১৩ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৯শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৯:৩৮ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ৩০, ২০১৬
৩০ ডিসেম্বর ২০১৬, শুক্রবার ।। সিলেটের এম কে জামান উরফে দুলাল। যাকে সবাই চিনে আর্ন্তজাতিক ভিসা জালিয়াতি চক্রের মুল হোতা হিসেবে। এমন কোন দেশ নেই যে তিনি ভিসা বানাতে পারেননি।
এবার সেই ভিসা জালিয়াতি চক্রের মুল হোতা এম কে জামানকে গ্রেফতার করা হলো জাল-জালিয়াতি ও ৭ বছরের একটি মেয়েকে আপত্তিকর ছবি তোলার অভিযোগে। ২৯ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬ ঘটিকার সময় এম কে জামানকে তার বাসা থেকে আটক করা হয়।
এসময় তার বাসা থেকে উদ্ধার করা হয় একটি ল্যাপটপ, মোবাইল ও কিছু আপত্তিকর ছবি। এ ঘটনায় এম কে জামানের বিরোদ্ধে সিলেট শাহপরান থানায় ২টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলা ২টি হলো ৮ (১) ২০১২ সালে পর্নোগ্রাফী নিয়ন্ত্রন আইন।
প্রলোভন দেখাইয়া শিশু কন্যার আপত্তিকর ছবি তোলার অপরাধ। এই মামলার বাদী হলেন সুনামগঞ্জ জেলার দিরাই থানার রাধানগর গ্রামের (বর্তমানে টিলাগড় ভাটাটিকর সাজু রোডের ৭ নং বাসার বাসিন্দা মো: নুরুল ইসলামের ছেলে শহিদুল ইসলাম। অপরটি হলো বাংলাদেশ পেনাল কোডের ৪১৯, ৪৬৮, ৪৭১ ও ৪৭৩ ধারা।
প্রতারনার উদ্দেশ্যে অন্যের ভুয়া ও জাল পদবী ব্যবহার করা, জালিয়াতির উদ্দেশ্যে সিল মোহর তৈরী এবং ভুয়া আইডি কার্ড তৈরীর অভিযোগ। এই মামলার বাদী র্যাব-৯ এর এস. আই নুরুল ইসলাম। বাদী শহিদুল ইসলামের মামলা সুত্রে জানা যায়, বাদীর শিশু কন্যা (ছোট শিশু সে জন্য নাম প্রকাশ করা গেলনা) টিলাগড় শাপলাবাগের ১ নং রোডের ইসলামিক রিসার্স সেন্টারের ছাত্রী।
আসামী টিলাগড় শাপলাবাগের ১নং রোডের ২০ নং রাইয়ান ভিলার মালিক এম কে জামান বাদীর ৭ বছরের শিশু কন্যা (ছোট শিশু সে জন্য নাম প্রকাশ করা গেলনা )কে মাদ্রাসায় যাওয়া আসার সময় চিপস, চকলেট দিয়ে তার বাসায় যাওয়ার জন্য পিড়াপিড়ি করত। গত ২৪ ডিসেম্বর দুপুর অনুমান ১২ ঘটিকার সময় শহিদুল ইসলামের শিশু কন্যাকে এম কে জামান তার বাসায় নিয়ে যায়।
এবং কিছু আপত্তিকর ছবি তুলে তার ল্যাপটপে সেভ করে রাখে। এ খবর ঐ শিশুর বাবা ও মা জানতে পেরে থানায় গিয়ে এই মামলা দায়ের করেন। পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-৯ এর একটি দল এম কে জামানকে জাল-জালিয়াতি ও পর্নোগ্রাফীর অভিযোগে তার বাসা থেকে আটক করে থানায় সোপর্দ করেন।
এ ব্যাপারে সিলেট শাহপরান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহজালাল মুন্সি আটকের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এম কে জামানের বিরোদ্ধে শাহপরান থানায় ২টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। পর্নোগ্রাফী আনের মামলাটি তদন্ত করবেন এ এস আই আশরাফুল এবং অপর মামলাটি তদন্ত করবেন এ এস আই রবিউল এসলাম। আসামীকে আগামীকাল ৩১ ডিসেম্বর শনিবার সিলেট আদালতে প্রেরন করা হবে বলেও তিনি জানান।
EDITOR & PUBLISHER :
DR. ARIF AHMED MOMTAZ RIFA
MOBILE : 01715110022
PHONE : 0821 716229
OFFICE : SHUVECHCHA-191
MIAH FAZIL CHIST R/A
AMBAKHANA WEST
SYLHET-3100
(Beside Miah Fazil Chist Jame Masjid & opposite to Rainbow Guest House).
E-mail : sylhetsangbad24@gmail.com
Hello : 01710-809595
Design and developed by M-W-D