ঈদ আমেজের পর সরগরম হয়ে উঠতে পারে রাজনীতির মাঠ

প্রকাশিত: ১২:৪৯ পূর্বাহ্ণ, জুন ২৯, ২০১৭

ঈদ আমেজের পর সরগরম হয়ে উঠতে পারে রাজনীতির মাঠ

এবার ঈদ ঘিরে রাজনীতিবিদদের ভোটের রাজনীতি ছিল চোখে পড়ার মতো। বিশেষ করে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে দেশের সব আসনেই কমবেশি ভোটের প্রস্তুতি নিয়ে প্রচারণা শুরু করেছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপিসহ দেশের প্রায় সব কটি রাজনৈতিক দল। এক্ষেত্রে পিছিয়ে নেই ইসলামী দলগুলোও।

ঈদ ঘিরে নির্বাচনী এলাকায় দৌড়াদৌড়ি করেছেন বড় দুই দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশীরা। এদের অনেককে আগে এলাকায় দেখা না গেলেও এবার ঈদে তারা নির্বাচনী এলাকায় নানা কর্মসূচিতে অংশ নেয়া ছাড়াও গণসংযোগ করে নিজ নিজ দলের প্রতীকের পক্ষে ভোট চেয়েছেন।

দলের নেতাকর্মী ছাড়াও ভোটারদের মাঝে ঈদ উপহার হিসেবে বিতরণ করেছেন শাড়ি, লঙ্গি ও পাঞ্জাবী। ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে অনেকেই ঝুলিয়েছেন ব্যানার, ফেস্টুন ও পোস্টার। সব মিলিয়ে ঈদ ঘিরে জমে উঠে ভোটের রাজনীতি।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় আর বেশি নেই। বছর দেড়েক দেরি। ফলে নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে আওয়ামী লীগ বিএনপিতে ততই বাড়ছে মাঠ দখলের কৌশল ও পরিকল্পনা।

ঈদুল ফিতরের পর রাজনীতির মাঠ দখলে নেয়ার চেষ্টা করবে বলে সে ইঙ্গিত আগেই দিয়েছে দেশের বৃহৎ দুই দল ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও বিএনপি।

লক্ষ্য একটাই পরস্পরকে ঘায়েল করে নিজেদের পক্ষে জনমত গঠন করা। প্রধান দুই দলের এই দৌড়ে পিছিয়ে নেই ছোট ছোট দলগুলোও। সবমিলেই দেশের রাজনীতি ক্রমেই উত্তপ্ত হয়ে উঠছে।

এদিকে পাল্টাপাল্টি দোষারোপ ও মাঠ দখলের রাজনীতিতে সহজেই যে রাজনৈতিক অঙ্গন সহিংস হয়ে উঠতে পারে তার পূর্বাভাস মিলছে সম্প্রতি বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুলের ওপর হামলার ঘটনা থেকেই। ফলে ঈদ-নির্বাচনী আমেজের পর রাজনীতির মাঠ সরগরম হয়ে উঠতে পারে।

ঈদের ছুটিতেও হট টক হয়েছে দুপক্ষের মধ্যে। সবার বক্তব্যের একটাই বিষয়- নির্বাচন। নির্বাচন ঘিরেই দুপক্ষের রাজনীতি আর বাকযুদ্ধে ক্রমেই উত্তপ্ত হয়ে উঠছে রাজনীতি।

সোমবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা বিনিময়কালে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেছেন, দেশের মানুষ সুষ্ঠু নির্বাচন চায়, হাসিনার অধীনে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। কারণ তাদের গুণ্ডা বাহিনীর কার্যকলাপ দেশের মানুষ দেখেছে। এই অবস্থায় হাসিনার অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। ফলে নিরপেক্ষ সহায়ক সরকারের অধীনেই নির্বাচন হতে হবে।

খালেদা জিয়া ক্ষমতাসীন দলের লোকজনদের উদ্দেশ্য করে আরো বলেন, অনেক দুর্নীতি-লুটপাট করেছেন, খুন-গুম করেছেন। এবার থামুন, দেশ বাঁচাতে এবার নিরপেক্ষ নির্বাচন দিন।

এছাড়া কয়েকদিন আগে এক ইফতার মাহফিলে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেছেন,আওয়ামী লীগ এতই অপকর্ম করছে যে তারা এখন পালানোর রাস্তা খুঁজছে। কিন্তু এমন সময় সামনে আসছে যে তারা পালাতেও পারবে না।

নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকারের দাবি নিয়ে বিএনপি নেতাদের বক্তব্য স্পষ্ট যে তারা ঈদের পর মাঠ দখলের আন্দোলনের ডাক দিবেন। বিএনপি নেতারা বলছেন, শেখ হাসিনার অধীনে যতগুলো নির্বাচন হয়েছে, তার কোনোটাই সুষ্ঠু হয়নি। ফলে সুষ্ঠু নির্বাচনের ক্ষেত্র প্রস্তুত হলেই নির্বাচনে যাবে বিএনপি।

খালেদা জিয়া বলেন বলেন, আন্দোলনের মাধ্যমেই এই বিদেশি তাবেদার জুলুমবাজ সরকারকে হটিয়ে গণতন্ত্রের মাধ্যমে মানুষের অধিকার ফিরিয়ে আনা হবে। সে জন্য প্রয়োজন সংগঠন। বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনগুলো ইতিমধ্যেই পুনর্গঠিত হয়েছে।

এদিকে সোমবার ঈদের সকালে গণভবনে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়ের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, দেশের মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নতি হচ্ছে। দেশের মানুষ এখন আনন্দঘন পরিবেশে ঈদ উদযাপন করছে।

‘বাংলাদেশ আজকে উন্নয়নের পথে এগিয়ে গিয়ে বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। বাংলাদেশ মর্যাদা ফিরে পেয়েছে; যে মর্যাদা হারিয়েছিল ১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট জাতির পিতাকে হত্যার পর, আজকে বাংলাদেশ ফের জেগে উঠেছে’।

এছাড়া সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে হেফাজতে ইসলামের নেতা আল্লামা শফীসহ কওমী মাদ্রাসার আলেম-ওলামাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই বৈঠকই এখন দেশের রাজনীতিতে আলোচনার কেন্দ্র-বিন্দুতে পরিণত হয়েছে। দেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও আলোড়ন তুলেছে বৈঠকটি।

হেফাজতে ইসলামকে আন্দোলন থেকে ফেরাতে আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হেফাজতকে নিয়ে হিসাব কষছেন।

অন্যদিকে ঈদের পর দিন কুমিল্লায় গোমতি সেতুর কাজ পরিদর্শনে গিয়ে জাতীয় নির্বাচনে সহায়ক সরকারের অধীনে খালেদা জিয়ার এমন দাবির প্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে এবং শেখ হাসিনার সরকার সহায়ক সরকারের ভূমিকা পালন করবে। এক্ষেত্রে বিএনপির কান্নাকাটি করে কোনো লাভ হবে না।

আগামী নির্বাচনের সেনাবাহিনী মোতায়েনের বিষয়ে বিএনপির দাবির বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, সংবিধানে যেভাবে সেনাবাহিনীর ভূমিকার কথা নির্ধারিত রয়েছে, নির্বাচনকালীন সময়ে সেনাবাহিনী সেভাবেই দায়িত্ব পালন করবে।

তিনি এও বলেন, কোনো দাবী পেশ করে তাদের লাভ হবে না। দাবী পেশ করে যদি দাবীর বাস্তবায়ন না হয় তাহলে পরাজিত হিসাবে আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে হবে। এটা কোনো দলের জন্য শুভ নয়।

এছাড়া ওবায়দুল কাদের বলেছেন, রাজনৈতিক ভিন্নতা থাকবে, মতাদর্শে পার্থক্য থাকবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু দেশের স্বার্থে, স্থিতিশীলতা, শান্তি ও গণতন্ত্রের স্বার্থে সবাইকে ইতিবাচক ধারায় ফিরিয়ে আনা দরকার।

তিনি আরো বলেন, আমাদের রাজনীতিতে সংযমের অভাব রয়েছে। ফলে দেশের স্বার্থে রাজনীতিতে ইতিবাচক মনোভাব ফিরিয়ে আনা দরকার।

বিএনপিসহ সকল দলের অংশগ্রহণে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচনকে মাথায় রেখেই এগুচ্ছে ক্ষমতাসীন দল। যে কারণে সাংগঠনিকভাবে শাক্তিশালী দল নিয়েই নির্বাচনী মাঠের লড়াইয়ে নামতে চায় আওয়ামী লীগ। বিএনপিও এক্ষেত্রে পিছিয়ে নেই। দীর্ঘদিনের দলের দৈন্যতা গুছিয়ে এখন অনেকটাই শক্তিশালী হয়ে উঠেছে। নেতাকর্মিরাও মনোবল ফিরে পাচ্ছে।

