দেশে নতুন আরেকটি রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ, নেতৃত্বে যারা

প্রকাশিত: ১০:৫২ অপরাহ্ণ, মে ৯, ২০২৫

দেশে নতুন আরেকটি রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ, নেতৃত্বে যারা

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শক্তিদের সমন্বয়ে নতুন সংগঠন ‘ইউনাইটেড পিপলস বাংলাদেশ (আপ বাংলাদেশ)’-এর আত্মপ্রকাশ হয়েছে।

শুক্রবার (৯ মে) বিকেল সাড়ে ৪টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এর আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন সংগঠনটির আহ্বায়ক আলী আহসান জুনায়েদ। এ সময় ৮২ সদস্যবিশিষ্ট কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণা করা হয়। কমিটিতে সদস্য সচিব হয়েছেন আরেফিন মুহাম্মদ হিজবুল্লাহ। এ ছাড়া রাফে সালমান রিফাত প্রধান সমন্বয়কারী, নাঈম আহমেদ প্রধান সংগঠক এবং শাহরীন ইরা মুখপাত্র হয়েছেন।

আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুরসহ বিভিন্ন অঞ্চল থেকে জুলাই আন্দোলনের অংশগ্রহণকারীরা অংশ নেন। এ সময় আহত এবং শহীদ পরিবারের সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন।

ফ্যাসিবাদ, আধিপত্যবাদ, ধর্মবিদ্বেষ এবং দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়া- এই চার বিষয় সামনে রেখে কাজ করার কথা জানিয়ে আলী আহসান জুনায়েদ বলেন, জুলাইকে কেন্দ্র করেই আমাদের এই রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম। জুলাইয়ের শপথে আমরা আজ শপথ নিচ্ছি। শহীদ পরিবারের প্রতি আমাদের শপথ তাদের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করাই হবে আমাদের রাজনীতি। এছাড়া অন্য কোনো রাজনীতি আমরা করব না। তাদের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করাই আমাদের রাজনীতি।

তিনি বলেন, মূলত এটা একটা পলিটিক্যাল প্রেশার গ্রুপ প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করবে। আমরা এটার প্রয়োজনীয়তা মনে করেছি এজন্য যে, জুলাই অভ্যুত্থানের যে স্প্রিরিট সেটা আস্তে আস্তে অপ্রাসঙ্গিক হয়ে যাচ্ছে। মানুষের মধ্যেও একটা হতাশা তৈরি হচ্ছে। এই অভ্যুত্থানকে আমরা যদি ডেলিভার্ট রাখতে না পারি তাহলে নতুন রাজনীতি বলতে আমরা যা বুঝেছি তা আর পরিণত হবে না। সুতরাং আমরা মনে করেছি জুলাইয়ের স্প্রিরিটকে কেন্দ্র করে জুলাইয়ের দাবিকে কেন্দ্র করে একটা প্ল্যাটফর্ম প্রয়োজন। আমরা আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে একটা কার্যত অবস্থান নিতে চাই।

জুনায়েদ বলেন, পিলখানা, শাপলা ও জুলাই গণহত্যার মতো ভয়াবহ অপরাধের বিচার, ফ্যাসিবাদী দল আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধকরণ এবং জুলাইয়ের আহত যোদ্ধা ও শহীদ পরিবারকে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করে তোলার দাবিতে জনমত ও রাজনৈতিক আন্দোলন গড়ে তোলা এই প্ল্যাটফর্মের প্রাথমিক লক্ষ্যমাত্রা হিসেবে বিবেচিত হবে।

তিনি আরও জানান, বাংলাদেশের বিদ্যমান রাজনৈতিক সংস্কৃতির পরিবর্তন, সমাজের সর্বস্তরে যোগ্য ও নৈতিক নেতৃত্বের প্রতিষ্ঠা, সামাজিক সুবিচার ও মানবিক মর্যাদা প্রতিষ্ঠাকরণ, সামাজিক নিরাপত্তা বিধান এবং ধর্মীয় বিশ্বাস ও মূল্যবোধের প্রতি শ্রদ্ধাশীল সামাজিক চুক্তির ভিত্তিতে বাংলাদেশ পুনর্গঠন এই প্ল্যাটফর্মের দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্যমাত্রা।

রাজনীতিতে পেশিশক্তির দাপট, দুর্নীতি ও দুর্বৃত্তায়নের রাজনৈতিক অর্থনীতির যেই বৃত্ত, দীর্ঘমেয়াদে আমরা তা উপড়ে ফেলতে চাই।


 

সর্বমোট পাঠক


বাংলাভাষায় পুর্নাঙ্গ ভ্রমণের ওয়েবসাইট