২২শে মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৮ই চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৬:৩৪ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ৬, ২০২৫
হলুদ ও বেগুনি রঙের ফুলকপি চাষ করে সফল হয়েছেন সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলার সৈয়দুর রহমান। বাহারি রঙের ফুলকপি চাষ করে এলাকায় বেশ সাড়া ফেলেছেন তিনি। প্রতিদিনই হলুদ ও বেগুনি রঙের ফুলকপি দেখতে ও কিনতে ভিড় করছেন ক্রেতারা।
সিলেটের সর্বজন পরিচিত কৃষক সৈয়দুর রহমান প্রতিবছর নতুন নতুন সবজি চাষ করে গোটা এলাকায় সাড়া ফেলেন। গত বছর তিনি বারি বেগুন ১২, মিষ্টি আলু চাষ করে বেশ সফলতা পেয়েছেন। তারই ধারাবাহিকতায় এবার চাষ করেছেন রঙিন ফুলকপি।
উপজেলার মোল্লারগাও ইউনিয়নের মন্দিরখলা গ্রামের বাসিন্দা সফল সবজী সৈয়দুর রহমান দক্ষিণ সুরমা উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সার্বিক সহযোগিতা ও কর্মকর্তাদের থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে প্রথমবারের মতো ১০ বিঘা জমিতে রোপণ করেন রঙিন ফুলকপি। বাহারি রঙের ফুলকপি দুটির নামও সুন্দর। গোলাপি রঙের ফুলকপির নাম ‘ভ্যালেন্টিনা’ আর হলুদ রঙের ফুলকপির নাম ‘ক্যারোটিনা’।
সরেজমিনে পরিদর্শনে গিয়ে দেখা যায়, মন্দিরখলা গ্রামের নিজ বাড়ীর দক্ষিণাংশে ফুল কপি গাছের পরিচর্যা করছেন চাষী সৈয়দুর রহমান। তার সুন্দর কপি ক্ষেত পরিদর্শনে আরো অনেক এসেছেন। কেউ ক্ষেত থেকে কিনে নিচ্ছেন, আবার কেউ ছবি তুলছেন।
আলাপকালে তিনি বলেন, ‘আমি যখন জমিতে ফুলকপি চাষ করি; তখন এলাকার অন্য চাষি বলছিলেন এ ফুলকপি কি বিক্রি করতে পারবো? আমার মনে জোর ছিল যে, বাজারে বিক্রি করতে পারবো। সেই আশায় চাষ করে বেশ সাড়া পেয়েছি। প্রতিদিন ফুলকপি কেনার জন্য জমিতে ক্রেতারা আসছেন। এ কপি চাষে কষ্ট কম বলে নিজেই চাষ করেছি, তাতে খরচও কম হয়েছে। দুই জাতের কপির পাশাপাশি তিনি চাষ করেছেন ব্রুকলি। সাথে আছে বারি বেগুন ১২।
দুই জাতের ফুলকপি চাষের পদ্ধতি সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘ভ্যালেন্টিনা ও ক্যারোটিনা জাতের ফুলকপি সাধারণ ফুলকপির মতোই পরিচর্যা করতে হয়। এবার পরীক্ষমূলক চাষ করলেও আগামীতে বেশি চাষ করার ইচ্ছা আছে।
ইতিমধ্যে তার এ কপি ক্ষেত পরিদর্শন করেছেন দক্ষিণ সুরমা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ঊর্মি রায়, উপজেলা কৃষি অফিসার গৌতম পাল সহ সংশ্লিষ্ট অনেক কর্মকর্তা। চাষের ব্যাপারে অনেকে পরামর্শ ও নিয়েছেন।
উপজেলা কৃষি অফিস জানায়, সাদা ফুলকপির চেয়ে এ দুই জাতের রঙিন ফুলকপিতে পুষ্টিগুণ বেশি। দেখতেও সুন্দর। গতানুগতিক সাদা রঙের ফুলকপির চেয়ে রঙিন ফুলকপির বাজারমূল্য বেশি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা গৌতম পাল বলেন, ২য়বারের মতো দক্ষিণ সুরমায় বাহারি রঙের ফুলকপি চাষে ভালো ফলন পেয়েছেন চাষি সৈয়দুর রহমান। তার এ কপি চাষ অন্য কৃষকের মাঝে আগ্রহ তৈরি করেছে। অনেকেই রঙিন ফুলকপি চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। সাধারণ ফুলকপি যেখানে ২০-৩০ টাকা বিক্রি হয়, সেখানে এটি বিক্রি হচ্ছে ৬০-৭০ টাকা।’ তাই অধিক মুনাফা লাভের আশায় অনেক কৃষক আগামীতে এরকম কপি চাষ করবেন বলে জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে আলাপকালে দক্ষিণ সুরমা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ঊর্মি রায় বলেন, সৈয়দুর রহমানের রঙিন ফুলকপি আসলে দেখতে অনেক সুন্দর। তার এ ব্যতিক্রমি উদ্দোগ নিজের অর্থনৈতিক উন্নয়নের পাশাপাশি অন্যদের ও উৎসাহিত করবে। তিনি সৈয়দুর রহমানের কৃষি উন্নয়ন প্রচেষ্টাকে আরো বেগবান করতে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের সহযোগিতা কামনা করেন।
EDITOR & PUBLISHER :
DR. ARIF AHMED MOMTAZ RIFA
MOBILE : 01715110022
PHONE : 0821 716229
OFFICE : SHUVECHCHA-191
MIAH FAZIL CHIST R/A
AMBAKHANA WEST
SYLHET-3100
(Beside Miah Fazil Chist Jame Masjid & opposite to Rainbow Guest House).
E-mail : sylhetsangbad24@gmail.com
Hello : 01710-809595
Design and developed by M-W-D