, অবসরপ্রাপ্ত জেলা জজসহ এই পদমর্যাদার বেশ কয়েকজন ব্যক্তির নাম আলোচনায় রয়েছে।
EDITOR & PUBLISHER :
DR. ARIF AHMED MOMTAZ RIFA
MOBILE : 01715110022
PHONE : 0821 716229
OFFICE : SHUVECHCHA-191
MIAH FAZIL CHIST R/A
AMBAKHANA WEST
SYLHET-3100
(Beside Miah Fazil Chist Jame Masjid & opposite to Rainbow Guest House).
E-mail : sylhetsangbad24@gmail.com
Hello : 01710-809595
Design and developed by M-W-D