১৪ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৯শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১:০০ অপরাহ্ণ, জুলাই ২০, ২০২১
পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপনের মধ্যেই আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্টের প্রাসাদের কাছে রকেট হামলা চালানো হয়েছে। মঙ্গলবার কাবুলে প্রেসিডেন্টের প্রাসাদে ঈদের নামাজ চলার মুহূর্তেই পরপর তিনটি রকেট হামলা চালানো হয়েছে।
তাৎক্ষণিকভাবে হামলায় কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। এছাড়া হামলার দায়িত্ব স্বীকার করে এখনো কোনো সংগঠন বিবৃতি দেয়নি।
আফগান টিভি চ্যানেল তোলো নিউজের টুইটার একাউন্টে শেয়ার করা এক ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনির উপস্থিতিতে প্রেসিডেন্ট প্রাসাদের খোলা চত্ত্বরে ঈদের নামাজ আদায় করা হচ্ছে। নামাজের মধ্যেই প্রাসাদের কাছে পর পর তিনটি রকেট আঘাত হানার প্রচণ্ড শব্দ শোনা যায়। রকেট হামলা সত্ত্বেও স্থিরভাবে নামাজ আদায় করা হয়। পেছনের সারির দুই-তিনজন মুসল্লীকে নামাজ ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয় নিতে দেখা যায়।
স্থানীয় সময় সকাল ৮টায় কাবুলের সুরক্ষিত গ্রিনজোনে এই তিন রকেট আঘাত হানে।
নামাজের পর প্রেসিডেন্ট গনি তার ঈদের ভাষণে হামলার জন্য তালেবানকে দায়ী করেন। তিনি বলেন, শান্তি প্রতিষ্ঠা ও সামনে অগ্রসর হওয়ার কোনো ইচ্ছাই সংগঠনটির নেই।
এর আগে রোববার কাতারের রাজধানী দোহায় আফগানিস্তানে শান্তি প্রতিষ্ঠার বিষয়ে সরকার ও তালেবানের প্রতিনিধি দলের মধ্যে আলোচনা শেষ হয়েছে। শনিবার ও রোববার, দুই দিনের আলোচনায় দুই পক্ষ কোনো মীমাংসায় পৌঁছাতে না পারলে আগামী সপ্তাহে আবার আলোচনায় বসতে সম্মতি জানায় উভয়পক্ষ।
যুক্তরাষ্ট্রের সাথে তালেবানের গত বছর স্বাক্ষরিত দোহা চুক্তি অনুযায়ী বিগত কয়েক মাস আফগানিস্তানে শান্তি প্রতিষ্ঠার বিষয়ে আলোচনা করে আসছে তালেবান। কিন্তু দীর্ঘ আলোচনা সত্ত্বেও এখনো পর্যন্ত উভয়পক্ষ কোনো মীমাংসায় পৌঁছাতে পারেনি।
গত এপ্রিলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ঘোষণা অনুসারে আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সৈন্য প্রত্যাহার চলছে। পেন্টাগনের তথ্য অনুসারে ইতোমধ্যেই দেশটি থেকে ৯৫ ভাগ সৈন্য প্রত্যাহার শেষ হয়েছে।
এরই মধ্যে আফগান সরকারের সাথে সমঝোতা না হওয়ার জেরে সশস্ত্র সংগঠন তালেবান দেশটির বিভিন্ন স্থানের নিয়ন্ত্রণ নেয়া শুরু করেছে। ইতোমধ্যেই দেশটির ৮৫ ভাগের বেশি এলাকা তালেবানের নিয়ন্ত্রণে নেয়ার তথ্য জানিয়েছে দলটি।
২০০১ সালে মার্কিন আগ্রাসনের সময় আফগানিস্তানে ক্ষমতায় তালেবান সরকার প্রতিষ্ঠিত ছিল।
ওই বছর ১১ সেপ্টেম্বর নাইন ইলেভেনের সন্ত্রাসী হামলার জেরে ৭ অক্টোবর আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেন আগ্রাসন চালায়। ২০ ডিসেম্বর জাতিসঙ্ঘ আফগানিস্তানে আন্তর্জাতিক নিরপত্তা সহায়ক বাহিনীর অবস্থানের অনুমোদন করলে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন ন্যাটো জোটের অংশীদার ৪৩টি দেশের সৈন্য দেশটিতে অবস্থান নেয়।
গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্র ও তালেবান আফগানিস্তানে শান্তি প্রতিষ্ঠায় দীর্ঘ আলোচনার পর কাতারের রাজধানী দোহাতে এক দ্বিপক্ষীয় চুক্তি স্বাক্ষর করে। চুক্তির অধীনে তালেবান সহিংসতা ছেড়ে আফগানিস্তানে শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রক্রিয়ায় অংশ গ্রহণে সম্মত হয়। বিনিময়ে দেশটি থেকে যুক্তরাষ্ট্রসহ সকল বিদেশী বাহিনীকে এই বছর ১ মে সময়সীমায় প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
তবে গত ১৪ এপ্রিল হোয়াইট হাউজে এক ঘোষণায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন নতুন করে এই সময়সীমা ১১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাড়ান। বাইডেনের ঘোষণা অনুসারে আগামী ১১ সেপ্টেম্বরের আফগানিস্তান থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও অন্য ৩৫টি দেশের নয় হাজার পাঁচ শ’ ৯২ সৈন্য প্রত্যাহারের কথা রয়েছে।
মার্কিনিদের সাথে চুক্তি অনুসারে আফগানিস্তানে শান্তি প্রতিষ্ঠায় সরকারের সাথে তালেবানের সমঝোতায় আসার কথা থাকলে এখনো কোনো সমঝোতায় পৌঁছাতে পারেনি দুই পক্ষ। সমঝোতায় না পৌঁছানোর জেরে তালেবান আফগানিস্তানের বিভিন্ন এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিতে শুরু করে। সমঝোতা না হওয়ার জন্য আফগান সরকারকে অভিযুক্ত করছে তালেবান।
সূত্র : আলজাজিরা ও তোলো নিউজ
EDITOR & PUBLISHER :
DR. ARIF AHMED MOMTAZ RIFA
MOBILE : 01715110022
PHONE : 0821 716229
Office : Central Market (1st floor),
Bandar Bazar (Court Point),
Sylhet – 3100, Bangladesh.
E-mail : sylhetsangbad24@gmail.com
Hello : 01710-809595
Design and developed by M-W-D