রোহিঙ্গাদের যেভাবে ত্রাণ সহায়তা দেওয়া যাবে

প্রকাশিত: ১:২৪ পূর্বাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১২, ২০১৭

রোহিঙ্গাদের যেভাবে ত্রাণ সহায়তা দেওয়া যাবে

মিয়ানমার থেকে আসা লাখ লাখ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে ত্রাণ সহায়তায় আগ্রহীদের স্বাগত জানিয়েছে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন। তবে শৃঙ্খলভাবে ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য জেলা প্রশাসনকে সহযোগিতা করতে এই অনুরোধ জানানো হয়।

কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এডিসি-শিক্ষা ও আইসিটি) মো. মাহিদুর রহমান ত্রাণ কার্যক্রম তদারকি করছেন।

তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমরা জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলেছি এবং কুতুপালং এলাকায় ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়েও ত্রাণের বিষয়ে তথ্য দেওয়া হচ্ছে। কোনও ব্যক্তি যদি নিজ উদ্যোগে ত্রাণ দিতে চান আমরা তাকে স্বাগত জানাই।’

স্থানীয়ভাবে এ বিষয়ে প্রচারণা চালানো হচ্ছে। জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ব্যক্তিগত পর্যায়ে যারা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ত্রাণ দিয়ে সাহায্য করতে চান, তাদের জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে খোলা সোনালী ব্যাংকের হিসাব নম্বরে সাহায্য পাঠানোর অনুরোধ করা হয়েছে।

এছাড়াও বলা হয়েছে, যারা তৈরি খাবার বা ত্রাণ দিতে চান, তারা কক্সবাজার জেলা প্রশাসন ও উখিয়া কন্ট্রোল রুমে যোগাযোগ করবেন। জেলা প্রশাসনের কন্ট্রোল রুমের তদারকি করছেন মাহিদুর রহমান এবং উখিয়ার কন্ট্রোল রুমের দায়িত্বে রয়েছেন উখিয়ার উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মঈন উদ্দিন।

অর্থ সাহায্য পাঠানোর ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নম্বর-

অ্যাকাউন্টের নাম: হিউম্যানেটেরিয়ান টু দ্য মিয়ানমার সিটিজেন ইলিগ্যাললি মাইগ্রেড রোহিঙ্গা

হিসাব নম্বর : ৩৩০ ২৪৬২৫

সোনালী ব্যাংক লিমিটেড, কক্সবাজার ব্র্যাঞ্চ, কক্সবাজার।

ত্রাণ সহায়তা পাঠানোর ঠিকানা-

দুর্যোগ ও ত্রাণ শাখা

জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, কক্সবাজার

ফোন নম্বর : ০৩৪১-৬৩২০০, ফ্যাক্স নম্বর : ০৩৪১-৬৩২৬৩

ইমেইল : dccoxsbazar@mopa.gov.bd

এবিষয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এডিসি-শিক্ষা ও আইসিটি) মো. মাহিদুর রহমান বলেন, ‘এখনও অর্থ সহায়তা তেমন পাওয়া যায়নি। সবাই প্রস্তুত করা ত্রাণ নিয়ে আসছে।আমরা কন্ট্রোলরুম থেকে সেগুলো সমন্বয় করে সরবরাহ করছি।’

উল্লেখ্য, গত ২৪ আগস্ট থেকে মিয়ানমার সেনাবাহিনী রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতন চালালে আশ্রয় নিতে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে রোহিঙ্গারা। ইতোমধ্যে এই হামলায় নারী শিশুসহ কয়েক হাজার মানুষ মারা গেছে। গত ২৫ আগস্ট থেকে বাংলাদেশে প্রতিদিনই রোহিঙ্গারা প্রবেশ করছে।

সর্বমোট পাঠক


বাংলাভাষায় পুর্নাঙ্গ ভ্রমণের ওয়েবসাইট