স্মৃতিফলকে ফুল দিয়ে অনন্তকে স্মরণ

প্রকাশিত: ১০:১১ অপরাহ্ণ, মে ১২, ২০১৮

স্মৃতিফলকে ফুল দিয়ে অনন্তকে স্মরণ

বিজ্ঞান লেখক ও ব্লগার অনন্ত বিজয় দাস হত্যার তিন বছর পূর্ণ হওয়ার দিনে শনিবার ঘটনাস্থলের সেই কালো দেয়ালচিত্র সাদা করে ফুল দিয়ে স্মরণ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে অনন্ত হত্যা মামলার দ্রুত বিচার ও খুনিদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিও জানানো হয়েছে।

আয়োজকেরা জানিয়েছেন, হত্যাকান্ডের তৃতীয় বার্ষিকী উদযাপনে আদালতে বিচার শুরুর বিষয়টি ইতিবাচক দৃষ্টিতে দেখতে গিয়ে সেই কালো দেয়ালচিত্র সাদা করে অনন্তকে স্মরণ করা হয়েছে। সাদা দেয়ালে ছোপ ছোপ রক্তের প্রতীকী চিহ্নের মধ্যে গতকাল বেলা একটায় ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।

দেয়ালচিত্র স্থাপনের উদ্যোক্তা, আইনজীবী মইনুদ্দিন আহমদ জালাল, অনন্ত বিজয় দাশের ভগ্নিপতি আইনজীবী সমর বিজয় সী শেখর, সিলেট সিটি করপোরেশনের ৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর রেজওয়ান আহমদ, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) সিলেটের সাধারণ সম্পাদক আবদুল করিম চৌধুরী, বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের সভাপতি মন্ডলির সদস্য মোকাদ্দেস বাবুল, সমাজ অনুশীলনের সদস্য সচিব মুক্তাদীর আহমদ, সাংবাদিক ও পরিবেশকর্মী ছামির মাহমুদ, এলাকাবাসীর পক্ষে দস্তিদার দীঘি সংরক্ষণ কমিটির দপ্তর সম্পাদক শাহিদ আহমদ সিদ্দিকী ও মিঠুন দত্ত ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

এরপরে এক মিনিট নিরবতা পালন করে দেয়াচিত্রে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন অনন্তের বন্ধু অরূপ দাশ, সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজের প্রভাষক এনামুল হক, সাংস্কৃতিক সংগঠর নগরনাটের সাধারণ সম্পাদক উজ্জ্বল চক্রবর্তী, শিক্ষক অহী আলম রেজা, বাসদ সিলেটের সদস্য প্রণজজ্যোতি পাল।

এছাড়া ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি প্রণব জ্যোতি দাসের নেতৃত্বে সিলেট জেলা ছাত্র ইউনিয়নের নেতাকর্মীরা ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।

২০১৫ সালের ১২ মে বাসার সামনে মুখোশধারীদের দ্বারা আক্রান্ত হন অনন্ত বিজয় দাশ (৩২)। নগরের সুবিদবাজারের নূরানী আবাসিক এলাকার চৌরাস্তার মোড়ে দুর্বৃত্তরা কুপিয়ে হত্যা করে তাকে।

ঘটনাস্থলের এক পাশে পিটিআইয়ের সীমানাপ্রাচীর। অনন্ত বিজয় দাশের শুভানুধ্যায়ীরা এলাকাবাসীর সহায়তায় দেয়ালের একাংশ কালো করে ওই বছরই তৈরি করেছিলেন দেয়ালচিত্র ও স্মৃতিফলক।

অনন্ত বিজয় দাশ পূবালী ব্যাংকের জাউয়াবাজার শাখায় ডেভেলপমেন্ট অফিসার পদে কর্মরত ছিলেন। ব্যাংকার পেশার পাশাপাশি তিনি বস্তুবিদ ও যুক্তিবাদ নিয়ে মুক্তমনা ব্লগে লেখতেন। তাঁর লেখা ও সম্পাদিত বিজ্ঞানবিষয়ক বই রয়েছে। বিজ্ঞানবিষয়ক ছোটকাগজ যুক্তি নামে একটি পত্রিকা নিয়মিত সম্পাদনা করতেন। সিলেটে পরিচালিত বিজ্ঞান ও যুক্তিবাদী কাউন্সিলের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।

ঘটনার একদিন পর অনন্তের বড় ভাই রতেœশ্বর দাশ বাদী হয়ে সিলেট মহানগরের বিমানবন্দর থানায় অজ্ঞাত চার দুর্বৃত্তকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন। বিজ্ঞান বিষয়ে লেখালেখির কারণে অনন্তকে ‘উগ্র ধর্মান্ধগোষ্ঠী’ পরিকল্পিতভাবে খুন করেছে বলে অভিযোগ করা হয়েছিল।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

সর্বমোট পাঠক


বাংলাভাষায় পুর্নাঙ্গ ভ্রমণের ওয়েবসাইট