বরিশালে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, লাঠিচার্জ, ভোটগ্রহণ বন্ধ

প্রকাশিত: ৯:৫৬ পূর্বাহ্ণ, জুলাই ৩০, ২০১৮

বরিশাল : বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে একটি ভোট কেন্দ্রে নৌকা ও ধানের শীষ প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। পরিস্থিত নিয়ন্ত্রণে লাঠিচার্জ করেছে বিজিবি।

সোমবার সকাল সাড়ে ৯টায় দিকে নগরীর সৈয়দা মজিদুন্নেসা কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। ওই কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ আপাতত স্থগিত করা হয়েছে।

স্থানীয় ভোটাররা জানান, আওয়াল মন্ডল নামের স্থানীয় আওয়ামী লীগের এক নেতা ভোট দিতে যান। তিনি ভোট দেয়ার পর সেখানে অবস্থান করেন। এসময় বিএনপির লোকজন বাধা দেয়। এতে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় রূপ নেয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে লাঠিচার্জ করেছে বিজিবি।

প্রায় আধা ঘণ্টা ধরে চলে এই ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনায় ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে। ওই কেন্দ্রটি বিএনপির মেয়রপ্রার্থী মজিবুর রহমান সারোয়ারের বাড়ির পাশে। তিনি সেখানে এর আগে ভোট দেন।

বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী অ্যাডভোকেট মজিবর রহমান সরোয়ার অভিযোগ করে বলেছেন যে, ভোটগ্রহণ চলাকালে নগরীর বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে তার পোলিং এজেন্টদের বের করে দেওয়া হচ্ছে।

সোমবার সকাল ৮টা ৫০ মিনিটে সৈয়দা মজিদুন্নেছা মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে নিজের ভোট দেওয়া শেষে সাংবাদিকদের কাছে এই অভিযোগ করেন মজিবর রহমান। যে কোনো পরিস্থিতিতে যেন তার নেতাকর্মীরা কেন্দ্রে অবস্থান নেয় সে নির্দেশনা দিয়েছেন বলে সাংবাদিকদের জানান তিনি।

বিএনপির মেয়রপ্রার্থী বলেন, ‘বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে আমার ৫০ জন পোলিং এজেন্টকে বের করে দেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে প্রধান ভূমিকা পালন করেছে পুলিশ। যেখানে পুলিশের আমার এজেন্টদের সুরক্ষা দেওয়ার কথা সেখানেই তারাই বের করে দিচ্ছে। এছাড়া ছাত্রলীঘ-যুবলীগ নেতাকর্মীরা বিভিন্ন কেন্দ্র পাহারা দিচ্ছে। সেখানে বিএনপির নেতা কর্মীদের, এমনকি ভোটারদেরও ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। এক্ষেত্রে আবার ছাত্রলীগ বা যুবলীগকে পুলিশ বাধা দিচ্ছে না।’

এসব অভিযোগ রিটার্নিং অফিসারকে জানিয়েছেন কি না জানতে চাইলে মজিবর রহমান সরোয়ার বলেন, হাইকোর্টের নির্দেশ আছে যেন বিএনপির নেতাকর্মীদের অযথা হয়রানি করা হয়। যেখানে তারা হাইকোর্টের আদেশই মানছে না সেখানে কমিশনে অভিযোগ দিয়ে লাভ নেই। এর আগেও অনেক অভিযোগ দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, কিন্তু কোনোটিই তারা আমলে নেয়নি। এ অবস্থা চলতে থাকলে নির্বাচন করা কঠিন হয়ে পড়বে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

এদিকে সকালে যখন মজিবর রহমান সরোয়ার ভোটকেন্দ্রে আসেন তখন সেখানে উপস্থিত আওয়ামী লীগ এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগফনের নেতাকর্মীরা নৌকার স্লোগান দিতে থাকেন। এতে সেখানে ব্যাপক উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। তবে তা প্রশমনে পুলিশ বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাউকে এগিয়ে আসতে দেখা যায়নি।

র‌্যাবের স্ট্রাইকিং ফোর্সের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ হাসান বলেন, র‌্যাব হলো এখানে স্ট্রাইকিং ফোর্স। তাদের কেন্দ্রের ভেতরে যাওয়ার কোনো অধিকার নেই। তাই তারা বাইরেই অবস্থান করছিলেন।