খালেদা জিয়ার জামিন আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করা হবে : অ্যাটর্নি জেনারেল

প্রকাশিত: ৩:৫০ অপরাহ্ণ, মে ২৮, ২০১৮

খালেদা জিয়ার জামিন আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করা হবে : অ্যাটর্নি জেনারেল

কুমিল্লায় নাশকতার দুই মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে দেয়া ছয় মাসের জামিন আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করা হবে মন্তব্য করেছেন দেশের সর্বোচ্চ আইনজীবী অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।

সোমবার বেলা সোয়া ১১টায় হাইকোর্টের দেয়া খালেদা জিয়ার পক্ষে জামিন আদেশের পর পরই সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মাহবুবে আলম একথা জানান।

অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, আমি আজকের এই আদেশের বিরুদ্ধে আপিলে যাওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছি। পিটিশন রেডি হয়ে গেছে। অন্য ফরমালিটিজ শেষ হলে আজকেই চেম্বারে যাবো।

সোমবার (২৮ মে) কুমিল্লায় নাশকতার দুই মামলায় খালেদা জিয়ার ছয় মাসের জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। তবে নড়াইলের মানহানির মামলাটি উত্থাপিত হয়নি মর্মে আদেশ দিয়েছেন আদালত। এর ফলে কুমিল্লার নাশকতার দুই মামলায় জামিন মিললেও নড়াইলের মামলায় জামিন পাননি খালেদা।

এদিকে কুমিল্লার নাশকতার দুই মামলায় জামিনের পর খালেদা জিয়ার জামিনে মুক্তিতে আর আইনগত কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন।

রোববার (২৭ মে) কুমিল্লায় নাশকতার দুই মামলা ও নড়াইলের মানহানির মামলার ওপর শুনানি শেষ হয়। রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম শুনানি করেন। সঙ্গে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ড. মো. বশির উল্লাহ ও এ কে এম দাউদুর রহমান মিনা।

২০১৫ সালের শুরুর দিকে ২০ দলীয় জোটের অবরোধ চলাকালে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চৌদ্দগ্রামে নাশকতায় বিশেষ ক্ষমতা আইন এবং হত্যা মামলায় জামিন আবেদন করেন খালেদা জিয়া। এ দুই মামলায় ছয় মাসের জামিন পেয়েছেন খালেদা জিয়া।

২০১৫ সালের ২১ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় ঢাকায় মুক্তিযোদ্ধাদের সমাবেশে দেওয়া বক্তব্যে স্বাধীনতা যুদ্ধে ৩০ লাখ শহীদের সংখ্যা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে বলে মন্তব্য করেন বিএনপি প্রধান। সেখানে বঙ্গবন্ধুর ব্যাপারেও বিরূপ মন্তব্য করেন তিনি। তার এ বক্তব্য বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রচার হয়।

২০১৫ সালের ২৪ ডিসেম্বর দুপুরে নড়াইলের চাপাইল গ্রামের রায়হান ফারুকী ইমাম নামে এক ব্যক্তি এ সংক্রান্ত খবর পড়ার পর ক্ষুব্ধ হয়ে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে নড়াইল সদর আমলি আদালতে মানহানির মামলা করেন। এ মামলা উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করেছেন হাইকোর্ট। এখন নিম্ন আদালত থেকে কোনো আদেশ নিয়ে এ মামলায় ফের হাইকোর্টে আসতে হবে।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টে দুর্নীতির অভিযোগের মামলায় সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে গত ৮ ফেব্রুয়ারি পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন বিচারিক আদালত। সেই থেকে তিনি কারাবন্দি রয়েছেন পুরান ঢাকার নাজিম উদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় করাগারে।

ওই মামলায় আপিলের পর খালেদা জিয়াকে চার মাসের জামিন দেন হাইকোর্ট। যেটি গত ১৭ মে বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ।