ঝালোপাড়ার প্রতিবন্ধি শ্যামলের পাশে নেই কেউ !

প্রকাশিত: ৫:১০ পূর্বাহ্ণ, জুন ২৭, ২০১৮

ঝালোপাড়ার প্রতিবন্ধি শ্যামলের পাশে নেই কেউ !

এম এ মালেক :
জন্মের পর থেকে ঠিকমত কথা বলতে পারেনা ২২ বছরের যুবক শ্যামল আহমদ। দুটি হাত আর দুটি পা ও নেই সচল। কষ্ট আর যন্ত্রনা নিয়ে বেঁেচ আছে সে। অনাহারে অর্ধাহারে কাটে দিন তার। ২ ভাই ৩ বোন রেখে শ্যামলের বাবা মারা যান। সেই থেকে শ্যামলের জীবনে আরো নেমে আসে অন্ধকার। সিলেট সিটি কর্পোরেশনের ২৬ নং ওয়ার্ডের ঝালোপাড়া স্বপ্ননীড় ব্লক বি ৭৮ নং বাসার বাসিন্দা শ্যামল। সে মৃত ইব্রাহীম মিয়ার পুত্র। প্রতিবন্ধি শ্যামল সরকারী প্রতিবন্ধি ভাতা পাওয়ার আশায় বিগত দিনের সাবেক কাউন্সিলর সেলিম আহমদ রনির কাছে প্রতিবন্ধি ভাতার জন্য আবেদন করেছিল। কিন্তু সেই আবেদনটি ১৫ বছরেও আলোর মুখ দেখেনি। পরে কাউন্সিলর রোটারিয়ান হাজী তৌফিক বকস্ লিপনের কাছে একইভাবে আবেদন করেও কোনো লাভ হয়নি। সর্বশেষ ২৫,২৬ ও ২৭ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর রোকশানা বেগম শাহনাজের কাছে আবেদন জানানো হলে তিনি আজ থেকে দেড়মাস আগে প্রতিবন্ধি ভাতার ব্যবস্থা করে দেবার প্রতিশ্রুতি দিলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। চাপা পড়ে গেছে প্রতিবন্ধি ভাতার সেই আবেদন। উন্নয়ন আর খ্যাতির পেছনে ছুঠে চলা তিনজন জনপ্রতিনিধিই যেখানে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন,সেখানে শ্যামলের মতো আরো হয়তো অনেকেই আড়ালে বসে চোখের পানি ফেলছে। শ্যামলের প্রতিবেশী চাদনীঘাট নতুন ও পুরাতন মটরস্ পাটর্স ব্যবসায়ী বহুমুখি সমবায় সমিতির কার্যকরি সদস্য স্বপ্ননীড় ৭৭ নং বাসার বাসিন্দা মৃত আব্দুল মজিদের পুত্র সুমন আহমদ বলেন, শ্যামলের প্রতিবন্ধি ভাতার জন্য জনপ্রতিনিধিদের কাছে গিয়েও কোনো লাভ হয়নি। সরকারী প্রতিবন্ধি ভাতা পেলে শ্যামলের দু:খ দুর্দশা লাঘব হতো। শ্যামলকে যদি স্ব-হৃদয়বান ব্যক্তিরা সহযোগিতা করতে চান,তাহলে ঝালোপাড়া খেয়াঘাটে অবস্থিত ভাই ভাই স্টোর নামীয় দোকানের পারসনাল ০১৭১৮-৬৪৫৮৪৪ বিকাশ নাম্বারে আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করতে পারেন।

সর্বমোট পাঠক


বাংলাভাষায় পুর্নাঙ্গ ভ্রমণের ওয়েবসাইট