তারা ছিলেন ত্যাগী নেতা: ফেঞ্চুগঞ্জে স্মরণ সভায় মিসবাহ সিরাজ

প্রকাশিত: ১২:৩৩ পূর্বাহ্ণ, জুলাই ৬, ২০১৮

তারা ছিলেন ত্যাগী নেতা: ফেঞ্চুগঞ্জে স্মরণ সভায় মিসবাহ সিরাজ

সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল মুছব্বির রবাই, আলখাছ আলী, ফখরুল ইসলাম ফরুখ স্মরণে শোকসভায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ বলেছেন, ‘যারা নিজের স্বার্থের জন্য নয় পরিবারের স্বার্থের জন্য নয়, বরং নেতৃত্ব থেকে আওয়ামী লীগকে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন তাদের মধ্যে অন্যতম আব্দুল মুছব্বির রবাই, আলখাছ আলী ও ফখরুল ইসলাম ফরুখ। তাদের স্মরণেই এই শোক সভা।

তিনি বলেন, ‘এই তিন নেতা ছিলেন অত্যান্ত সাধারণ মানুষ, তারা ছিলেন ত্যাগী নেতা। তারা সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করে গেছেন। এজন্য দলে সুবিধাবাদী যাতে প্রবেশ না করতে পারে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।’

গতকাল বুধবার উপজেলার পালবাড়ী বাজারে ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠন এ শোকসভার আয়োজন করে। উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল বাছিত টুটুলের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মিসবাহ সিরাজ বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এই সংগঠন তৈরি করেছিলেন বলেই আজকে বাংলাদেশের মানুষ মাথা উঁচু করে আছে। সারা পৃথিবীর বুকে বাংলাদেশকে নিয়ে চিন্তা ভাবনা করছেন, দেশের প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে বিভিন্ন ভাবে প্রশংসা করে তাকে পদক দেওয়া হচ্ছে। এই দল সঠিক ভাবে চলছে বলেই জাতির পিতার ৭মার্চের ভাষণ সারা পৃথিবীতে প্রশংসিত হয়েছে, বিশ্বে স্বীকৃতিও পেয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘১৯৭৫ সালের ১৪ আগস্ট ঘাতকরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করতে চেয়েছিল। তখন আওয়ামী লীগের অনেক বড় বড় নেতাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। তবে, গ্রাম-গঞ্জে নিস্বার্থ ভাবে আওয়ামী লীগ করেছেন তারাই আওয়ামী লীগকে একত্রিত করেছিলেন। এসব নিঃস্বার্থ কর্মীদের বাদ দিয়ে কোন নেতা, এমপি, মন্ত্রী সম্মানিত হতে পারেন না। মন্ত্রি হতে পারবেন কিন্তু সম্মান পাবেন না। আর যারা নিঃস্বার্থ ভাবে রাজনীতি করেছেন তারা মৃত্যুর পরেও সম্মানিত হন।’

তিনি বক্তব্যে আরো বলেন, ‘খালেদা এতিমের টাকা আত্মসাৎ করেছেন, দুর্নীতি করেছেন তিনি কারাগারে গিয়েছেন। দুর্নীতির জন্য মানুষ তার পক্ষ নেইনি। আজকে বাংলাদেশে যদি শেখ হাসিনা কারাগারে যেতেন তবে বাংলাদেশ অচল হয়ে যেত। সকল মানুষ আর রাজনৈতিক দল ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলন করতো। শেখ হাসিনা দুর্নীতি করেননি।’

উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক রেজান আহমদ শাহ’র পরিচালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি গোলাম মৌলা, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রাজু আহমদ রাজা, বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের সহকারী এর্টনি জেনারেল এডভোকেট আব্দুর রকিব মন্টু, সিলেট জেলা পরিষদের সদস্য নুরুল ইসলাম ইছন, যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবিব, উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক হাজী এনামুল হক এনাম, মাইজগাওঁ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হাজী মঈনউদ্দিন, ফেঞ্চুগঞ্জ ডিগ্রী কলেজের সাবেক ভিপি এ বি এম কিবরিয়া ময়নুল, সাবেক জিএস আব্দুল মতিন, ফেঞ্চুগঞ্জ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন খান, আওয়ামীলীগ নেতা আমীনুল ইসলাম জালাল, নাছির আহমদ বছন, সেলিম আহমদ, নজমুল হোসেন মো. আজীম উদ্দিন, তরিকুল ইসলাম ময়না, উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক মিজানুর রহমান বাবেল, উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা দেওয়ান ফাহিম, ফেঞ্চুগঞ্জ ডিগ্রী কলেজের ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রাসেল আহমদ শাহ। প্রয়াত তিন নেতাদের রুহের মাগরেফাত করে অনুষ্ঠানের শেষে মোনাজাত করা হয়।

সর্বমোট পাঠক


বাংলাভাষায় পুর্নাঙ্গ ভ্রমণের ওয়েবসাইট