১১ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৭শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৩:২১ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ৪, ২০২৩
সুনামগঞ্জের ইজারা ও নিলাম বিহীন ধোপাজান চলতি নদীর পূর্ব ও পশ্চিম পাড়ের পাথর বালি রাতের বেলা বেআইনীভাবে বিভিন্ন পঙ্গপাল নৌকায় লুটতরাজসহ অপসারণ এবং নদীর তলদেশ হতে বেপরোয়াভাবে বালু পাথর উত্তোলন করে পৃথক ২টি রুটে পাচারের অভিযোগে চিহ্নিত চোরাকারবারীদের গ্রেফতারের দাবীতে সুনামগঞ্জে মানববন্ধন পালিত হয়েছে।
রবিবার (৩ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৫টায় সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের বালাকান্দা বাজারে ধোপাজান চলতি নদীর পূর্বপাড়ে উক্ত মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
এতে ধোপাজান নদী বালি পাথর ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক কবীর হোসেন,মোঃ সাচ্চু মিয়া, মোঃ মুজিবুর রহমান, আমিন মিয়া, কামাল হোসেন, মাহবুব আলম, হাবু মিয়া, ইরন মিয়া, সাজ্জাদুর রহমান, আব্দুর রহিম, আব্দূন নূর, কালা মিয়া ও তৈয়বুর রহমানসহ সুনামগঞ্জ সদর ও বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার সচেতন নাগরিকেরা বক্তব্য রাখেন।
বক্তারা বলেন, আমাদের বসতবাড়ীর সামনে ধোপাজান চলতি নদী তীরে অবস্থিত। দুই উপজেলার মধ্যবর্তী এই নদীতে প্রাকৃতিক সম্পদ বালি পাথরে ভরপুর। গত ১লা জুলাই ২০২৩ইং হতে চিহ্নিত চোরাকারবারীরা দিন ও রাতের বেলা ধোপাজান চলতি নদীর পূর্ব ও পশ্চিম পাড়ে স্তুপীকৃত পাথর ও বিভিন্ন স্থানে থাকা বালি বিভিন্ন পঙ্গপাল নৌকায় বুঝাই করে দুইটি পৃথক রুট ব্যবহার করত: নৌপথে বিভিন্ন বাল্কহেড ও স্টিলবডি নৌকার মালিক ও ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রয় করে মোটা অংকের টাকা বেআইনীভাবে পকেটস্থ করছে। এছাড়াও চোরাকারবারীরা সরকারের মূল্যবান খনিজ সম্পদ বালি ও পাথর রাতের বেলা ড্রেজার ও বোমা মেশিন দ্বারা উত্তোলন করত: বিভিন্ন পঙ্গপাল নৌকায় বুঝাই করে ধোপাজান নদী দিয়ে বের হয়ে নৌপথে সুরমা নদীতে বিভিন্ন বাল্কহেড ও স্টিলবডি নৌকার মালিক ও ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রয় করত: মোটা অংকের টাকা বেআইনীভাবে পকেটস্থ করছে। বিভিন্ন সময় এই রুটে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার ধরপাকড় অভিযানের কারণে উক্ত চোরাকারবারীরা তাদের চোরাইকৃত বালি পাথর পাচারের জন্য বর্তমানে আরেকটি বিকল্প নিরাপদ রুট তৈরী করেছে। বিকল্প নিরাপদ রুট হিসেবে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার সলুকাবাদ ইউনিয়নের ভাদেরটেক-সোনাপুর রাবারডাম্প এর কাছে ছোট ছোট পঙ্গপাল নৌকায় চোরাইকৃত বালি পাথর নিয়ে বিভিন্ন বাল্কহেড ও স্টিলবডি নৌকার মালিক ও ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রয় করে সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার গৌরারং ইউনিয়নের লালপুর গ্রাম সংলগ্ন গজারিয়া নদী দিয়ে বের হয়ে বিভিন্ন জায়গায় পাচারের মাধ্যমে চোরাকারবারীরা নতুনভাবে বালি পাথর লুটতরাজের মহোৎসব চালিয়ে যাচ্ছে। প্রতিরাতে ও ভোরবেলা প্রায় দেড় শতাধিক পঙ্গপাল নৌকার মাধ্যমে প্রায় ৫০ হাজার ঘনফুট পাথর ও সমপরিমাণ বালি লুটতরাজ করে নিচ্ছে উক্ত চোরাকারবারীরা। এতে করে সরকার মোটা অংকের টাকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
সদর উপজেলার গৌরারং ইউনিয়নের লালপুর গ্রামের হাজী আব্দুছ ছোবহানের পুত্র চোরাকারবারী মমিন মিয়া (৪৮), সুরমা ইউনিয়নের হুরারকান্দা গ্রামের ইন্তাজ আলীর পুত্র রমজান (৪৪) জাহাঙ্গীরনগর ইউনিয়নের কাইয়ারগাঁও গ্রামের ছৈদ আলীর পুত্র মকবুল হোসেন (৪২), একই গ্রামের আবুল কাশেমের পুত্র ওমর (৩৫) ও তাদের সকল সহযোগীদের গ্রেফতারের দাবী জানানো হয় মানববন্ধনে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে পরিবেশ অধিদপ্তর সিলেটের উপ-পরিচালক মো. এমরান হোসেন বলেন, সরকারের খনিজ সম্পদ লুটতরাজকারীদের বিরুদ্ধে রাতের বেলা নদীর তীর কাটা ও বালি পাথর চুরির দায়ে ইতিমধ্যে পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
EDITOR & PUBLISHER :
DR. ARIF AHMED MOMTAZ RIFA
MOBILE : 01715110022
PHONE : 0821 716229
OFFICE : SHUVECHCHA-191
MIAH FAZIL CHIST R/A
AMBAKHANA WEST
SYLHET-3100
(Beside Miah Fazil Chist Jame Masjid & opposite to Rainbow Guest House).
E-mail : sylhetsangbad24@gmail.com
Hello : 01710-809595
Design and developed by M-W-D