তারা আশা করেছিল, বিএনপির ঐক্য ক্ষতি ও বিনষ্ট হবে : মোশাররফ

প্রকাশিত: ৯:৫১ অপরাহ্ণ, মার্চ ১৭, ২০১৮

তারা আশা করেছিল, বিএনপির ঐক্য ক্ষতি ও বিনষ্ট হবে : মোশাররফ

‘সরকার আবারও গায়ের জোরে নির্বাচন করতে চায়। সেই কারণে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া কারাগারে। সরকার মনে করেছিল, বেগম জিয়াকে যদি অন্যায়ভাবে জেলের ভেতরে নেয়া যায় তাহলে বিএনপিকে দুর্বল করা যাবে এবং আরও একটি পাঁতানো খেলা খেলতে পারবে। তারা (সরকার) আরেকটি আশা করেছিল, বিএনপির ঐক্য ক্ষতি ও বিনষ্ট হবে। এবং তাদের (সরকার) বিভিন্ন সংস্থা সেটার চেষ্টাও করেছেন।’ বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

শনিবার সন্ধ্যায় জাতীয় প্রেসক্লাবে খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন স্মৃতি ফাউন্ডেশন আয়োজিত ‘বিএনপির সাবেক মহাসচিব খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনের ৭ম মৃত্যুবার্ষিকী’ উপলক্ষে এক দোয়া মাহফিল ও স্মরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ অভিযোগ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সাবেক ভিসি এমাজউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে স্মরণসভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদীন ফারুক, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, লেবার পার্টির একাংশের চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, পরিবারের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনের জ্যেষ্ঠ পুত্র ড. খোন্দকার আকবর হোসেন বাবলু, মেজ পুত্র অ্যাডভোকেট খোন্দকার আব্দুল হামিদ ডাবলু, ছোট পুত্র খোন্দকার আখতার হামিদ পবন ও কন্যা ডা. দেলোয়ারা বেগম পান্না প্রমুখ।

তিনি আরো বলেন, ‘আজকে আওয়ামী লীগ সকল ক্ষেত্রকে ধ্বংস করে দিয়েছে। রাষ্ট্রের যে মূল স্তম্ভগুলো, সেগুলো একটা একটা করে দলীয়করণ করে ধ্বংস করা হয়েছে। ফলে আজকে বাংলাদেশ অন্ধকার টানেলে প্রবেশ করেছে। সেই অন্ধকার টানেল আওয়ামী জাহেলিয়াতের যুগে পরিণত হয়েছে। গণতন্ত্র আজকে আওয়ামী লীগের বাক্সে বন্দি।’

খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, বেগম জিয়া জেলে যাওয়ার পরে আমাদের ঐক্য আরও শক্তিশালীভাবে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘আমরা ঐক্যদ্ধ হয়ে কাজ করছি। শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছি। সুতরাং সরকারের যে নীল-নকশা ছিল। আজকে সেটা বুমেরাং হয়ে সরকারের বিরুদ্ধেই কাজ করছে। সুতরাং খালেদা জিয়াকে জেলে নেয়া বুমেরাং হয়ে গেছে’।

তিনি আরো বলেন, ‘আমরা বলেছি, বেগম জিয়া, বিএনপি ও ২০ দলকে বাইরে রেখে তারা (সরকার) আবারও নির্বাচনের প্রহসন করতে চায়। কারণ তাদের আস্থা ও বিশ্বাস জনগণের ওপর নেই। তাই তারা নির্বাচনের কথা বলছে না। ফল প্রকাশের কথা বলছে। আর আমরা বলেছি, একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন। যে নির্বাচনে জনগণ তাদের ইচ্ছামত ভোট দিতে পারবে।