‘উড়ে এসে জুড়ে বসিনি কেউ ফু দিলেই উড়ে যাব না’

প্রকাশিত: ১১:২৫ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ৩, ২০১৮

‘উড়ে এসে জুড়ে বসিনি কেউ ফু দিলেই উড়ে যাব না’

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, ‘আমরা দীর্ঘ রাজনীতি করে বর্তমান পর্যায়ে এসেছি। উড়ে এসে জুড়ে বসিনি। তাই কেউ ফু দিলেই উড়ে যাব, এটা ভাবার সুযোগ নেই।’

মঙ্গলবার নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।

বিএনপির এই নেতা বলেন, জীবনভর ৭ কোটি টাকা লেনদেন করেছি কি না তাই মনে পড়ে না। সেখানে আমাদের বিরুদ্ধে ১২৫ কোটি টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের অভিযোগ আনা হয়েছে।

নজরুল ইসলাম বলেন, ‘আসলে এই অভিযোগের মাধ্যমে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) আমাদের সঙ্গে নোংরা রসিকতা করছে। দুদকের অভিযোগ মিথ্যা-বানোয়াট।’

তিনি বলেন, ‘দুদক নিজেদের স্বাধীন বলে দাবি করে। আসলে কেমন স্বাধীন, তা তো সবাই দেখতে পাচ্ছে?’

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আমাদের বিরুদ্ধে লিখতে পারেন, মিথ্যা মামলা দিতে পারেন। কিন্তু, এসব করে আমাদের নীতিভ্রষ্ট করা যাবে না। ঐক্য বিনষ্ট করা যাবে না।’

প্রসঙ্গত, বিএনপির শীর্ষ আট নেতাসহ ১০ জনের বিভিন্ন ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ১২৫ কোটি টাকার সন্দেহজনক লেনদেন ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুদক।

এই নেতারা হলেন— বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু, এম মোর্শেদ খান, যুগ্ম-মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, নির্বাহী কমিটির সদস্য তাবিথ আউয়াল, এম মোর্শেদ খানের ছেলে ফয়সাল মোর্শেদ খান ও ঢাকা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সৈয়দ মাহবুবুর রহমান।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত দুদকের তালিকায় থাকা বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘সরকার খালেদা জিয়ার মুক্তি আন্দোলনকে বাধাদান এবং বিএনপিকে কালিমালিপ্ত করতেই আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে। এটা মিথ্যা ও বানোয়াট।’

তালিকায় থাকা স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘এসব অভিযোগ একদলীয় শাসন কায়েমের অংশ। আসলে সরকার আর্থিক খাত ধ্বংস করে টাকা লুট করেছে। দেশে দুর্নীতি আজ একদলীয় হয়ে গেছে।’

তিনি বলেন, ‘২৫টি নিউজ পোর্টাল খুলেছে আওয়ামী লীগ একদলীয় প্রচারণার জন্য। তারা রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করছে শুধু ক্ষমতা দখলের জন্য।’

তালিকার আরেক সদস্য বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু বলেন, ‘ব্যবসা করি লেনদেন হতেই পারে। তবে যেভাবে অভিযোগ করা হচ্ছে, তা বানোয়াট। গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্টের ভিত্তিতে এ ধরনের অভিযোগ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।’

তিনি বলেন, ‘গোয়েন্দা সংস্থার উচিত মানুষকে সত্যটা জানানো। কারও বিশেষ কাজে ব্যবহৃত না হওয়া। আর দুদককে বলব- জনগণের টাকায় আপনাদের প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। জনগণকে হয়রানি করবেন না। বরং সুষ্ঠু তদন্ত করুন। নইলে এই দেশ ধ্বংস করার অংশীদার আপনারাও হবেন।’

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, কেন্দ্রীয় নেতা আবদুস সালাম আজাদ, আব্দুল আউয়াল খান প্রমুখ।