‘জনতার জাগরণ সৃষ্টি হলে সকল স্বৈরশাসকের পতন অনিবার্য’

প্রকাশিত: ১:১৬ পূর্বাহ্ণ, মার্চ ২৬, ২০১৮

‘জনতার জাগরণ সৃষ্টি হলে সকল স্বৈরশাসকের পতন অনিবার্য’

বর্তমান সরকার ঘুষ দিয়ে ক্ষমতায় টিকে আছে মন্তব্য করে গণস্বাস্থ্যের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, শুধু ঘুষ দিয়ে ক্ষমতায় টিকে থাকা যায় না। জনতার জাগরণ সৃষ্টি হলে সকল স্বৈরশাসকের পতন অনিবার্য। বর্তমান সরকার যত চেষ্টাই করুক না কেন তাদের অবৈধ ক্ষমতা চিরস্থায়ী করতে পারবে না। আওয়ামী লীগের চরম ব্যর্থতার কারণে আজকে দেশের মানুষ মুক্তি চায়।

তিনি বলেন, প্রতিমুহূর্তে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলে মুখে ফেনা তুললেও মুক্তিযুদ্ধে চেতনা বাস্তবায়নে সরকার ব্যর্থ। সরকার ৩০ লাল শহীদের তালিকা করতে পারে নাই, রাজাকারের তালিকা করতে পারে নাই, এমনকি মুক্তিযুদ্ধাদেরও একটি সঠিক তালিকা তারা প্রণয়ন করতে পারে নাই। পারে নাই সু’শাসন প্রতিষ্ঠা করতে।

রবিবার তোপখানা রোডস্থ শিশুকল্যাণ মিলনায়তনে বিশিষ্ট কমিউনিস্ট নেতা কমরেড আলাউদ্দিন আহমেদের ১৫তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে স্বপন স্মৃতি পরিষদ আয়োজিত “জনগণের মুক্তি : চলমান সংকট ও আলাউদ্দিন আহমেদ”-শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

গায়ের জোরে ক্ষমতায় থাকায় স্বৈরাচারী তকমা: মোশাররফ

গায়ের জোরে ক্ষমতায় থাকার কারণেই বর্তমান সরকার স্বৈরাচারী তকমা পেয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

আজ রোববার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘স্বাধীনতা ফোরাম’ আয়োজিত মহান স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় খন্দকার মোশাররফ এ মন্তব্য করেন।

উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়া প্রসঙ্গে ড. মোশাররফ বলেন, ‘খালেদা জিয়ার কারাবন্দি ও আগামী নির্বাচন নিয়ে জনগণের দৃষ্টি অন্যদিকে নিতেই সরকার এই আনন্দ করছে। কারণ উন্নয়নশীল দেশের আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি পেতে আরো ছয় বছর লাগবে।’

বিএনপি নেতা বলেন, বর্তমানে দেশে গণতন্ত্রের ন্যূনতম মানদণ্ড পর্যন্ত মানা হচ্ছে না। তিনি আরো বলেন ‘আমরা ক্ষুব্ধ যে আওয়ামী লীগের আজকের সরকার শুধু ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করার জন্য সারা বিশ্বে, বাংলাদেশকে স্বৈরাচারী একটি দেশে পরিণত করেছে। কিছু কিছু মন্ত্রী বলেছেন, তাদের যে স্বৈরাচার বলা হয়েছে, এটা ভিত্তিহীন। আমি বলতে চাই যে, যারা একটি সরকার পরিচালনা করে জনগণের ভোট ছাড়া, তাহলে এটা কীভাবে গণতান্ত্রিক সরকার হয়। এটা অবশ্যই স্বৈরাচারী সরকার। গায়ের জোরে আপনারা সরকারে আছেন, অতএব স্বৈরাচারী সরকার। এটা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ছিল না।’

খন্দকার মোশাররফ বলেন, ‘আগামী নির্বাচন নিয়ে সরকার যে ধরনের পরিকল্পনা করেছে, সেই ধরনের নির্বাচন এ দেশে হতে দেওয়া হবে না। খালেদা জিয়ার মুক্তি ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে আমরা আন্দোলন করছি। এই আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। সরকারের আচরণ দেখে ভবিষ্যতে কী হবে তা জনগণই ঠিক করবে।’

সরকারের সব ষড়যন্ত্র একটি একটি করে বিএনপি ব্যর্থ করে দিচ্ছে দাবি করে খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘গত ৮ ফেব্রুয়ারি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে কারাগারে নিয়ে সরকার ভেবেছে, বিএনপির নেতাকর্মীরা ঢাকায় নানারকম সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করবে। এই জন্য আওয়ামী লীগ তাদের নেতাকর্মীদের লাঠি ও পেট্রল বোমা দিয়ে মোড়ে মোড়ে বসিয়ে রেখেছিল। তাদের বলা হয়েছিল, বিএনপি একটি গাড়ি ভাঙলে তোমরা ১০০টি গাড়ি ভাঙবে। কিন্তু আমরা তাদের সেই ষড়যন্ত্র বুঝে ফেলেছি। আমরা তাদের ফাঁদে পা দেই নাই। এরপরে আপনাদের গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্ট, আমরা দুই থেকে তিনদিন হরতাল দেব। আর আপনারা সেই হরতালে ভাঙচুর করে আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনবেন। এটাও আপনারা পারেন নাই।’

আয়োজক সংগঠন স্বাধীনতা ফোরামের সভাপতি আবু নাসের মুহাম্মাদ রহমাতুল্লাহর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরো কথা বলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভুইয়া, প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এ বি এম মোশাররফ হোসেন।