২রা ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১২:৩৮ পূর্বাহ্ণ, জানুয়ারি ৫, ২০১৭
সিলেটের সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী কারামুক্ত হয়েছেন। বুধবার সন্ধ্যা সোয়া ৫টায় তিনি সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তিলাভ করেন। সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া হত্যা মামলা ও সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের সমাবেশে বোমা হামলার ঘটনায় দায়েরকৃত ৪টি মামলায় জামিন পেয়ে তিনি কারামুক্ত হন। কারামুক্ত হয়েই মেয়র আরিফ হযরত শাহজালাল (রহ.) মাজার জিয়ারতে যান। এরপর তিনি নগরীর কুমারপাড়াস্থ তার বাসায় যান।
বাসায় ফিরে কারামুক্ত আরিফ বলেন, তিনি গুরুতর অসুস্থ। দীর্ঘদিন জেলে থাকায় সুষ্ঠু চিকিৎসা হয়নি। এখন ভাল করে নিজের চিকিৎসা করাবেন।
তারপর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র পদ ফিরে পেতে আইনগত প্রক্রিয়া শুরু করবেন। তিনি বলেন, সকলের সহযোগীতা ও ভালোবাসায় আমি মুক্তি পেয়েছি।
আমার মা অসুস্থ, আমি নিজেও অসুস্থ। আদালত এসব বিবেচনায় নিয়ে আমাকে জামিন প্রদান করেছেন। তিনি আরো বলেন, আমাকে জনগন ভোট দিয়ে মেয়র বানিয়েছেন। কেবল জনগনই আমাকে বহিস্কার করতে পারে।
এসময় মেয়র আরিফের মা তার সন্তানকে বুকে জড়িয়ে ধরে কেদে উঠেন। মা তার ছেলেকে অনেকক্ষণ জড়িয়ে ধরে রাখেন। পরে মেয়র আরিফ ও গৌছের মাথায় হাত বুলিয়ে দোয়া করেন তিনি।
গত ২০ ডিসেম্বর সিলেটের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী ও হবিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র জিকে গউছকে হাইকোর্টের দেয়া জামিন স্থগিত করে আপিল বিভাগে পাঠিয়ে দেন। এর আগে গত ১১ ডিসেম্বর সুনামগঞ্জের দিরাই বোমা হামলা মামলায় সিলেট সিটি কর্পোরেশনের বরখাস্ত হওয়া মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীকে ও সাবেক অর্থমন্ত্রী কিবরিয়া হত্যার ঘটনায় বিস্ফোরক আইনে দায়ের করা মামলায় হবিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র জিকে গউছকে ৬ মাসের জামিন দেন বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি মো. আতাউর রহমান খানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের বেঞ্চ।
২০০৪ সালের ২১ জুন দুপুরে দিরাই বাজারে একটি সমাবেশে বোমা হামলার ঘটনা ঘটে। এ সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত। এ বোমা হামলায় এক যুবলীগ কর্মী নিহত ও ২৯ জন আহত হয়।
অপরদিকে ২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারি হবিগঞ্জের বৈদ্যের বাজারে জনসভায় গ্রেনেড হামলায় আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়াসহ পাঁচজন নিহত হন। এ ঘটনায় জেলা আওয়ামী লীগের তৎকালীন সাংগঠনিক সম্পাদক ও বর্তমান সাধারণ সম্পাদক সংসদ সদস্য আবদুল মজিদ খান বাদী হয়ে হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা করেন। এ মামলায় ২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বও মেয়র আরিফ হবিগঞ্জ আদালতে আত্মসমর্পন করেন। এরপর থেকে কারাগারে বন্দি ছিলেন তিনি। এরমধ্যে গত বছর মায়ের অসুস্থতার জন্য একবার প্যারোলে জামিন পেয়েছিলেন তিনি।
EDITOR & PUBLISHER :
DR. ARIF AHMED MOMTAZ RIFA
MOBILE : 01715110022
PHONE : 0821 716229
Office : Central Market (1st floor),
Bandar Bazar (Court Point),
Sylhet – 3100, Bangladesh.
E-mail : sylhetsangbad24@gmail.com
Hello : 01710-809595
Design and developed by M-W-D