শাহ আরেফিন টিলা থেকে ২৫১ কোটি টাকার পাথর লুট, দুদকের মামলা

প্রকাশিত: ৩:০৪ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১৪, ২০২১

শাহ আরেফিন টিলা থেকে ২৫১ কোটি  টাকার পাথর লুট, দুদকের মামলা

সিলেটের কোম্পানীগঞ্জের শাহ আরেফিন টিলা থেকে অবৈধভাবে ২৫১ কোটি ৫৫ লাখ ৯০ হাজার টাকার পাথর অবৈধভাবে উত্তোলন করে বিক্রি করে দিয়েছেন ইজারাদার। এমন অভিযোগ এনে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) মামলা করেছে। মামলায় একমাত্র আসামি করা হয়েছে কোয়ারির ইজারাদার মেসার্স বশির কোম্পানীর সত্ত¡াধিকারী কোম্পানিগঞ্জ উপজেলার কাঠালবাড়ি’র মোহাম্মদ আলীকে। বুধবার সিলেট জেলা সমন্বিত কার্যালয়ে মামলাটি দায়ের করেন দুদকের সহকারী পরিচালক মো. ইসমাইল হোসেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীনে খনিজ সম্পদ উন্নয়ন ব্যুরো থেকে ১০ শর্তে সিলেট জেলার কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার অন্তর্গত চিকাঢুরা মৌজায় শাহ আরেফিন টিলার ২৫ হেক্টর বা ৬১ একর এলাকা থেকে সাধারণ পাথর উত্তোলনের জন্য ২০০৫ সালের ৫ এপ্রিল এক বছরের জন্য মেসার্স বশির কোম্পানি পাথর কোয়ারি ইজারা পায়। কিন্তু ইজারাদার মোহাম্মদ আলী শর্ত ভঙ্গ করে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন করলে খনিজ সম্পদ উন্নয়ন ব্যুরো পাথর উত্তোলনে নিষেধাজ্ঞা দেয়। কিন্তু নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে পাথর উত্তোলন অব্যাহত রাখেন ইজারাদার। পাথর উত্তোলনের জন্য ৬১ একর এলাকায় অনুমোদন পেলেও ইজারাদার ১৩৭.৫০ একর জায়গা জুড়ে অবস্থিত সম্পূর্ণ টিলা থেকে পাথর উত্তোলন করতে থাকেন। এক্ষেত্রে পরিবেশ সংরক্ষণ বিধিমালাও অনুসরণ করেননি ইজারাদার মোহাম্মদ আলী। অথচ পাথর উত্তোলনে পরিবেশগত ছাড়পত্র গ্রহণ বাধ্যতামূলক।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, শাহ আরেফিন টিলার ২৫ হেক্টর বা ৬১ একর পাথর উত্তোলনের জন্য ইজারা গ্রহণ করে ১৩৭.৫০ একর জায়গাজুড়ে অবস্থিত সম্পূর্ণ টিলা থেকে ২৫১ কোটি ৫৫ লাখ ৯০ হাজার টাকা মূল্যের ৬২ লাখ ৮৮ হাজার ৭৫০ ঘনফুট পাথর অবৈধ উপায়ে উত্তোলন করে সরকারি সম্পদের ক্ষতিসাধন করেছেন আসামি মোহাম্মদ আলী। তাই তার বিরুদ্ধে দÐবিধির ৪২০ ও ৪০৬ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।


এর আগে ২০১৭ সালে পাথর উত্তোলনকালে একসাথে ৫ শ্রমিকের মৃত্যুর ঘটনার পর ওই টিলাটি আলোচনায় আসে। ওই সময় জেলা প্রশাসনের তদন্তেও ইজারাদারে অনিয়মের প্রমাণ মেলে। তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ৬৫ একর ভ‚মি লিজ নিয়ে ১৩৭ একরের পুরো টিলাটি ইজারাদার ধ্বংস করে দিয়েছেন।

সিলেটের তৎকালীন অতিরিক্ত জেলা হাকিম (এডিএম) আবু সাফায়াৎ মুহম্মদ শাহেদুল ইসলামকে প্রধান করে গঠিত ওই তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে টিলা ধ্বংসের সাথে জড়িত ৪৭ জনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। টিলা কেটে পাথর উত্তোলনে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, শাহ আরেফিন খানকা শরীফের খাদেম এবং ইজারাদার জড়িত বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।


 

সর্বমোট পাঠক


বাংলাভাষায় পুর্নাঙ্গ ভ্রমণের ওয়েবসাইট