২২শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৮ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১০:১০ পূর্বাহ্ণ, আগস্ট ৯, ২০১৬
সিলেট শহরতলীর বিসিক শিল্পনগরী এলাকায় বনফুলের কর্মচারী রাজু ও তাপু খুনের রহস্য উন্মোচন করা হয়েছে। প্রেমের বিবাদের কারণেই প্রতিপক্ষের হাতে খুন হন রাজু ও তাপু।
সোমবার (৮ আগস্ট) সিলেট মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দ্বিতীয় আদালতের বিচারক হরিদাস কুমারের আদালতে গ্রেফতার হওয়া ইমন ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন। এর আগে একইভাবে গ্রেফতার হওয়া অপর আসামি শিপন ও দুলাল মিয়া গত রবিবার একই আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দেন। বর্তমানে গ্রেপ্তারকৃতরা কারাগারে রয়েছে। বাকি দুই আসামি উজ্জ্বল ও নজরুল ৫ দিনের পুলিশ রিমান্ডে রয়েছে বলে পুলিশ জানায়।
গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছে- জালালাবাদ থানার সুবিদবাজার বনকলাপাড়ার মো. মানিক মিয়ার পুত্র বর্তমানে কদমতলী খান বাড়ির মানিক মিয়ার ভাড়াটে মো. শিপন আহমেদ (২০), নগরীর গোয়াবাড়ীর ভোলা মিয়ার পুত্র বর্তমানে পশ্চিম কাজলশাহ তমিজ মিয়ার কলোনির বাসিন্দা উজ্জ্বল (২০), হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ থানার কসবা গ্রামের মৃত শমসির মিয়ার পুত্র বর্তমানে বাগবাড়ী নরসিংটিলার বাসিন্দা দুলাল মিয়া (২০), নগরীর কাজিরবাজার তোপখানার মাসুক মিয়ার পুত্র বর্তমানে কানিশাইলের বাসিন্দা নজরুল (২০) ও কুমিল্লা জেলার লাকসাম থানার বিজরাবাজারের কামরুল হাসানের পুত্র নগরীর কানিশাইল এলাকার বাসিন্দা ইমন (২০)।
গত দু’দিনে বিভিন্ন স্থানে পুলিশ অভিযান চালিয়ে উল্লেখিত ৫ ঘাতককে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় শাহপরাণ থানা পুলিশ।
জবানবন্দিতে গ্রেপ্তারকৃত আসামি শিপন ও দুলাল স্বীকার করে যে- সুমি আসামি শিপনের খালাতো বোন। সুমির সাথে ভিকটিম রাসেলের গভীর প্রেমের সম্পর্ক ছিল। পক্ষান্তরে সুমি শিপনের সাথেও সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। সুমি শিপনের চেয়ে রাসেলকে অধিক ভালবাসলে শিপনের সেটা মেনে নিতে কষ্ট হয়।
ফলে শিপন তাহার বন্ধুদের সাথে নিয়া রাসেলকে হত্যার পরিকল্পনা করে এবং চলতি বছরের ৮ জানুয়ারি সন্ধ্যা পৌনে ৭ টার দিকে তারা দেশীয় অস্ত্র নিয়া বিসিক শিল্পনগরীতে আসে এবং রাসেলকে ঘটনাস্থলে ধারালো অস্ত্র দ্বারা কুপিয়ো গুরুতর জখম করে।
রাসেলকে রক্ষার জন্য রাসেলের বন্ধু রাজু আহমদ ও তাপু মিয়া এগিয়ে আসলে আসামি শিপন আহমেদ, উজ্জ্বল, দুলাল মিয়া, নজরুল, ইমন ও পলাতক শাকিল তাহাদের হাতে থাকা দা, ছোরা ও পাইপ দ্বারা কুপিয়ে রাজু আহমদ ও তাপু মিয়াকে ঘটনাস্থলেই হত্যা করে। ভাগ্যক্রমে রাসেল বেঁচে যায়।
১৬৪ ধারায় জবানবন্দি গ্রহণ শেষে আসামি শিপন ও দুলালকে আদালত জেলহাজতে প্রেরণ করার নির্দেশ দেন এবং আসামি উজ্জ্বল এবং নজরুলের ৫ দিনের পুলিশ রিমান্ডের আদেশ প্রদান করেন। গতকাল সোমবার ইমনকে কোর্টে হাজির করা হয় এবং পুলিশের পক্ষে ১৬৪ ধারায় তার জবানবন্দি রেকর্ডের আবেদনের প্রেক্ষিতে ইমন আদালতে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি প্রদান করেন।
পুলিশ সূত্রে আরো জানা যায়- চলতি বছরের ৮ জানুয়ারি সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে বিসিক শিল্পনগরী ফুলকলি কার্টুন ফ্যাক্টরির উত্তর পশ্চিম পার্শ্বে রাস্তার উপরে অজ্ঞাতনামা আসামিরা তাহাদের হাতে থাকা দা, ছোরা ও লোহার পাইপ দ্বারা কুপাইয়া গুরুতর জখম করে ঘটনাস্থলে রাজু আহমদ (১৯) ও তাপু মিয়াকে (৩২) হত্যা করে এবং ভিকটিম রাসেলকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে ঘাতকরা পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় শাহপরাণ থানায় হত্যা মামলা (নং-৭) দায়ের করা হয়।
EDITOR & PUBLISHER :
DR. ARIF AHMED MOMTAZ RIFA
MOBILE : 01715110022
PHONE : 0821 716229
OFFICE : SHUVECHCHA-191
MIAH FAZIL CHIST R/A
AMBAKHANA WEST
SYLHET-3100
(Beside Miah Fazil Chist Jame Masjid & opposite to Rainbow Guest House).
E-mail : sylhetsangbad24@gmail.com
Hello : 01710-809595
Design and developed by M-W-D