১৯শে মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৫ই চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৪:৪১ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ৭, ২০২৫
সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জে চারটি সিএসজি সহ একটি মুদি দোকানের মালামাল ডাকাতি করে নিয়ে গেছে ডাকাতদলের সদস্যরা।
শুক্রবার ভোররাত ৩টা থেকে সাড়ে ৩টার পর কোন এক সময়ে উপজেলার পশ্চিম পাহগলা ইউনিয়নের ব্রাম্মণগাঁও পয়েন্ট থেকে ৪টি সিএনজি চালিত অটোরিক্সা ও একই পয়েন্টে থাকা একটি মুদিদোকানের মালামলা ডাকাতি করে নিয়ে যায় ডাকাত দলের সদস্যরা।
শুক্রবার শান্তিগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম পাগলা ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি চেয়ারম্যান জগলুল হায়দার সকালে ঘটনাস্থলে গিয়ে ডাকাতির ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় আতস্খিত হয়ে পড়েছেন এলাকার পরিবহন ব্যবসায়ী, চালক, ব্যবসায়ী ও সাধারন মানুষজন।
শুক্রবার বিকেলে সরেজমিনে গিয়ে খোঁজ নিতে গেলে উপজেলার শান্তিগঞ্জের ব্রাম্মণগাঁও পয়েন্টে একদল সংঘবদ্ধ ডাকাত দলের সদস্যরা প্রথমে এসে ওখানকার নৈশ প্রহরীর চোখ মুখ লুঙ্গি দিয়ে বেঁধে ফেলে। এরপর পয়েন্টের ভিন্ন ভিন্ন স্থানে রাখা চারটি সিএনজি চালিত অটোরিক্সা, একটি মুদি দোকানের মালামাল নির্বিঘ্নে ডাকাতি করে নিয়ে যায় ডাকাতদলের সদস্যরা।
শুক্রবার ভোররাত পুর্বববর্তী সময়ে ৩টা থেকে সাড়ে ৩টার মধ্যে কোন এক সময় সংঘবদ্ধ ডাকাত দল ওই ডাকাতির ঘটনাটি ঘটায়।
ডাকাতদলের সদস্যরা পয়েন্টে রাখা উপজেলার পশ্চিম পাগলা ইউনিয়নের ব্রাহ্মণগাঁও গ্রামের মৃত আলীম উদ্দিনের ছেলে ফরিদ আহমদের (গাড়ি নং- সুনামগঞ্জ থ ১১-৩৯০২), একই গ্রামের হানিফ উল্লার ছেলে আবদুল খালিকের (গাড়ির নং- সুনামগঞ্জ থ ১১-৩১৮৮), চন্দপুর গ্রামের আবদুল গফুরের ছেলে রুহুল আমীনের ( গাড়ি নং সুনামগঞ্জ থ ১১-৪৪২), পূর্ব বীরগাঁও ইউনিয়ন থেকেও অপর একটি সিএনজি (সুনামগঞ্জ থ ১১-১৪৮২), ব্রাহ্মণগাঁও গ্রামের বাসিন্দা আল আমিনের মুদি দেকানের সম্পুর্ন মালামাল ডাকাতি করে নিয়ে যায় ডাকাতদলের সদস্যরা।
শান্তিগঞ্জের ব্রাম্মণগাঁও’র বাসিন্দা আল-আমিন জানান, আমার মুদি দোকানের ক্যাশ বাক্স থেকে নগদ টাকা, সিগারেটের কার্টুন, বিস্কুট সহ সকল মালামাল ডাকাতি করে নিয়ে গেছে। তিনি বলেন এ দোকানের আয় রোজগার দিয়ে কোন রকম আমার সংসার চলত, এখন সেই পথও বন্ধ হয়ে গেলে।
শান্তিগঞ্জ উপজেলার পশ্চিমপাড়া ব্রাম্মণগাঁও পয়েন্টে দায়িত্বে থাকা নৈশ প্রহরী আফতর আলী বললেন, ভোর পূর্ব সময়ে কোন কিছু বুঝে উঠার আগেই চারজন লোক এসে আমার উপর অতর্কিত ভাবে হামলা চালায়। এরপর গলায় ধারালো ছুরি ধরে চিল্লাচিল্লি (চিৎকার) করতে নিষেধ করে। বাঁধা দিলে আমার পড়নে থাকা আমার লুঙ্গি খুলে আমার চোখ মুখ হাত পা বেঁধে পাশে কিছুটা দূরে থাকা একটি ট্রাকের নিচে ফেলে রাখে। প্রায় ঘন্টা/দুয়েক এভাবেই ডাকাতরা আমাকে বেঁধে রাখে।
এমন ডাকাতির ঘটনায় ঘটনাস্থলে থাকা আহমেদ সারোয়ার, জায়েদ আহমদ, স্থানীয় সমাজকর্মী সজীব আহমদ, শুকুর আলী ও পরিবহণ শমিক গফুর আলীসহ এলাকাবাসী উদ্ভেগ প্রকাশ করে বলেন, গেল ২২ জানুয়ারি রাতে পার্শ্ববর্তী ছাতক থানার সীমানায় ঢাকাগামী দুটি বাসে গণডাকাতি হয়। এরপর আবার শুক্রবার ভোররাতে শান্তিগঞ্জ থানা এলাকায় ডাকাতির ঘটনা ঘটে গেল, তাতে করে আমরা সাধারন মানুষজন, ব্যবসায়ী, প্রবাসী পরিবারগুলো পরিবহন মালিক শ্রমিকরা অনেকটা আইনশৃঙ্কলার অবনিত, পুলিশী দায়িত্বপালনে অবহেলা, এমনকি উদ্ভেগ প্রকাশ করছি।
শুক্রবার বিকেলে শান্তিগঞ্জ থানার ওসি আকরাম হোসেন বলেন এটা ডাকাতির ঘটনা না, মূলত চুরির ঘটনা। এখানো কোন অভিযোগ পাইনি, অভিযোগ পেলে মামলা নেয়া হবে বলেও জানান ওসি।
EDITOR & PUBLISHER :
DR. ARIF AHMED MOMTAZ RIFA
MOBILE : 01715110022
PHONE : 0821 716229
OFFICE : SHUVECHCHA-191
MIAH FAZIL CHIST R/A
AMBAKHANA WEST
SYLHET-3100
(Beside Miah Fazil Chist Jame Masjid & opposite to Rainbow Guest House).
E-mail : sylhetsangbad24@gmail.com
Hello : 01710-809595
Design and developed by M-W-D