বাসদ নেতা আল কাদেরী জয়, ছাত্রনেতা মিরাজ, শ্রমিক নেতা রুকন এর মুক্তি দাবি

প্রকাশিত: ১১:২৮ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ২৯, ২০২৫

বাসদ নেতা আল কাদেরী জয়, ছাত্রনেতা মিরাজ, শ্রমিক নেতা রুকন এর মুক্তি দাবি

চট্টগ্রাম জেলা বাসদ এর ইনচার্জ ও রিকশা, ব্যাটারি রিকশা-ভ্যান, ইজিবাইক সংগ্রাম পরিষদের জেলা আহ্বায়ক আল কাদেরী জয়, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট চট্টগ্রাম জেলা সভাপতি মিরাজ উদ্দিন ও রিকশা শ্রমিক রুকনকে গ্রেপ্তার ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দায়েরের
প্রতিবাদে বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল -বাসদ সিলেট জেলা শাখার উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) বিকাল ৫টায় আম্বরখানাস্থ দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে মিছিল বের হয়ে আম্বরখানা পয়েন্টে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সিলেট জেলা বাসদ আহ্বায়ক আবু জাফর এর সভাপতিত্বে ও জেলা সদস্য সচিব প্রণব জ্যোতি পাল এর সঞ্চালনায় বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাসদ নেতা উজ্জ্বল রায়,চারণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের আহ্বায়ক নাজিকুল ইসলাম রানা, সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট সহ সভাপতি শহীদ আহমদ, সংগ্রাম পরিষদের সহ-সভাপতি মনজুর আহমদ, আলতাফ হোসেন,রণি আহমদ, মাহফুজ আহমেদ, মিজান মিয়া, প্রমূখ।

বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা বলেন,গত কয়েকদিন ধরে পুলিশ অবৈধভাবে চট্টগ্রামে ব্যাটারি চালিত রিকশা, ইজিবাইক জব্দ করতে থাকে। ইতিমধ্যে ৩ হাজারের অধিক ব্যাটারি চালিত যান জব্দ করা হয়েছে। এতে স্ব কর্মসংস্থানে নিয়োজিত শ্রমজীবী দরিদ্র রিকশা চালক ও তাদের পরিবারের মানুষের জীবিকা নির্বাহ করা দুরূহ হয়ে পড়েছে। অন্যায়ভাবে ব্যাটারি চালিত রিকশা, ইজিবাইক জব্দ করা বন্ধ এবং নীতিমালা প্রণয়ন করে লাইসেন্স প্রদানের দাবিতে আজ চট্টগ্রামের দেওয়ানহাট মোড়ে পূর্ব ঘোষিত সংগ্রাম পরিষদের বিক্ষোভ সমাবেশের কর্মসূচি পালনকাল পুলিশ বিনা উস্কানীতে সমাবেশ পণ্ড করে দেয় এবং সমাবেশ স্থল থেকে সংগ্রাম পরিষদের নেতা চট্টগ্রাম জেলা বাসদের ইনচার্জ আল কাদেরী জয়, ছাত্রনেতা মিরাজ উদ্দিন ও রিকশা শ্রমিক নেতা রুকনকে গ্রেপ্তার করে ডবল মুরিং থানায় নিয়ে যায় এবং ১৯৭৪ সালে শেখ মুজিব সরকার প্রণীত নিবর্তনমূলক কালো আইন ‘বিশেষ ক্ষমতা আইনে’ মামলা দিয়ে আদালতে পাঠায়। আদালত জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণ করে।

বক্তারা বলেন, এমনিতেই দেশে কর্মসংস্থানের অভাবে কোটি কোটি যুবক বেকার। নতুন কলকারখানা নির্মাণ হচ্ছে না, পুরনো কারখানাও বন্ধ হচ্ছে এতে বেকারত্ব দূর তো হচ্ছেই না উপরন্তু পুরনোরা কাজ হারিয়ে বেকার হচ্ছে। এমতাবস্থায় নিজেরাই যখন সহায় সম্বল বিক্রি করে একটি রিকশা বা ইজিবাইক কিনে কোন রকমে স্ত্রী-সন্তান পরিবার-পরিজন নিয়ে জীবন ধারন করে বেঁচে আছে তখন সরকারের পুলিশ বাহিনী অন্যায়ভাবে রিকশা উচ্ছেদ ও জব্দ করে তাদের জীবিকা কেড়ে নিচ্ছে যা রিকশা শ্রমিকদের সাথে নির্মম পরিহাস।

বক্তারা বলেন,সংগ্রাম পরিষদের পক্ষ থেকে দীর্ঘদিন ধরে সুনির্দিষ্ট নীতিমালা প্রণয়ন করে ব্যাটারি চালিত যানবাহনের লাইসেন্স প্রদানের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে আসলেও বিগত ফ্যাসিস্ট সরকার তা কর্ণপাত করেনি। গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী অন্তর্বর্তী সরকারও ব্যাটারি চালিত যানবাহনের নীতিমালা প্রণয়ন করে লাইসেন্স দেওয়ার পরিবর্তে বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের মতোই রিকশা-ইজিবাইক অবৈধভাবে জব্দ করে চালকদের হয়রানী করছে। এই অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে গেলে অতীত সরকারের মতোই আন্দোলনকারীদেরকে গ্রেপ্তার নির্যাতন করছে।

বক্তারা অবিলম্বে চট্টগ্রামের বাসদ নেতা আল কাদেরী জয়, ছাত্র নেতা মিরাজ উদ্দিন, শ্রমিক নেতা রুকন ও নারায়ণগঞ্জের গার্মেন্টস শ্রমিক নেতা সেলিম মাহমুদ এর নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেন।


 

সর্বমোট পাঠক


বাংলাভাষায় পুর্নাঙ্গ ভ্রমণের ওয়েবসাইট