জানা যাচ্ছে, আসন্ন রোজার ঈদ শেষে একগুচ্ছ কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নামছে বিএনপি। এর মধ্যে আগামী জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণের শর্ত হিসেবে সহায়ক সরকারের রূপরেখা ঘোষণা করবেন দলের চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া। এই রূপরেখাসহ দলের ঘোষিত ভিশন-২০৩০ নিয়ে তৃণমূল পর্যন্ত জনমত তৈরিতে আবারো ৫১টি টিম সারাদেশে সফর করবে বলে দলীয় সূত্র জানিয়েছে।

সূত্র জানায়, আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সকল রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণের জন্য নির্বাচনী লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড দাবি নিয়ে নতুন করে মাঠে নামার কৌশল নিয়ে এগুচ্ছে দলটির হাইকমান্ড। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া নির্বাচনী লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড এর জন্য নতুন করে সহায়ক সরকারের দাবি করেছেন। তবে কি ফর্মূলায় এই সরকার গঠিত হতে পারে তার কোনো রূপরেখা এখনো উপস্থাপন করেননি।

গত বছর রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি প্রথম এই সরকার ব্যবস্থার কথা উত্থাপন করেন। দির্ঘ এক বছর পর তার প্রস্তাবিত এই সরকার ব্যবস্থার রূপরেখা প্রস্তত সম্পন্ন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সূত্রটি।

সূত্রটি আরো জানায়, এই রূপরেখায় শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী রেখে একটি সর্বদলীয় সহায়ক সরকার ব্যবস্থার অধীনে নির্বাচন করার প্রস্তাবনা থাকছে। এর বাইরেও আরো বিকল্প ব্যবস্থার কথা তিনি উল্লেখ করবেন। এসকল প্রস্তাবনা নিয়ে রাজনৈতিক সংলাপেরও আহ্বান থাকবে তার রূপরেখায়।

একদিকে সরকারকে এসকল প্রস্তাবনা মানার আহ্বান জানানো হবে অন্যদিকে সারাদেশে এই সরকার ব্যবস্থার প্রতি জনমত তৈরি করার জন্য সরাদেশ সফর করবে সিনিয়র নেতৃবৃন্দ। ইতিমধ্যে গঠিত দলের ৫১টি টিম এই সফরসূচি পালন করবে। তবে এর আগে সাংগঠনিক সফরসূচির জন্য বন্টনকৃত এলাকা পরিবর্তন করে নতুন করে এলাকা নির্ধারন করে দেওয়া হবে।

দলের অপর একটি সূত্র জানায়, সারাদেশের সাংগঠনিক বিষয়াদি দেখশোনার দায়িত্বে রয়েছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাজাহান। তিনি গত মাসে ওমরা হজের জন্য সৌদি আরব গেছেন। এই মাসের শেষের দিকে তার দেশে ফেরার কথা থাকলেও বেগম খালেদা জিয়া তাকে দ্রুত দেশে ফেরার নির্দেশনা দিয়েছেন। সারাদেশের জেলা কমিটি গঠনের তাগাদা দেওয়ার জন্য তিনি এ পদক্ষেপ নিয়েছেন বলে জানা গেছে। এছাড়া বেশ কয়েকটি জেলায় নতুন কমিটি নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হওয়ার কারণেও তাকে তলব করা হয়েছে বলে সূত্রটি জানায়।

বিএনপির একজন সিনিয়র নেতা বলেন, বিএনপি দ্রুত সময়ে নিজেদের সাংগঠনিক অবস্থান শক্তিশালী করতে উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। সারাদেশের ৭৮টি সাংগঠনিক ইউনিট কমিটিসহ মেয়াদোত্তির্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনকে পূনর্গঠন করতে চান হাইকমান্ড। এর পাশাপাশি যে সকল কমিটি ইতিমধ্যে ঘোষণা করা হয়েছে সেগুলোও পূর্নাঙ্গ করার তাগাদা দেওয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে আগামী কোরবানীর আগে নিজেদের সাংগঠনিক অবস্থান এবং জনমত তৈরির সকল আয়োজন সম্পন্ন করার নানা কর্মযজ্ঞ পালন করবে দলটির দায়িত্বশীল নেতৃবৃন্দ।

এদিকে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া চিকিৎসার জন্য লন্ডন যাচ্ছেন কি না এমন বিষয়ে গুলশান কার্যালয় সূত্র জানায়, তিনি লন্ডন যাবেন এমন কথা তারাও জানেন। তবে কবে কখন যাবেন তা এখনই নিশ্চিত করা হয়নি। দেশের রাজনৈতিক অবস্থার প্রেক্ষিতে তার যাওয়ার বিষয়টি নির্ভর করছে বলেও সূত্রটি জানান। তবে তিনি দেশের বাইরে যাওয়ার আগে রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক অনেক গুরুত্বপূর্ন সিদ্ধান্ত নিবেন।

