বর্ণাঢ্য আয়োজনে সিকৃবি’র প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন

প্রকাশিত: ১২:৫১ পূর্বাহ্ণ, নভেম্বর ৬, ২০১৬

বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হয়েছে। একদশক পূর্তিতে সিকৃবি ক্যাম্পাস বর্ণাঢ্য সাজে সেজেছে। দু’দিন আগে থেকেই বর্ণিল আলোকসজ্জ্বা ও রোড পেইন্টিংয়ে রঙিন হয়েছে দেশের চতুর্থ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়টি। দুই হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থীর প্রাণের উচ্ছাসের মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে সিকৃবি।
এ উপলক্ষ্যে শনিবার সকালে ক্যাম্পাস থেকে প্রায় দশটি ট্রাকে করে নগরীর চৌহাট্টাস্থ কেন্দ্রিয় শহিদ মিনারে যায় বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার। সেখান থেকে শুরু হয় বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা। নানা রঙে ও পোশাকে সজ্জিত এ শোভাযাত্রাটি নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে ক্যাম্পাসে ফিরে। শোভাযাত্রায় নেতৃত্ব দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ গোলাম শাহি আলম। এসময় উপস্থিত ছিলেন রেজিস্ট্রার মোঃ বদরুল ইসলাম, পরিচালক (ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা) প্রফেসর ড. মোঃ মতিয়ার রহমান হাওলাদার, প্রক্টর প্রফেসর ড. মৃত্যুঞ্জয় বিশ্বাস, বিভিন্ন অনুষদের ডিনবৃন্দ, দপ্তর প্রধানবৃন্দ, শিক্ষক-কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ এবং ক্যাম্পাসের প্রাণ সিকৃবির ৬ অনুষদের শিক্ষার্থীরা। শোভাযাত্রা শেষে ক্যাম্পাসের প্রশাসন ভবনের সামনে জন্মদিনের কেককাটা হয়।
এদিকে, বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে সিকৃবি ফটোগ্রাফিক সোসাইটি আলোকচিত্র প্রদর্শণীর আয়োজন করেছে। ক্যাম্পাসের লেক সাইডে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী-শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের তোলা চমৎকার সব ছবি স্থান পেয়েছে এই প্রদর্শনীতে। বিভিন্ন অনুষদ থেকে দেয়াল পত্রিকা প্রকাশ হয়েছে। সন্ধ্যায় ক্যাম্পাসে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো। দু’দিনব্যাপী আনন্দ আয়োজনের অংশ হিসেবে রোববার দুপুরে ক্রীড়া প্রতিযোগিতার ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হবে। এদিন সন্ধ্যায় সঙ্গীত পরিবেশ করনে বাংলাগানের ব্যান্ড শিরোনামহীন। এছাড়া থাকছে কাইটস ও মেট্রোনম। অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ইতোমধ্যে সাবেক সিকৃবিয়ানরা দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সিলেটে ছুটে এসেছেন।
মাত্র ৫০ একর জমি নিয়ে ২০০৬ সালের ২ নভেম্বর সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস যাত্রা শুরু করেছিল। মূল ক্যাম্পাসের বেশির ভাগ জমি টিলা ও জঙ্গলবেষ্টিত। শিক্ষক বা শিক্ষার্থীরা গবেষণার জন্য জমি গতবছর বহিঃক্যাম্পাস হিসেবে ফেঞ্চুগঞ্জ-তামাবিল বাইপাস সড়ক সংলগ্ন খাদিম নগর এলাকায় ১২.২৯ একর জায়গা অধিগ্রহণ করা হয়। গবেষণা ও শিক্ষাখাতে সাফল্য এবং চমৎকার প্রশাসনিক কাঠামো এ ক্যাম্পাসকে সারা বাংলাদেশে পরিচিতি এনে দিয়েছে। তাইতো সাফল্যে ভরা একদশক উৎসবমূখর পরিবেশে উদযাপন করছে সিকৃবি পরিবার।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

সর্বমোট পাঠক


বাংলাভাষায় পুর্নাঙ্গ ভ্রমণের ওয়েবসাইট