২৮শে মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৪ই চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ২:০২ পূর্বাহ্ণ, মে ১৭, ২০১৮
সিলেটে একটি সিকিউরিটি কোম্পানীর কর্মকর্তার প্রতারণার স্বীকার হয়েছেন যুক্তরাজ্য প্রবাসী এক বৃটিশ বাঙালি নারী। এই প্রতারকের খপ্পরে পড়ে প্রবাসে কষ্টার্জিত প্রায় দেড় কোটি টাকা হারাতে বসেছেন এই নারী। বুধবার এসব তথ্য তুলে ধরে সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন এ অভিযোগ করেন প্রতারণার স্বীকার হওয়া প্রবাসী নারী ফেরদৌসি রহমান।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, একজন বৃটিশ নাগরিক হলেও জš§সূত্রে আমি বাংলাদেশের সন্তান। দেশের অগ্রযাত্রায় শরিক হওয়ার ইচ্ছায় প্রবাসে আমার নিজের এবং পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের শ্রমে-ঘামে অর্জিত টাকা দেশে বিনিয়োগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। কিন্তু সেই সিদ্ধান্ত আজ আমার জন্য নিজের পায়ে নিজে কুড়াল মারার মতো আত্মঘাতী হয়ে দাঁড়িয়েছে একটি প্রতারক সিকিউরিটি কোম্পানি ও তার অসৎ কর্মকর্তাদের কারণে। ওই কোম্পানির মাধ্যমে আমার বিনিয়োগ করা প্রায় ৭৮ লাখ ও কোম্পানি কর্মকর্তাকে ঋণ হিসাবে দেওয়া ৮৫ লাখসহ মোট ১ কোটি ৬৩ লাখ টাকা আজ হারাতে বসেছি।
তিনি বলেন- বাংলাদেশের শেয়ার বাজারে বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান আইএসসিএল এর সিলেট ব্র্যাঞ্চের (চৌহাট্টা মানরু শপিং সিটিতে অবস্থিত) ইনচার্জ কামরুজ্জামান রুম্মান আমার পূর্ব পরিচিত। তিনি তার কোম্পানির মাধ্যমে দেশের শেয়ার বাজারে বিনিয়োগের জন্য তিনি আমাকে উৎসাহিত করেছিলেন। বিভিন্ন ধরনের মুনাফার নিশ্চয়তা দিলে আমার মধ্যে দেশে বিনিয়োগের আকাঙ্খা তৈরি হয়। তার কথা-বার্তা শুনে ও তার কোম্পানির সুযোগ সুবিধার কথা জেনে আমি তাকে বিশ্বাস করি এবং ২০১০ সাল থেকে এ পর্যন্ত তার ও আইএসএল কোম্পানির মাধ্যমে আমি শেয়ার বাজারে প্রায় ৭৮ লাখ টাকা বিনিয়োগ করি। তাকে খুবই বিশ্বাস করতাম বিধায় লভ্যাংশ না নিয়ে বিনিয়োগ করতেই থাকি।
কামরুজ্জামান রুম্মান আমার বিনিয়োগকৃত মূলধন ও লভ্যাংশ নিরাপদ আছে, সব সময় আমাকে তেমন আশ্বাস দিতেন বিধায় আমিও কখনো তাকে সন্দেহের চোখে দেখিনি। কামরুজ্জামান রুম্মান ২০১৭ সালে আমার কাছে তার নিজের খুবই লাভজনক একটি ব্যবসার জন্য ১ কোটি টাকা ঋণ চেয়েছিলেন। এক সঙ্গে ব্যবসা বাণিজ্য করছি বিধায় তাকে আমি ১ কোটি টাকা ঋণ দিতে না পারলেও ২০১৭ সালে মার্চ থেকে নভেম্বর মাসের মধ্যে মোট ৮৫ লাখ টাকা ঋণ প্রদান করি। টাকাগুলো চেকের মাধ্যমে দেওয়া হয়। ওই বছরের ৩০ মার্চ ১০ লাখ, ২৩ এপ্রিল ১৫ লাখ, ১৮ মে ৬ লাখ ৬২ হাজার, ২৮ নভেম্বর ১০ লাখ, ২৯ নভেম্বর ৩৫ লাখ ও বিভিন্ন সময়ে নগদ আরও ৮ লাখ ৩৮ হাজার টাকা ঋণ দেই।