এসময়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সাথে নিজেদের সম্পর্ক বাড়ানোর জন্য এই সময়ে নানা উদ্যোগ দেখা যাবে বলেও সূত্র জানায়। পাশাপাশি সমাজের সকল পেশাজীবীদের সাথেও দলটির হাইকমান্ড মতবিনিময় করবেন।

ঈদের পর বিএনপির রাজনৈতিক কার্যক্রম নিয়ে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য লে.জে. (অব.) মাহবুবুর রহমান বলেন, বিএনপি সব সময়েই রাজনৈতিক কর্মকান্ডের মধ্যে থাকে। তবে যেহেতু আগামী জাতীয় নির্বাচন ঘনিয়ে এসেছে তাই কাজের পরিধিটাও বেড়েছে। যা আগামীতে আরো বাড়বে।

এদিকে ঈদের পর বিএনপির আন্দোলনে নামার হুমকিতে আওয়ামী লীগ কোনো পাত্তা না দিলেও এ সময়টুকু রাজনৈতিক মাঠ নিজের দখলে রাখার প্রস্তুতি নিয়েছে ক্ষমতাসীন এ দলটি। এ লক্ষ্যে বিএনপিকে কৌশলে নিয়ন্ত্রণে রাখার পাশাপাশি নিজেদের নেতাকর্মীদের চাঙ্গা করার নানামুখী কর্মসূচি সাজিয়েছে দলীয় হাইকমান্ড, যা সরাসরি দলীয় সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সার্বক্ষণিক মনিটরিং করবেন।

সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে জানা গেছে, বিএনপির বিরুদ্ধে প্রধান অস্ত্র হিসেবে আওয়ামী লীগের হাতে রয়েছে তাদের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে দায়ের হওয়া পুরনো ফৌজদারি মামলা। তারা যদি আন্দোলন করতে চান; রাজপথে নামার চেষ্টা করেন; তাহলে পুরনো মামলা চাঙ্গা করে মাঠে নামার আগেই নেতৃত্ব প্রদানকারীদের গ্রেফতার করা ও আতঙ্ক ছড়িয়ে মাঠ নিয়ন্ত্রণে রাখার প্রস্তুতি রয়েছে।

এ ছাড়া আগামী নির্বাচনের প্রস্তুতি, সরকারের ইমেজ বৃদ্ধি ও সংগঠনকে গতিশীল করতে সরকারের উন্নয়ন জনগণের সামনে তুলে ধরতে ঈদের পরই তৃণমূলে ঘরে ঘরে যাবেন দলটির বর্তমান এমপি-মন্ত্রী ও একাদশ নির্বাচনে দলের মনোনয়নপ্রত্যাশীরা। পুরোদমে চালানো হবে সদস্য সংগ্রহ অভিযান ও সদস্যপদ নবায়ন। নিরসন করা হবে অভ্যন্তরীণ কোন্দল। সমস্যা সমাধানে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্ভরতাও কমানো হবে। এদিকে প্রধানমন্ত্রী সবকিছু কঠোরভাবে মনিটরিং করার পাশাপাশি জেলায় জেলায় জনসভায় অংশ নেবেন। সবকিছুই করা হবে হ্যাটট্রিক জয়ের লক্ষ্যে।

সূত্র জানায়, বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মোট মামলা রয়েছে ২০ হাজার। এ মামলাগুলো চাঙ্গা করার প্রস্তুতি চলছে। মামলায় নামে-বেনামে আট লাখের মতো আসামি; যার বেশির ভাগ আসামি দলটির নেতাকর্মী। মামলার তদন্ত দ্রুত শেষ করা ও পলাতক আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী বলেন, বিএনপি যত কথাই বলুক আন্দোলনে যাওয়ার মতো সাহস ও শক্তি কোনোটাই তাদের নেই। তবে বিএনপি আন্দোলনের দিকে গেলে সরকারও নিশ্চয়ই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

ফলে দুপক্ষের হুমকি আর প্রস্তুতিতে ঈদের পর রাজনৈতিক অঙ্গন যে উত্তপ্ত হয়ে উঠছে তা সহজেই অনুমেয় নেতানেত্রীদের বক্তৃতা থেকে।

সর্বমোট পাঠক


বাংলাভাষায় পুর্নাঙ্গ ভ্রমণের ওয়েবসাইট