সিলেটে ছাত্রলীগ কর্মীকে ছুরিকাঘাতে হত্যা, আটক ২

প্রকাশিত: ৭:৪২ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২১, ২০২৩

সিলেটে ছাত্রলীগ কর্মীকে ছুরিকাঘাতে হত্যা, আটক ২

সিলেট নগরীর বালুচরের টিবি গেইট এলাকায় অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জের ধরে আরিফ মিয়া (১৯) নামে এক ছাত্রলীগ কর্মীকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছে দুর্বৃক্তরা। সোমবার (২০) নভেম্বর দিবাগত রাত ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এই ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে দুজনকে আটক করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার নগরীর পৃথক স্থান থেকে অভিযান চালিয়ে পুলিশ তাদের আটক করে।

আটককৃতরা হলেন বাচ্চু মিয়ার পুত্র রনি (২১) ও কামাল মিয়ার পুত্র মামুন মজুমদার (২৮)। তারা দুজনেই সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও সিলেট সিটি কর্পোরেশনের ৩৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর হিরন মাহমুদ নিপু গ্রুপের কর্মী।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ (এসএমপি) এর উপ-পুলিশ কমিশনার (উত্তর) আজবাহার আলী শেখ।

জানা যায়, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে নগরীর শাহী ঈদগাহ, টিবি গেইট ও বালুচর এলাকায় ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে অনেক দিন ধরে উত্তেজনা চলছিল। এর জের ধরে সোমবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে টিবি গেইট এলাকায় প্রতিপক্ষ গ্রুপের ক্যাডাররা আরিফের উপর হামলা চালায়। তারা ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও ছুরিকাঘাত করে রাস্তায় ফেলে যায় আরিফকে। স্থানীয়রা আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। রাত দেড়টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

পুলিশ জানায়, চার-পাঁচদিন আগে আরিফের ওপর একদল সন্ত্রাসী হামলা করেছিল। আরিফ হামলার ঘটনায় সোমবার বিকেলে নগরীর শাহপরান থানায় একটি এজাহার দায়ের করেন। এর জের ধরে রাতে তার উপর হামলা চালানো হতে পারে বলে ধারণা পুলিশের।

নিহত আরিফ মিয়া নগরীর শাহী ঈদগাহ টিবি গেইট এলাকার ফটিক মিয়ার ছেলে। তিনি সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নাজমুল ইসলাম বলয়ের কর্মী ছিলেন বলে জানা গেছে।

নিহত আরিফের মায়ের দাবি, কয়েক দিন আগে বালুচর এলাকায় ওয়াকওয়েতে বসা অবস্থায় আরিফকে মারধর করে কাউন্সিলর হিরণ মাহমুদ নিপুর গ্রুপের কর্মীরা। তাদের বিরুদ্ধে মামলা করায় আমার ছেলেকে সবাই মিলে কুপিয়ে হত্যা করেছে।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, আরিফের চিৎকার শুনে বাসা থেকে বাইরে বের হয়ে দেখি কাউন্সিলর নিপুসহ তার কর্মীরা মিলে আমার ছেলেকে মারধর করছে।