তিনি আরো বলেন, সম্প্রতি তিনি কামরুজ্জামান রুম্মান ও তার কোম্পানি আইএসএল সম্পর্কে কিছু নেতিবাচক ও ভয়ঙ্কর তথ্য জানতে পারেন কয়েকজন পরিচিত ব্যবসায়ী আত্মীয় স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবের মাধ্যমে। যা শুনে আমি শঙ্কিত হয়ে পড়ি। তার সাথে যোগযোগ করে আমার বিনিয়োগকৃত অর্থ ও তার লভ্যাংশ সম্পর্কে জানতে চাই এবং এ সংক্রান্ত যাবতীয় লেজার বিবরণি (স্টেটমেন্ট) দেখাতে বলি। তিনি আমাকে যেসব কাগজপত্র দিয়েছেন, তা নিয়ে আমি আইএসএল-এর প্রধান অফিসে যোগাযোগ করি।
সিলেট ব্রাঞ্চ থেকে কামরুজ্জামান রুম্মানের দেয়া স্টেটমেন্ট জমা দিলে হেড ব্রাঞ্চও আমার লেনদেনকৃত দুটি হিসাবের (যার নং-১৬১৫৭ ও ১৬১৬৪) স্টেটমেন্ট প্রদান করে। তারা আমাকে যেসব কাগজপত্র দিয়েছেন তাতে দেখা যায় কামরুজ্জামান রুম্মানের দেওয়া যাবতীয় কাগজপত্র ও হিসাব ভুয়া। তখন আমি কামরুজ্জামান রুম্মানকে হিসাব নিকাশের ফারাক এবং ভুয়া কাগজপত্র জমা দেওয়ার কারণ জিজ্ঞেস করলে তিনি হিসাব নিকাশে ভুল ভ্রান্তির কথা স্বীকার করেন। তিনি এক পর্যায়ে আমার বিনিয়োগকৃত ৭৮ লাখ ও ঋণ হিসাবে দেওয়া ৮৫ লাখ টাকার সবই ফেরত দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।
প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী তিনি আমাকে এক দফায় ৫ ও আরেক দফায় ২ লাখ টাকা প্রদান করেন। এরপরই তিনি আমাকে ৭৮ লাখ টাকার তিনটি চেক প্রদান করেন। একটি ৫৩ লাখ, একটি ১০ ও আরেকটি ১৫ লাখ টাকার। কিন্তু তার চেক নিয়ে আমি টাকা তুলতে গেলে প্রতিটি চেকই ব্যাংক থেকে প্রত্যাখ্যাত হই। তার একাউন্টে এই পরিমাণ টাকা ছিল না। আমি বিষয়টি নিয়ে তার সাথে কথা বলার চেষ্টা করলে তিনি নানা টালবাহানা শুরু করেন এবং এর কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি। এ অবস্থায় আমি কামরুজ্জামান রুম্মানের কাছ থেকে টাকা উদ্ধার করা নিয়ে অনিশ্চয়তায় পরে গেছি। সংবাদ সম্মেলনে ফেরদৌসি রহমান তার সমুদয় অর্থ ফেরত দেওয়ার জন্য কামরুজ্জামানের প্রতি আহবান জানান। অন্যথায় তিনি আইনের দ্বারস্থ হবেন।
EDITOR & PUBLISHER :
DR. ARIF AHMED MOMTAZ RIFA
MOBILE : 01715110022
PHONE : 0821 716229
OFFICE : SHUVECHCHA-191
MIAH FAZIL CHIST R/A
AMBAKHANA WEST
SYLHET-3100
(Beside Miah Fazil Chist Jame Masjid & opposite to Rainbow Guest House).
E-mail : sylhetsangbad24@gmail.com
Hello : 01710-809595
Design and developed by M-W-D