উন্নত চিকিৎসার জন্য বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার লন্ডন যাত্রায় শুভেচ্ছা জানাতে গুলশান থেকে এয়ারপোর্ট পর্যন্ত প্রায় কয়েক কিলোমিটারের মানব প্রাচীর তৈরি করেছে দলটির নেতাকর্মীরা।

মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) রাত দশটায় শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে এ-৩১৯ বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে লন্ডনের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করবেন তিনি। প্রথমে ঢাকা থেকে কাতার যাবেন, সেখান থেকে জ্বালানি নিয়ে লন্ডনের উদ্দেশ্যে উড়াল দেবে এয়ার এম্বুলেন্সটি।

নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, খালেদা জিয়ার বিদেশযাত্রাকে কেন্দ্র করে সোমবার রাতেই ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির পক্ষ থেকে নেতাকর্মীদের নির্দিষ্ট এলাকা ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। সে অনুযায়ী নেতাকর্মীতা তাদের নিজস্ব এলাকায় মানব প্রাচীর তৈরি করেছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, গুলশান থেকে এয়ারপোর্ট পর্যন্ত পুরো রাস্তা জুড়েই ছিলো বিপুল নেতাকর্মীদের উপস্থিতি। এর মধ্যে কাকলীর পর থেকে বিশ্বরোডের ক্যান্টনমেন্ট এরিয়ায় নেতাকর্মীদের সংখ্যা কিছুটা কম উপস্থিতি থাকলেও বাকি সড়কে ছিলো উপচে পড়া ঢল।

জানা যায়, রাত দশটায় শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে এ-৩১৯ বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে লন্ডনের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করবেন তিনি। প্রথমে ঢাকা থেকে কাতার যাবেন, সেখান থেকে জ্বালানি নিয়ে লন্ডন যাবেন তিনি।
এর আগে সর্বশেষ ২০১৭ সালের ১৫ জুলাই লন্ডন যান খালেদা জিয়া। ওই সময় সেখানে একটি ঈদও উদযাপন করেন তিনি। তখন লন্ডনের মরফিন্ড আই হাসপাতালে খালেদা জিয়ার চোখের অপারেশন করানো হয়েছিল।
এদিন রাত সোয়া ৮টায় গুলশানের বাসভবন ফিরোজা থেকে বের হন খালেদা জিয়া। রাত ৯টার মধ্যে বিমানবন্দরে উপস্থিত হয়ে ইমিগ্রেশনের যাবতীয় কাজ সারবেন তিনি। লন্ডনে বিমানবন্দরে খালেদা জিয়াকে স্বাগত জানাবেন তারই ছেলে ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। বিমানবন্দর থেকে খালেদা জিয়াকে সরাসরি লন্ডন ক্লিনিক হাসপাতালে নেয়া হবে। সেখানে তার চিকিৎসা চলবে।