১৩ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৯শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১:০৩ অপরাহ্ণ, আগস্ট ১১, ২০২৩
সিলেটের গোলাপগঞ্জে চোরাই গরু বিক্রি করতে নিয়ে যাওয়ার সময় উপজেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি মুন্না আহমদ (৩০) সহ ৩ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) ভোর রাত পৌনে ৪টার দিকে উপজেলার পৌর এলাকার ঘোষগাঁও মাদ্রাসার সামনে থেকে তাদেরকে আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলো- লক্ষিপাশা ইউনিয়নের মিরপুর গ্রামের মৃত তেরা মিয়ার ছেলে আব্দুল কাদির (৩৫), বাঘা ইউনিয়নের দক্ষিণ বাঘা গ্রামের ইউছুফ আলীর ছেলে মনোয়ার হোসেন (৪২) ও একই ইউনিয়নের রুস্তমপুর গ্রামের মৃত মোবারক আলীর ছেলে মুন্না আহমদ (৩০)। মুন্না আহমদ গোলাপগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতির দায়িত্বে রয়েছেন।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বুধবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ জানতে পারে একদল লোক চোরাই গরু বিক্রির উদ্দেশ্যে নিয়ে যাচ্ছে। তখন তৎক্ষনাৎ গোলাপগঞ্জ মডেল থানার উপপরিদর্শক পার্থ সারথী দাশের নেতৃত্বে একদল পুলিশ সেখানে অভিযান চালায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে আসামিরা দ্রুত গতিতে গাড়িসহ গরু নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। পালিয়ে যাওয়ার সময় আসামিদের আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা স্বীকার করে গরুটি শাহপরান (রহ.) থানা এলাকা থেকে চুরি করে বিক্রির উদ্দেশ্যে তারা নিয়ে যাচ্ছিলো। পরবর্তীতে তাদের ৩ জনকে চোরাই গরু ও গরু বহনকাজে ব্যবহৃত একটি পিকআপ গাড়িসহ আটক করা হয়।
পুলিশ আরও জানায়, আটকের পর তাদের বিরুদ্ধে গোলাপগঞ্জ মডেল থানায় একটি মামলা (মামলা নং : ৮/১৯৩ তাং, ১০/৮/২০২৩ ইং) দায়ের করা হয়েছে। তারা উপজেলা বিভিন্ন গ্রাম থেকে গরু চুরি করে সিলেটের বিভিন্ন ব্যবসায়ীর কাছে বিক্রি করে বলে স্বীকার করেছে।
গোলাপগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মান্না আহমদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি প্রথমে অস্বীকার করেন মুন্না ছাত্রলীগের কোন দায়িত্বে নেই। তবে পরবর্তীতে স্বীকার করে বলেন, তার নাম ভুলঃবশত কমিটিতে এসেছে। কমিটি হওয়ার পর থেকে তাকে আমরা কোন কার্যক্রমে দাওয়াত দেইনি।
গোলাপগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তাজুল ইসলাম বলেন, ‘সে উপজেলার ছাত্রলীগের সহসভাপতির দায়িত্বে রয়েছে। যখন চুরির বিষয়টি শুনেছি তখন সাথে সাথে আমরা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদককে বিষয়টি অবগত করেছি। তারা যেভাবে বলবেন, আমরা সেই ভাবে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’
গোলাপগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুর ইসলাম আসামিদের আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আসামিদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
EDITOR & PUBLISHER :
DR. ARIF AHMED MOMTAZ RIFA
MOBILE : 01715110022
PHONE : 0821 716229
OFFICE : SHUVECHCHA-191
MIAH FAZIL CHIST R/A
AMBAKHANA WEST
SYLHET-3100
(Beside Miah Fazil Chist Jame Masjid & opposite to Rainbow Guest House).
E-mail : sylhetsangbad24@gmail.com
Hello : 01710-809595
Design and developed by M-W-D