প্রশাসনের আশ্বাসে বিমানবন্দর সড়কে অবরোধ তুলে নিলেন চা শ্রমিকরা

প্রকাশিত: ৪:৩৬ অপরাহ্ণ, মে ৪, ২০২৫

প্রশাসনের আশ্বাসে বিমানবন্দর সড়কে অবরোধ তুলে নিলেন চা শ্রমিকরা

সিলেটে ৩ ঘন্টা সড়ক অবরোধের পর আন্দোলন প্রত্যাহার করেছেন চা শ্রমিকরা। প্রশাসনের আশ্বাসে তারা অবরোধ তুলে নেন। বকেয়া বেতন, বোনাস ও রেশন পরিশোধ, বসত বাড়ি নির্মাণ ও মেরামত, চিকিৎসা সেবা চালু ও ঔষধ প্রদান, চা বাগানের গাছ কাটা ও বিক্রি বন্ধসহ বেশ কযেকটি দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন চা শ্রমিকরা।

আজ রোববার (৪ মে) বেলা সাড়ে ১২টা থেকে ৩টা পর্যন্ত সিলেট-বিমানবন্দর সড়কের লাক্কাতুড়া চা বাগান এলাকায় সড়ক অবরোধ করেন তারা।

অবরোধ চলাকালে শ্রমিকরা বলেন, বেতন ও রেশন না পাওয়ায় খেয়ে না খেয়ে দিন পার করছেন তারা। বুরজান চা-কোম্পানির অধীনে থাকা আড়াই হাজার শ্রমিকের বেতন-রেশন ও বোনাস বকেয়া পড়েছে। তাদের ছেলে-মেয়েরা তিন বেলা খাবার খেতে পারছে না। পড়াশোনায় সমস্যা হচ্ছে। মলিকপক্ষ বেতন দিচ্ছে-দিচ্ছে বলে যাচ্ছে। কবে তাদের বেতন দেবে তার ঠিক নেই।

অবরোধের ফলে বন্ধ হয়ে যায় আম্বরখানা-বিমানবন্দর সড়কে যান চলাচল। আটকা পড়ে শত শত গাড়ি, সৃষ্টি হয় দীর্ঘ যানজটের। খবর পেয়ে বিমানবন্দর থানা পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে চেষ্টা চালায়।

পরে বিকেল ৩টায় স্থানীয় প্রশাসনের আশ্বাসে অবরোধ প্রত্যাহার করে নেন চা শ্রমিকরা। ১০ জনের একটি প্রতিনিধি দল সিলেট সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে গিয়ে লিখিতভাবে তাদের দাবি জানান। এসময় ইউএনও আশ্বাস দিলে চা শ্রমিকরা তাদের দাবি পূরণে এক সপ্তাহের সময় বেধে দিয়ে আন্দোলন প্রত্যাহার করে নেন।

এরআগে রোববার (৪ মে) দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে সিলেট-বিমানবন্দর সড়কের লাক্কাতুড়া চা বাগান এলাকায় অবস্থান নেন তারা। সড়ক অবরোধের ফলে বন্ধ হয়ে যায় যান চলাচল। সৃষ্টি হয় দীর্ঘ যানজটের।

খবর পেয়ে বিমানবন্দর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন এবং যান চলাচল স্বাভাবিক করার চেষ্টা চালায়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এয়ারপোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ আনিসুর রহমান।

চা শ্রমিক ও চা বাগান রক্ষা কমিটির আহ্বায়ক রঞ্জিত নায়েক রঞ্জু দ্য বলেন, বারবার আশ্বাস দেওয়া সত্ত্বেও, কেউ তাদের কথা রাখেনি। আমরা অনেক প্রতিশ্রুতি শুনেছি, কিন্তু একটিও পূরণ হয়নি। তাই, আমাদের দাবি আদায়ের জন্য মালনীছড়ায় সিলেট বিমানবন্দর সড়ক অবরোধ করেছি।

শ্রমিকরা বলেন, বেতন ও রেশন না পাওয়ায় খেয়ে না খেয়ে দিন পার করছেন তারা। বুরজান চা-কোম্পানির অধীনে থাকা আড়াই হাজার শ্রমিকের বেতন-রেশন ও বোনাস বকেয়া পড়েছে। তাদের ছেলে-মেয়েরা তিন বেলা খাবার খেতে পারছে না। পড়াশোনায় সমস্যা হচ্ছে। মলিকপক্ষ বেতন দিচ্ছে-দিচ্ছে বলে যাচ্ছে। কবে তাদের বেতন দেবে তার ঠিক নেই।


 

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

সর্বমোট পাঠক


বাংলাভাষায় পুর্নাঙ্গ ভ্রমণের ওয়েবসাইট