১৯শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৫ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১:১২ পূর্বাহ্ণ, নভেম্বর ২২, ২০১৬
নবীগঞ্জ থেকে, ছনি চৌধুরী : হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার পাঞ্জারাই গ্রামে হিন্দু সম্প্রদায়ের শ্বশানের জায়গা প্রভাবশালীদের অবৈধ দখল থেকে মুক্ত করে দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।
সোমবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাজিনা সারোয়ার উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) জীতেন্দ্র কুমার নাথকে সাথে নিয়ে সরেজমিনে গিয়ে অভিযোগের সত্যতা পেয়ে উক্ত অবৈধ দখল উচ্ছেদ করেন।
সূত্রে জানা যায়, নবীগঞ্জ উপজেলার করগাঁও ইউনিয়নের পাঞ্জারাই গ্রামের হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন প্রায় ২শত বছর ধরে পাঞ্জারাই মৌজার (দাগ নং- ৪২১) এর ১ একর ২১ শতক শ্বশান রকম ভুমি দখলে রয়েছেন। তারা ২ শত বছর ধরে ওই ভূমিতে পূজা, কীর্তনসহ তাদের সব ধর্মীয় সকল উৎসব পালন করে আসছেন।
অভিযোগে প্রকাশ, বিগত কয়েক বছর ধরে ওই ভূমি দখল করতে মরিয়া হয়ে উঠে পাঞ্জারাই গ্রামের আলা উদ্দিন, আল-আমিন, আনহার, বজলু ও সজলুগংরা। প্রায় বছরখানেক পূর্বে প্রশাসন কর্তৃক স্থাপিত তাদের শ্বশান রকম ভূমির সীমানার পিলার হঠাৎ উধাও হয়ে যায়। এরপর স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন নবীগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের নিকট লিখিত অভিযোগ দাখিল করলে তৎক্ষনিক ভাবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের সীমানা নির্ধারন করে পিলার স্থাপন করে দিয়ে আসেন। সম্প্রতি ফের উক্ত পিলার তুলে ফেলে দেওয়া হয় এবং উক্ত ভূমির কিছু অংশে কয়েকটি গাছের চারা লাগিয়ে দেয় আলা উদ্দিন ও আল আমিন গংরা। এতে স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনের মধ্যে হতাশার সৃষ্টি হয়। অসহায় হয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসকের নিকট একটি লিখিত দরখাস্ত করেন। জেলা প্রশাসক দরখাস্তটি আমলে নিয়ে নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে প্রেরন করেন এবং তদন্ত পূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের নির্দেশ দেন। এরই প্রেক্ষিতে সোমবার দুপুরে নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাজিনা সারোয়ার ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) জীতেন্দ্র কুমার নাথ ঘটনাস্থলে যান এবং অভিযোগের সত্যতা পান। এসময় নবীগঞ্জ থানার এস আই পলাশ চন্দ্র দাশ এর নেতৃত্বে একদল পুলিশ উপস্থিত ছিলেন। এ সময় নির্বাহী কর্মকর্তা তাজিনা সারোয়ার নির্দেশে আলা উদ্দিন গংদের অবৈধ দখলে থাকা শ্বশানের ভূমি মুক্ত করা হয় এবং ম্যাপ অনুযায়ী নির্দিষ্ট ভূমির সিমানায় দেয়াল নির্মাণের নির্দেশ দেন। পরে নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী কমিশনারের উপস্থিতিতেই নির্ধারিত সীমানায় পিলার স্থাপন করা হয়।
এ ব্যাপারে নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাজিনা সারোয়ার বলেন, ‘নবীগঞ্জের পাঞ্জারাই গ্রামে শ্বশানের জায়গা অবৈধভাবে দখল করে রেখেছিল স্থানীয় কিছু লোকজন। স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন জেলা প্রশাসকের বরাবরে একটি দরখাস্ত করেছিলেন। । এরই প্রেক্ষিতে তদন্ত করে আমি অভিযোগের সত্যতা পাই।’ তিনি আরো বলেন, ‘পূর্বের নির্বাহী কর্মকর্তাও এখানে এসে অবৈধ দখল উচ্ছেদ করে সিমানা নির্ধারন করে দিয়েছিলেন। কিন্তু এর কিছুদিন পরই অবৈধ দখলদাররা সিমানা পিলার তুলে ফেলে। তাই আবার অভিযোগের প্রেক্ষিতে আমি সরেজমিনে এসে ভূমি ম্যাপে শ্বশানের জায়গার সিমানা নির্ধারন করে দিয়েছি।
EDITOR & PUBLISHER :
DR. ARIF AHMED MOMTAZ RIFA
MOBILE : 01715110022
PHONE : 0821 716229
OFFICE : SHUVECHCHA-191
MIAH FAZIL CHIST R/A
AMBAKHANA WEST
SYLHET-3100
(Beside Miah Fazil Chist Jame Masjid & opposite to Rainbow Guest House).
E-mail : sylhetsangbad24@gmail.com
Hello : 01710-809595
Design and developed by M-W-D